বেগমগঞ্জের ডহরপাড়ায় দিনে দুপুরে লক্ষীপুর ডিবি পুলিশের তান্ডব



নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাপুর ইউনিয়নের ডহরপাড়া গ্রামে দিনে দুপুরে তান্ডব চালিয়েছে লক্ষীপুর ডিবি পুলিশের একটি দল। আসামী ধরার নামে এই তান্ডব চালানোর সময় নিরপরাধ অনেকের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং পিটিয়ে অন্তত ৮ জনকে আহত করে। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল দুপুরে সরেজমিন এলাকায় গিয়ে জানা যায়, কথিত আসামী ধরার নামে ল²ীপুর ডিবি পুলিশের এস.আই বাশারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চন্দ্রগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বেগমগঞ্জের ডহরপাড়া গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় তারা ওই গ্রামের মাইজের বাড়ী, নানু’র বাড়ী সহ কয়েকটি বাড়িতে তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও নিরিহ মানুষকে মারধর করে ২টি মোটর সাইকের নিয়ে যায়। পুলিশের এমন আগ্রাসী থাবা থেকে এক অসহায় প্রতিবন্ধি পরিবারও রক্ষা পায়নি। প্রতিবন্ধি আনোয়ারা বেগমের ঘরটি এমন ভাংচুর করেছে যা বসবাসের অনুপযোগী। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ। নানু’র বাড়ীর ডুবায় প্রাবাসী খোকনকেও বেদম মারধর করা হয়। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি চন্দ্রগঞ্জ ন্যাশনাল হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন। স¤প্রতি ধার-দেনা করে ঘর করা মাইজের বাড়ীতে দিনমজুর বাবুল মিয়া ছোট একটি ঘরটিও পুলিশ ভাংচুর করে। এছাড়াও ওই এলাকার মোরশেদ পাটওয়ারী, ফারুক পাটওয়ারী, আরিফুর রহমান, আবদুল মান্নান, শরিফুর রহমান সহ ৭/৮ জনকে মেরে আহত করা হয়। সংবাদ কর্মিদের সাথে কথা বলার সময়ও স্থানীয়দের চোখে মুখে ছিল আতঙ্কের চাপ। অনেকে ভয়ে পুলিশের তান্ডবের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে সাহস পায়নি। 
ল²ীপুর ডিবি’র অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোঃ নুর এর সাথে ফোনে আলাপ করলে তিনি অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও ভাংচুরের কথা অস্বীকার করে বলেন, যারা আসামীকে অশ্রয় প্রস্রয় দেয় তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিৎ। আমরাতো সন্ত্রাসীদের চিনিনা। আপনাদের সহযোগীতায় আমরা আসামী ধরে থাকি। আমরাতো ফেরেসতা না। অভিযানের সময় সাময়িক ভূলত্রæতি হতেই পারে।

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট