চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির মনিটরিং সেল গঠন

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির মনিটরিং সেল গঠন


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য ৫১ সদস্যের নির্বাচনী মনিটরিং সেল গঠন করেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি।

আজ সকাল ১০টার দিকে নগরীর নাছিমন ভবনের  দলীয় কার্যালয়ে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এম এ হালিমের সভাপতিত্বে একটি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক চাকসু ভিপি মো. নাজিম উদ্দিনকে আহ্বায়ক ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট  মো. আবু তাহেরকে সদস্যসচিব করে গঠিত মনিটরিং সেলের অন্য সদস্যরা হলেন- সাবেক সহ-সভাপতি এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, ছালাউদ্দিন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আমিন, নূর মুহাম্মদ, আজম খান, সেকান্দর চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ডা. খুরশিদ জামিল, মো. সেলিম চেয়ারম্যান, আবু আহমদ হাসনাত, মোস্তফা কামাল পাশা, সৈয়দ নাছির উদ্দিন, কাজী মো. ছালাউদ্দিন, মো. ছালাউদ্দিন চেয়ারম্যান, মাহবুব ছাফা, মো. জাকির হোসেন, মো. তোফাজ্জ্বল হোসেন,  মো. ইউসুফ নিজামী, হাসান মো. জসিম উদ্দিন, মো. মোরছালিন, মো. সরওয়ার উদ্দিন সেলিম, মোবারক হোসেন কাঞ্চন, মো. জামসিদুর রহমান, মো. আব্দুর শুক্কুর মেম্বার, মো. জহুরুল আলম, এস এম ফারুক, রেজাউর নূর ছিদ্দিকী উজ্জ্বল, সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম, অ্যাডভোকেট নাছিমা আক্তার, মো. মুরাদ চৌধুরী, এইচ এম নুরুল হুদা, মো. ফজলুল করিম চৌধুরী, মো. আলমগীর, গাজী মো. হানিফ, মো. আজিজ উল্লাহ, আনিস আক্তার টিটু প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে এম এ হালিম বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে এনে দেশের কল্যাণ, জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণে উত্তর জেলার আওতাধীন সাতটি সংসদীয় আসনে ২০-দলীয় জোট তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ধানের শীষ মার্কায় বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি চাকসু ভিপি মো. নাজিম উদ্দিন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু তাহের, মো. সেলিম চেয়ারম্যান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আহমদ হাসনাত, বিএনপি নেতা জামসিদুল রহমান, অ্যাডভোকেট রেজাউর নূর ছিদ্দিকী উজ্জ্বল, সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম, মো. নাছিরুল কবির মনির, গাজী মো. হানিফ, আনিস আকতার টিটু, মো. নুর নবী, মো. তারেক চৌধুরী প্রমুখ।


ড. কামালের গাড়িতে হামলা, অবিলম্বে তদন্ত দাবি

ড. কামালের গাড়িতে হামলা, অবিলম্বে তদন্ত দাবি

মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনসহ তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিকের গাড়িসহ ৬/৭টি গাড়ির ভাংচুর হয়। আহত হয়েছে ঢাকা-১৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক সাজু, আ স ম আবদুর রবের গাড়ি চালকসহ ১০/১২ জন নেতা-কর্মী।
এদিকে এধরনের হামলাকে মেনে নেয়া যায়না মন্তব্য করে অবিলম্বে হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন ড. কামাল হোসেন। রাজধানীর জামান টাওয়ারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে এই জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান। স্মৃতিসৌধে তিনি বলেছেন, যত শক্তিধর হোক তারা দেশে মালিক জনগণের কাছে তাদের নত হতে হবে, তাদের পরাজয় হবেই। সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির আবদুল আউয়াল মিন্টু, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মোহসিন মন্টু, রেজা কিবরিয়া, জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ ও ম শফিকউল্লাহ প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের এক আলোচনায় অংশ নেন ড. কামাল হোসেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া সমন্বয়ক লতিফুল বারী হামিম জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবদন শেষে ড. কামাল হোসেন স্যার নেতৃবৃন্দকে নিয়ে গেইটের বাইরে নিজের গাড়িতে উঠার পরপরই এই হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ-যুব লীগের একদল সন্ত্রাসী স্যারের গাড়ির দিকে লাঠি-সোটা নিয়ে এই হামলা চালায়। তারা স্যারের গাড়িতের লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ঘটনার মুহুর্তেই ফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রবের গাড়িতেও তারা হামলা চালায়। এতে গাড়ি চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসী এলোপাথারি লাঠি দিয়ে নেতা-কর্মীদের ওপর এই হামলা করলে নেতা-কর্মীরা দিগি¦দিক দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। পরিস্থিতির এক পর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিয়ে সংগঠিত হতে থাকে।
হামিম জানান, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে যান। সেখানে একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় আ স ম আবদুর রব, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, রেজা কিবরিয়া, বিএনপির আবদুস সালাম, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিকসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর বিষয় নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ড. কামাল হোসেন বলেন, এখানে আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছি। কত টাকা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করার জন্য? এটা শহীদ মিনার। একাত্তর সালের শহীদরা এখানে। শহীদতের কথা চিন্তা করা উচিৎ। খামোশ! তিনি বলেন, আজকে আমরা এখানে এসেছি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। লাখো শহীদ জীবন বির্সজন দিয়েছেন, সেই স্বাধীনতাকে আমরা যেন ধরে রাখি, সকলের জন্য অর্থ পূর্ণ করি। এই স্বাধীনতা ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে যারা আখের গোছাতে চাচ্ছে তাদের জন্য নয়, সব মানুষের এই স্বাধীনর অংশীদার ও প্রাপ্য। শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছে, লোভ লালসা নিয়ে লুটপাট করছে, তাদের হাত থেকে এই দেশকে মুক্ত আমরা করবই।
হামলার ঘটনায় তদন্ত দাবি: এদিকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে হামলার ঘটনা ‘কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না’ উল্লেখ করে অবিলম্বে তার তদন্ত চেয়েছেন ড. কামাল হোসেন। পুলিশ বাহিনীকে সংবিধানের বাইরে কোনো অন্যায় আদেশ না মানারও পরামর্শ দেন তিনি। বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা এই দাবি জানান। তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের দিনে সেখানে এই ধরনের ঘটনা আমাদের প্রতি কী হয়েছে সেটা আমরা চিন্তা করি না। শহীদদের প্রতি তারা অবমননা করেছে। এটা মেনে নেয়া যায় না, এটা সারাদেশের কোটি কোটি মানুষ মেনে নিতে পারে না। পুলিশের আইজির কাছে আমি লিখিত চিঠি পাঠাবো। আপনার সম্পর্কে আমার খুব ভালো ধারনা ছিলো যেন সেই ধারনা থাকে সেই কারণে আমি অনুরোধ করব, আপনি আমাদের কথাগুলোকে খুব গুরত্ব সহকারে দেখবেন যে জিনিসগুলো আপনাদেরকে তথ্য দেয়া হবে আপনি বিশ্বস্ত লোককে দিয়ে তদন্ত করাবেন। আমরা এই তদন্তকে পুরোভাবে সাহায্য করবো যাতে আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্মানে আমরা এই কাজটি করব।
আহতদের সাংবাদিকদের দেখিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, তাদের মেডিকেল সার্টিফিকেট আছে। রব সাহেবের আঙ্গুলটা দেখছেন। আইজি সাহেব আমি কথা দিচ্ছি- সব রকমের সাহায্য আমরা করবো। আইনানুগ সাহায্য, তদন্ত করার সাহায্য করবো আপনার পুলিশের মধ্যে যাদের বিশ্বস্ত মনে করে তাদেরকে ঢেকে একটু দায়িত্ব দিন, আমাদের সঙ্গে দিন।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ওখানে শহীদরা আছেন সেখানে আমরা গেছি শ্রদ্ধা জানাতে। এটাতে যাদের গায়ে লাগে ওরা কারা? ভাড়াটিয়া। পয়সা নিয়ে এসব তারা করেছে। এটা কোনো নীতির কাজ হতে পারে না। এই কাজ কোনো সুস্থ দেশপ্রেমিক মানুষের কাজ হতে পারে না। এ ঘটনায় শহীদদের আত্ম অবশ্যই কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের একটা জায়গা যেখানে মানুষ আসে শ্রদ্ধা জানাতে ১৪ ডিসেম্বর। এটা কী ভূলে গেছে তারা, না তারা জানেই না। যেসব ছোকড়ারা ওখানে এসব কাজ করেছে। আমি দেখেছি ছোকড়ারা এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করছে, ইট পাটকেল মারছে, আহত করেছেন, গাড়ি ভাঙার চেষ্টা করেছে। এরা ছোকড়া, টোকাই। কারা এদের ভাড়া করেছে তাও জানতে চান তিনি।
নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরুর পর বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, যেসব পুলিশ কার আদেশে যারা (প্রার্থীরা) আইনানুগভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে, কাজ করছেন তাদেরকে কেনো এসে তারা (পুলিশ) চ্যালেঞ্জ করে, বাঁধা দেয়, কেনো গ্রেফতার করে। আমি প্রত্যেকটা অ্যারেস্টের তথ্য চাই। দেশে এখনো সংবিধান আছে। যে সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষর এক নম্বর। উনি লিখে দিয়ে গেছে এদেশের মানুষ আইনের আশ্রয় পাবে। পুলিশ আজকে যেটা করেছে এটা বঙ্গবন্ধুর কথাকে অমান্য করেছে। বঙ্গবন্ধু যেটাকে বলেছে হবে- তোমরা সেটাকে ডিফাই করেছো। তোমরা বঙ্গবন্ধুর কথাকে অমান্য করবে, এই বিজয়ের মাসে অমান্য করবে।
বেআইনি আদেশ পুলিশের মান্য করা উচিৎ নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি পুলিশ একাডেমিতে বহু লেকচার দিয়েছি বেআইনি আদেশ মানা একদম নিষেধ। বেআইনি আাদেশ মানবে না- এটা পুলিশরা জেনে রাখো। যারা বেআইনি আদেশ দিচ্ছে এরা চিরস্থায়ী কেউ নয়। ভুলে যেও না। তোমরা তো ৫০/৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করবে আশা করো। এটা মনে রেখে আজকে যে বা যাহারা আদেশ দেয় তোমাদের এটা সাংবিধানিক কর্তব্য সেই আদেশ আইনানুগ কিনা? যদি কোনো লোক আইন ভঙ্গ করছে না তাকে অ্যারেস্ট করা এটা সংবিধান ভঙ্গ করা। তোমাদের শুভাকাঙ্খি হিসেবে বলছি- তোমরা সংবিধান ভঙ্গ করার অপরাধ করিও না। যারা বেআইনি আদেশ দিচ্ছে তাদের দেশের মানুষ চিহ্নিত করে আগামীতে বিচারও হবে।
ড. কামাল হোসেন দৃঢ় কন্ঠে বলেন, সরকার ক্ষমতায় ১৫/১৬ দিন আছে। তাদেরকে বলব- বেআইনি আদেশ দেয়া বন্ধ করুন, আপনারা আইন মেনে চলুন। সরকার আইনের উর্ধেব না। জেনে রাখো এই দেশে কোনো সরকার আইনের উধের্ব না। এটা হলো স্বাধীনতার অর্থ। এতো লক্ষ শহীদ হয়েছেন, বুদ্ধিজীবীরা শহীদ হয়েছেন। তারা শহীদ হয়েছিলো যাতে আমরা মাথা উঁচু করে অধিকার নিয়ে বাঁচবো। এই স্বাধীন দেশে ৪৭ বছর পরে দেখতে হচ্ছে- লজ্জা পাওয়া উচিৎ যারা দেশ শাসন করছেন। লজ্জ্বা পাও লজ্জ্বা পাও, লজ্জ্বা পাও। লজ্জ্বা পেয়ে মুখটা দেখাও না মুখটা একটু ঢেকে এদিক ওদিকে থেকে ১০/১৫ দিন কাটিয়ে দাও। তোমাদের মুখ দেখব না যারা এসব অন্যায় কাজ করছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করো। ১০/১৬ দিন আছো চেষ্টা করো ভলো থাকতে। তারপরে কিন্তু।
গণমাধ্যমকে দেশের স্বার্থে জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমার বিশ্বাস দেশের মানুয়ের প্রতি একশত ভাগ আস্থা আছে তারা সঠিক বিচার করবে, তারা সংবিধানকে সমুন্নত রাখবে, তারা আইনের শাসনকে দেশে ফিরিয়ে আনবে। আর যারা এসব অন্যায়-অনিয়ম-অসাংবিধানিক কাজ করছে তাদের থেকে আমাদেরকে মুক্ত করবে।
আ স ম আবদুর রব বলেন, ওরা ভেবেছে ভয় দেখিয়ে আমাদেরকে নির্বাচনের বাইরে রাখবে। সেজন্য আজকে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। কতগুলো ছেলেকে আহত করেছে। এই হামলা পরিকল্পিত। আমরা নির্বাচন করতে চাই। সিলেটে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। আমাদের প্রার্থীরা প্রচারণায় নামতে পারছে না। আমাদের কর্মীদের এখনো নির্দেশ দিচ্ছি না, সকলকে শান্ত থাকতে হবে সাহসের সাথে মোকাবিলা করতে হবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জনগণকে সাথে নিয়ে ব্যালট বিপ্লব করতে চাই, ব্যালটে যুদ্ধ করতে চাই, স্বৈরশাসনকে বিদায় করতে চাই।
প্রটোকল ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফ্ল্যাগ লাগিয়ে গোপালগঞ্জ গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করবেন আর আমাদেরকে প্রচারণা করতে দেয়া হবে। এসব কিছ ফাইজলামি, একটা কী মগের মল্লুক। প্রধানমন্ত্রী যদি ফ্ল্যাগ ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে ড. কামাল হোসেনকে প্রটোকল দিতে হবে। দেশবাসীর প্রতি আমাদের আহবান ধানের শীষকে জয়লাভ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি তরান্বিত করুন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে যাবো সেখানে আক্রমন করা হবে এটা অবিশ্বাস্য। এই অবিশ্বাস্য কাজগুলো সরকার ও তার দলের লোকেরা কেনো করছে এটা সকলের বোধগম্য। কারণ তারা হারতে চায় না। এতো খুন-গুম, এতো দুর্নীতি-লুটপাট করেছে যে তারা ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পায়। অথচ আমরা আশ্বস্ত করেছিলাম যে, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করবো না। নির্বাচন কমিশন একটা ঠুঁটো জগন্নাথের মতো হয়ে আছে।
কিছুই করেন না সিইসি। তিনি মিন মিন করে বলেন আমরা বিব্রত। আরে আপনারা স্বাধীন নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। আপনাদের বিব্রত হওয়ার কথা নয়, ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা, ব্যবস্থা নেয়ার কথা। আপনারা কী মসজিদের ইমাম নাকী। আমি ইসিকে বলব, আজকের ঘটনাসহ গত কয়েকদিনের ঘটনার বিচার ব্যবস্থা নিন। না নিতে পারলে ব্যর্থতার দায়িত্ব মাথায় নিয়ে তাদের পদত্যাগ করা উচিৎ। এটাই তাদের জন্য সন্মানজনক হবে। মনে রাখতে হবে তারা প্রজাতন্ত্রের মানুষ সরকারের না।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এটা খুবই সংগত দাবি প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে যাবেন সমস্ত প্রটোকল নিয়ে, এটা তিনি যেতে পারেন না। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আমরা বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল প্রত্যাহার করা হোক, মন্ত্রীদের সব প্রটোকল বন্ধ করা হোক, গ্রেফতার করা হোক। যদি মনে করেন, এরকম করে নির্বাচন পার হয়ে যেতে পারবেন- পারবেন না। আমরা নির্বাচন পর্যন্ত আছি ২৯ তারিখ পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়ে আছি।
কিন্তু ৩০ তারিখে এই কামড় অন্যদিকে চলে যাবে। ৩০ তারিখে ব্যালেট বিপ্লব করবে। সারাদেশে বিভিন্ন প্রার্থীদের ওপর হামলার পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে মান্না বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে অনেক অভিযোগ করেছেন কোনো রকম প্রতিকার করেনি।
শুক্রবার সিইসি এমন মন্তব্য করেছে যা কমিশন সরাসরি আমাদের বিরুদ্ধে ও সরকারের পকেটে চলে যাওয়ার মতো আচরণ করছেন।

ধানের শীষময় বগুড়া-৪ আসন, কোনঠাসা নৌকার প্রার্থী

ধানের শীষময় বগুড়া-৪ আসন, কোনঠাসা নৌকার প্রার্থী

বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) নির্বাচনী এলাকা ধানের শীষময় হয়ে উঠেছে। কারণ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপির প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেনের পক্ষে পুরো এলাকায় ধানের শীষের রব উঠেছে। পুরো নির্বাচনী এলাকা চড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
বিএনপি ও জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনে নৌকার প্রার্থী জাসদ (ইনু) নেতা একেএম রেজাউল করিম তানসেন জোটের শরিক আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এমনকি নিজ দলের অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে এখন কোনঠাসা। তাই তিনি নিজ দলের কিছু সংখ্যক কর্মী নিয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ভোট চাচ্ছেন। এখনও কাহালু উপজেলায় ঢুকতেই পারেননি।
নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে ধানের শীষের পক্ষে বৃহস্পতিবার কাহালু উপজেলার দূর্গাপুর ও জামগ্রাম ইউনিয়নে পথসভা, গণসংযোগ ও জনসভায় অংশ নেন মোশাররফ হোসেন। তিনি দলের নেতাকর্মীদের বিশাল বহর নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে দূর্গাপুর বাজার থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এরপর তিনি ওই ইউনিয়নের দেওগ্রাম, চারমাথা, নওদাপাড়া, চাঁনপুরা, পাঁচপীর, সিংড়ায় প্রচারনা শেষে বিকেলে জামগ্রাম বাজারে নির্বাচনী সভায় অংশ নেন।
জনসভায় তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার , খালেদা জিয়াকে মুক্ত এবং তারেকে রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ধানের শীষ বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে হবে।
ইউনিয়ন আহবায়ক খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কাহালু উপজেলা আহবায়ক কাজী আবুল বাশার, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান, হাফিজুর রহমান, এমএ হান্নান, আব্দুর রশিদ, খায়রুল আলম, শফিকুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন আদর প্রমুখ।

সারিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপি অফিস আগুনে ভস্মিভূত

সারিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপি অফিস আগুনে ভস্মিভূত

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপি অফিস আগুনে ভস্মিভূত করেছে দূর্বৃত্তরা। এতে অফিসের আসবাবপত্রসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে দূর্বৃত্তরা উপজেলা সদরে অবস্থিত উপজেলা বিএনপি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর মুহূর্তের মধ্যে কার্যালয়টি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অফিসে চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য আরো অনেক আসবাবপত্র ছিল বলে জানা গেছে। এ ছাড়া আগুনে অফিসের পাশের দুটি দোকানও পুড়ে গেছে।
ঘটনার পর শুক্রবার সকালে পুলিশ, র‌্যাব ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি আল আমিন বলেন, এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপি সভাপতি সুজাউদদৌলা সন্জু বলেন, রাতের বেলা অফিস পোড়ানোর খবর শুনেছি।

নির্বাচনের আগেই কর্মী-সমর্থকদের এলাকা ছাড়ার হুমকি ওসি প্রদীপের

নির্বাচনের আগেই কর্মী-সমর্থকদের এলাকা ছাড়ার হুমকি ওসি প্রদীপের

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপি মনোনীত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনী কাজে মারাত্মক বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন ধানের শীষের নেতাকর্মীরা। তিনি অভিযোগ করেন, টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ধানের শীষের কর্মীদের নির্বাচনের আগে এক মাস এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। না হলে নেতাকর্মীদের বেছে বেছে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার কথা বলে বেড়াচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাহজাহান চৌধুরী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে গিয়ে তল্লাশি ও হয়রানী করছে পুলিশ। নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। প্রচারণার কাজ থেকে ধানের শীষের সমর্থকদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। তফশিলের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শাহজাহান চৌধুরী দুঃখ করে বলেন, এত কিছু করার কি দরকার? আমাদের নির্বাচন না করতে বললে তো হয়ে যেতো। অনর্থক নিরীহ মানুষদের হয়রানী করা হচ্ছে কেন? ওসি প্রদীপ কুমার দাশ অতি উৎসাহী হয়ে এসব করছে। তাকে প্রত্যাহার করলে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ, ওসি প্রদীপ প্রশাসনের পোশাক পরে সরকারি দলের ভূমিকা পালন করছে। নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে প্রতিদিন হুমকি দিচ্ছে। তার কারণে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি ওসি প্রদীপের কারণে টেকনাফের দিকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে যাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক আকতার চৌধুরী, অ্যাডভোটেক আবদুল মন্নান, এম মোকতার আহমদ, ছৈয়দ আহমদ উজ্জল, রাশেদুল করিম মার্কিন, মোকতার আহমদ প্রমুখ।

ড. কামালের ক্ষোভকে সমর্থন করেন ৮১ শতাংশ মানুষ!

ড. কামালের ক্ষোভকে সমর্থন করেন ৮১ শতাংশ মানুষ!

সংবাদকর্মীদের ওপর ড. কামালের ক্ষোভ প্রকাশকে সমর্থন করেছেন ৮১ শতাংশ মানুষ। আর সমর্থন করেননি মাত্র ১৯ শতাংশ মানুষ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ফেসবুক পেইজে জরিপের ফলাফলে এই চিত্র ফুটে উঠে।
গতকাল সকালে সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জামায়াত প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাব না দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ড. কামাল হোসেন।

অনললাইন পাঠকদের কাছে ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রশ্ন ছিল- “সংবাদকর্মীদের ওপর ড. কামালের ক্ষোভ সমর্থন করেন কি? আপনার মতামত জানান। জরিপে অংশ নিন আজ ১৪ ডিসেম্বর, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ফেসবুক পেইজে। জরিপের ফলাফল সন্ধ্যা ৭টার সংবাদে প্রার করা হবে।”
রাত সোয়া আটটায় ফেসবুক পেইজ ‘ইনডিপেনডেন্ট২৪,টিভি’ (independent24.tv) এ প্রদর্শিত ফলাফলে দেখা যায়, জরিপে হ্যা এর পক্ষে ভোট ৮১% এবং না এর পক্ষে ১৯%। আর ভোটারের সংখ্যা প্রদর্শিত হচ্ছিল ৩২ হাজার ১শ’ জন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ড. কামাল প্রথমে বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছেন, লোভ-লালসা নিয়ে লুটপাট করছেন তাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করবো। লাখো শহীদ জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, সেই স্বাধীনতাকে আমরা ধরে রাখি, সবার জন্য অর্থপূর্ণ করি। ঐক্যফ্রন্ট শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর জন্য শর্ত হচ্ছে জনগণের ঐক্য।
তার কথার শেষে জামায়াতের বিষয়ে তার অবস্থান প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে ড. কামাল প্রথমে এডিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে আবারও প্রশ্ন করা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে প্রশ্নকারি সাংবাদিককে ‘চুপ করো, খামোশ’ বলেন।