আপনার ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহারের খরচ কমাতে হট টিপস।

আপনার ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহারের খরচ কমাতে হট টিপস।
How to Reduce Your internet data

প্রতি মাসে কাড়ি কাড়ি টাকা খালি মোবাইলের ডাটার পেছনে খরচ হয়ে যাচ্ছে? ইন্টারনেট ডাটা রিচার্জ করছেন আর মুহূর্তেই সেটা শেষ হয়ে যাচ্ছে? এমন সমস্যা পোহাতে হয় অনেকেরই। অনেকে হয়তো রেগেমেগে সেলফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করাই ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। আসলে, আমাদের কিছু অসতর্কতার জন্য খরচ হয়ে যায় ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ডাটা। এগুলোর দিকে একটু নজর রাখলেই খরচ কমে যাবে আপনার। যেগুলো হয় তো আপনার ডাটা ব্যবহারের খরচ কমাতে পারবে।

১. পুশ নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন: অনেকসময় আপনার ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের অ্যাপসের কারণে খরচ হচ্ছে আপনার ডাটা। এগুলোর যেকোনো ধরনের প্রচারণামূলক বা মেসেজিং সার্ভিসের কারণে আপনার ডাটা খরচ হতে থাকে অজান্তেই। সুতরাং, যেকোনো ধরনের অ্যাপসে নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন।

 ২. ডাটার ব্যবহার ট্র্যাকিং করুন: অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মে আপনার ব্যবহৃত ডাটার পরিমাণ ট্র্যাক করার সুবিধা রয়েছে এখন। এতে কোন অ্যাপসরে কারণে আপনার কতটা ডাটা খরচ হচ্ছে, তা সহজেই হিসাবে রাখতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী ডাটা ব্যবহার করতে পারবেন।

 ৩. হোয়াটসঅ্যাপে অটো-ডাউনলোড বন্ধ রাখুন: হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা অনেক সময়ই অন্য কিছু গ্রুপের থেকে ছবি, ভিডিও কিংবা অডিও রিসিভ করেন; যেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাউনলোড হয়ে যায়। একমাত্র ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় ছাড়া সবসময় এই অটো-ডাউনলোড অপশনটি বন্ধ রাখুন।

 ৪. ভিডিও দেখা বা গান শোনায় সতর্ক হোন: মোবাইলের ডাটা থেকে কোনো মিউজিক ভিডিও বা গান যদি স্ট্রিমিং করেন; সে ক্ষেত্রে ক্ষেত্রবিশেষে অনেক বেশি ডাটা খরচ হতে পারে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে সতর্ক হোন, পারতপক্ষে ওয়াইফাই সংযোগ ছাড়া সেলফোনে ভিডিও বা অডিও স্ট্রিমিং না করাই লাভজনক।

 ৫. ডাটা কমপ্রেশন ব্যবহার করুন: আপনার যদি অনলাইনে অনেক আর্টিকেল পড়ার অভ্যাস থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনার মোবাইলে ডাটা কমপ্রেশন চালু রাখা খুবই ভালো বুদ্ধি। এতে করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন ওয়েবপেইজে আপনার ডাটা খরচের পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে।

সোহেল রানা
আরো নতুন টিপস এবং ট্রিকস আমার ওয়েব পরিদর্শন করুন

এটিএম বুথে স্কুল পড়ুয়া তরুণতরুণীর সেক্সলীলা! [ভিডিওসহ]

এটিএম বুথে স্কুল পড়ুয়া তরুণতরুণীর সেক্সলীলা! [ভিডিওসহ]


সমাজের আগামীর দর্পল তরুণ প্রজন্ম। তাদের অবক্ষয়ের কলংকে জড়ালো এবার এটিএম বুথ। বলা যায় সব ধরনের মানুষদের টাকা তোলার এ স্থানটিকেও অপবিত্র করছে তরুণ তরুণীরা। আশ্চর্যই বটে। নিরাপদ আর আরামদায়ক এসি ওয়ালা পরিবেশ, আর তাই নতুন লাভাররা এ স্থানটিকে বেছে নিচ্ছেন তাদের রোমান্সের নতুন প্লেস হিসেবে। কিন্তু তাদের মাথার ওপরে যে একটি গোপন ক্যামেরা আছে, এটি বোধহয় তারা মাথায় রাখেননী! ঠিক এমনই একটি ভিডিও, অনলাইনে দেখা গেছে যেখানে স্কুল পড়ুয়া তরুণ স্কুল ড্রেস পরেই তার লাভারকে নিয়ে রোমান্স করছেন এটিএম বুথের ভেতরে। তবে এ রোমান্স যে এত অশ্লীল তা একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবেন। গোপন ক্যামেরায় রেকর্ডিং করা পুরো ঘটনার ভিডিওটি দেখতে পারেন এখানে।

দুলাভাইকে দিয়ে শালীর সাথে একোন কর্ম করালো বোন! [ভিডিওসহ]

দুলাভাইকে দিয়ে শালীর সাথে একোন কর্ম করালো বোন! [ভিডিওসহ]

ভারতে ১৬ বছরের কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীকে তাঁর স্ত্রী ধর্ষণে সহায়তা করেছেন। মুম্বাইয়ের আন্ধেরির এমআইডিসি এলাকায় ওই কিশোরীকে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আটকে রেখে কয়েক দফায় ধর্ষণ করা হয়। এরপর ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে এক প্রতিবেশীকে জানালে তিনি শিশু সহায়তাকেন্দ্রে ফোন করেন। এদিকে আরেক ঘটনায় নয়াদিল্লীতে প্রেগনেন্ট বোনকে সহায়তা করতে দুলাভাইয়ের বাসায় আনা হয় শালীকে। নিজের বাসায় সুন্দরী শালীর রুপে মুগ্ধ হয়ে যান দুলাভাই। দুএকবার গায়ে হাত দিলেও শালীরুপী তরুণীটি তা এড়িয়ে যায়। বোনকে জানালেও সে গুরুত্ব দেয়নী। কিন্তু একদিন রাত গভীরে মেয়েটির বিছানায় গোপনে এসে দুলাভাই একি করলেন। পুরো ঘটনা দেখুন ভিডিওতে।

গাফফার চৌধুরীর উপর জুতা মারলে ছাওয়াব হবে : পার্থ

গাফফার চৌধুরীর উপর জুতা মারলে ছাওয়াব হবে : পার্থ

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিফ রহমান পার্থ বলেছেন, জনাব লতিফ সিদ্দিকি যখন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করেছিল তখন বলেছিলাম এই লোককে জুতা মারলে মিনাতে শয়তানকে পাথর মারার মত সওয়াব হয়ত হবে না। তবে কিছু সওয়াব অবশই হবে। আন্দালিফ রহমান পার্থ বলেন, এখন গাফফার চৌধুরীর ইসলাম নিয়ে কটূক্তির সংবাদটি পড়ার পর আমার মনে হছে যে জুতা মারার ব্যাপারটা গাফফার সাহেব এর ওপরও প্রযোজ্য। যে যত বড় কলামিস্ট, লেখক, রাজনীতিবিদ বা যাই হোক না কেন, ইসলাম কে অপমান করলে সে সবচেয়ে বড় অপদার্থ, মূর্খ। গাফফার চৌধুরী আপনি দেশে আসুন, বুঝবেন যে জনগন আপনাকে মন থেকে কতখানি ঘৃণা করে। উল্লেখ্য , নিউইয়র্কে ৩ জুলাই বিকেলে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘বাংলাদেশ : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কাফেরদের দেবতাদের নামে আল্লাহর ৯৯ নাম বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী পন্থী বুদ্ধিজিবী আব্দুল গাফফার চৌধুরী। এর আগে নিউইয়র্কে হজ ও তবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তার ফাঁসির দাবিতে হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামী দল বিক্ষোভ করেছে। মন্ত্রিত্ব হারালেও লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রয়েছেন। রোববার বিকেলে আন্দালিফ রহমান পার্থ তার ফেসবুকে এই মন্তব্য করেন

সবচেয়ে বেশি আয় কেটি পেরির

সবচেয়ে বেশি আয় কেটি পেরির

বিনোদন ডেস্ক : পপ তারকা কেটি পেরি এ বছর সবচেয়ে বেশি আয়কৃত নারী তারকা নির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি বিশ্বের প্রসিদ্ধ বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস-এর একটি জরিপে প্রকাশ পেয়েছে এ তথ্য। ২০১৪ জুন থেকে ২০১৫ জুন পর্যন্ত সময়ে বিশ্বের সব তারকাদের আয়ের জরিপ থেকে এ তালিকা তৈরি করা হয়।
আমেরিকান বক্সার ফ্লোয়েড মেওয়েদার এবং ম্যানি প্যাকুইয়াওর পর বিশ্বের ধনী তারকাদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন কেটি পেরি। নারীদের মধ্যে তিনি শীর্ষস্থানে রয়েছেন। ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন মেওয়েদার। অন্যদিকে ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে প্যাকুইয়াও রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। তিন নম্বরে থাকা কেটির আয় ১৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রাক্তন ওয়ান ডিরেকশন তারকা জায়ান মালিক রয়েছেন ধনী তারকাদের তালিকার চতুর্থ স্থানে। তার আয় ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রেডিও ডিজে এবং আমেরিকান গট ট্যালেন্ট হাওয়ার্ড স্ট্রেন স্থান পেয়েছেন এ তালিকার পঞ্চম স্থানে। তিনি গত বছর আয় করেছেন ৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আমেরিকান পপ তারকা টেইলর সুইফট রয়েছেন অষ্টম স্থানে। গত বছর তার ‘১৯৮৯’ অ্যালবামের মাধ্যমে ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে এ অবস্থানে তিনি।
গত বছরের শীর্ষ আয়ের তারকা ‘আয়রন-ম্যান’ খ্যাত রবার্ট ডাওনি জুনিয়র এবার রয়েছেন নয় নম্বরে। তার পরেই আছেন বিশ্বখ্যাত ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
তালিকায় সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে তারকা শিল্পী বিয়ন্সের। ৫৪.৫ মিলিয়ন আয় করে গত বছরের নারী তারকাদের মধ্যে শীর্ষ স্থান থেকে ২৯তম স্থানে নেমে এসেছেন তিনি। গত বছরের জরিপে তার আয় ছিল ১১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তালিকায় অবনমন ঘটেছে তারকা মডেল কিম কার্দাশিয়ানের। গত বছর ৩৩তম স্থানে থাকা এ তারকার অবস্থান এবার ৮০তম স্থানে। ২০১৪ সালে কিমের আয় ৫২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

নানা জটিলতায় ‘দ্য ক্রাইসিস’

নানা জটিলতায় ‘দ্য ক্রাইসিস’

বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন সিনেমা তালাশ : দ্য ক্রাইসিস। পয়লা জুলাই থেকে সিনেমাটির শুটিং শুরুর কথা থাকলেও নানা কারণে তা পিছাতে হয়েছে। এর প্রধান কারণ ছিলো সিনেমাটির নায়ক বাপ্পি পুরোপুরি ফিট ছিলেন না। এমনটাই জানান সিনেমাটির পরিচালক সৈকত নাসির।
নাসির বলেন, ‘বিভিন্ন কারণেই ১ জুলাই থেকে সিনেমার শুটিং শুরু করতে পারিনি। সিনেমাটির চিত্রনায়ক শারীরিকভাবে ফিট না। এছাড়া আবহাওয়া তেমন ভালো না। আমাদের প্রথম লটের পুরো শুটিং আউটডোরে। শুটিং চলাকালে বৃষ্টি বাগড়া দিতে পারে। তাছাড়া সামনে ঈদ আসছে। সব মিলিয়ে ঈদের পরেই সিনেমাটির শুটিং করবো’।
চিত্রনায়ক বাপ্পি বলেন, ‘অভিনয় করার জন্য পুরোপুরি ফিট নই আমি। এ কারণে কয়েক দিন বিশ্রাম নিয়ে ১১ জুলাই থেকে শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার প্রত্যাশা করছি।’
সিনেমাটিতে বাপ্পি ছাড়াও অভিনয় করবেন বিপাশা কবির ও নবাগত নায়ক এবিএম সুমন। সিনেমাটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন আব্দুল্লাহ জহির বাবু। অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার গল্প নিয়ে তৈরি হবে সিনেমাটি।
সৈকত নাসিরের পরিচালনায় দ্বিতীয় চলচ্চিত্র তালাশ- দ্য ক্রাইসিস। এর আগে দেশা দ্যা লিডার সিনেমা নির্মাণ করে আলোচনায় আসেন এ তরুণ নির্মাতা।

যে মস্তিষ্ক হিটলার পয়দা করেছিল

যে মস্তিষ্ক হিটলার পয়দা করেছিল
গোলাম মাওলা রনি : পৃথিবীতে সর্বকালেই দুই-চারজন হিটলারজাতীয় প্রাণী ছিল। স্থান কাল পাত্র ভেদে এরা কখনোবা ফেরাউন নাম ধারণ করে আবার কখনো হয়তোবা হামান। চেঙ্গিস খান, তৈমুর লং, হালাকু খানেরা প্রাণী হিসেবে হিটলারজাতীয় লোকদের তুলনায় বেশ খানিকটা উন্নত। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা সময় মতো আরেকদিন করা যাবে। আজ শুধু হিটলার নিয়েই থাকি। ১৯৩৩ সালের ৩০ জানুয়ারি জার্মানির ৮৬ বছরের বৃদ্ধ প্রেসিডেন্ট হিল্ডেনবার্গ হিটলারকে চ্যান্সেলর বানিয়ে দিলেন। জার্মানিতে চ্যান্সেলর পদটি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো একটি প্রশাসনিক পদবি। এই ঘটনার ঠিক দেড় বছরের মাথায় অর্থাৎ ১৯৩৪ সালের আগস্ট মাসে ফন হিল্ডেনবার্গ মারা যান। হিটলার তখন প্রেসিডেন্ট পদটিও দখল করে ফেললেন। জার্মানির ইতিহাসে একমাত্র হিটলারই একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ও চ্যান্সেলর উভয় পদ অাঁকড়ে ছিলেন আমৃত্যু। তাকে কি প্রেসিডেন্ট বলা হবে নাকি চ্যান্সেলর এই সমস্যা দূর করার জন্য তিনি নতুন একটি উপাধি গ্রহণ করলেন। তার এই উপাধিটির নাম ছিল ফুয়েবার অর্থাৎ ত্রাণকর্তা।
স্কুলের শিক্ষার্থীদের শিখানো হতো জার্মান জাতির ফুয়েবার মহামতি হিটলার হলেন দ্বিতীয় যিশুখ্রিস্ট- যিনি কিনা প্রথমজনের চেয়েও বড়। হিটলারের দলের নাম ছিল নাৎসি এবং দলের ভাবাদর্শকে বলা হতো নাৎসিবাদ। দেশের সব দল, ট্রেড ইউনিয়ন এমনকি সামাজিক সংগঠনগুলোকে ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হলো। জার্মানিতে আর কারুরই বাঁচার অধিকার থাকল না কেবল নাৎসি ভাবধারার লোকজন ব্যতিরেকে। শিক্ষা-দীক্ষা, অভিনয়, শিল্পকলা, বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং সংস্কৃতি সর্বক্ষেত্রে নাৎসিমার্কা ছাপ লাগিয়ে দেওয়া হলো। হিটলারের ছিল বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত কয়েকজন সহচর। এদের মধ্যে একজনের নাম হেরম্যান গোয়েরিং। তিনি বলতেন- বিশুদ্ধ যুক্তি, নীতিকথা, আর নিরপেক্ষ চিন্তার যুগ চলে গেছে। এখন নির্ভেজাল জার্মানরা বিবেক, বুদ্ধি, জ্ঞান-গরিমা, প্রজ্ঞা, ধর্মবোধ ইত্যাদি বাদ দিয়ে কেবল রক্ত দিয়ে চিন্তাভাবনা করে। গোয়েরিং ছাড়াও হিটলারের আরেক কুখ্যাত সহযোগী তাবৎ দুনিয়ায় পরিচিত হয়ে উঠেছিল। ডক্টর জোসেফ গোয়েবলসের পদবি ছিল তথ্যমন্ত্রী। তিনি সংবাদপত্র সম্পর্কে বলতেন- মানুষ যেমন পিয়ানো থেকে ইচ্ছামতো সুর বের করে- তেমনি সংবাদপত্রকেও আমার ইচ্ছামতো কথা বলানোই আমার অভিপ্রায়।
আজকের শিরোনাম হলো- যে মস্তিষ্ক হিটলার পয়দা করেছিল, অর্থাৎ যে ব্যক্তির চিন্তাধারা, জ্ঞানবুদ্ধি এবং ভাবধারা দ্বারা হিটলার অনুপ্রাণিত হয়ে নাৎসিবাদ তথা ফ্যাসিবাদ চালু করেছিলেন তার সম্পর্কে কিছু বলার চেষ্টা করব আজকের এই লেখনির মাধ্যমে। হিটলারের মূলমন্ত্র ছিল- বল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে নির্মূল করা, প্রতিদ্বন্দ্বীদের ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলা এবং সাধারণ জনগণের মুখ বন্ধ করে নাৎসিবাদের সব কিছু সমর্থন করিয়ে নেওয়া। চ্যান্সেলর নির্বাচিত হওয়ার কিছু দিন পর হিটলার পার্লামেন্টের সব বিরোধীদলীয় এমপিকে গ্রেফতার করে জেলে ভরলেন। ওই দেশে পার্লামেন্টকে বলা হয় রাইখস্টান। রাইখস্টান ভবন অর্থাৎ পার্লামেন্ট ভবনটি কোনো এক রাতে কে বা কারা সম্পূর্ণ পুড়িয়ে ছারখার করে দিল। নাৎসিরা বলল, এই কাজ বিরোধী দল করেছে- ফলে নতুন করে শুরু হলো ধরপাকড়।
১৯৩৩ সালের মাঝামাঝি সময়জুড়ে পুরো জার্মানিতে শুরু হলো নাৎসিদের ভয়ানক তাণ্ডব। প্রথমেই পার্লামেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হলো। রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা ন্যস্ত করা হলো হিটলার এবং তার মন্ত্রিসভার হাতে। এরা আইন তৈরি করতে পারবেন এবং যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারবেন। রাষ্ট্রের সংবিধান বাতিল বলে ঘোষণা করা হলো- গণতন্ত্রের দ্বারসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হলো। জার্মানিতে তখন পর্যন্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রীয় পদ্ধতিতে পরিচালিত সরকারব্যবস্থা। নাৎসিরা এ পদ্ধতি রহিত করে সব ক্ষমতা বার্লিনে এনে কেন্দ্রীভূত করল। প্রত্যেক জায়গাতেই নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পরিবর্তে ডিক্টেটর নিয়োগ করা হলো- যারা কেবল নিজের নিজের ঊর্ধ্বতন ডিক্টেটরের অধীন থাকবে। সর্ব প্রধান ডিক্টেটরের পদটিতে স্বভাবতই বসলেন হিটলার স্বয়ং।
এসব পরিবর্তন ঘটেছিল ঝড়ের গতিতে- অন্যদিকে উল্কার গতিতে পুরো জার্মানিতে ছড়িয়ে পড়ল নাৎসি ঝটিকা বাহিনীর অন্যায় অত্যাচার এবং প্রলয়ংকরী তাণ্ডব। দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এই বাহিনী এমন এক আতঙ্ক এবং অত্যাচার শুরু করল যা দেখে মানুষজন বর্বরতা এবং নৃশংসতার নতুন সংজ্ঞা জানল এবং ভয় ও আতঙ্কে একেবারে বোবা পাথর হয়ে গেল। তারা এ কাজ করত কেবল এ কারণে যে, ভিন্ন মতাবলম্বীরা তাদের দলমত ভুলে যেন নাৎসি বাহিনীতে যোগ দেয়। ভেবেচিন্তে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় এবং অবিশ্বাস্যরকম নিষ্ঠুরতার সঙ্গে তারা এ অভিযান চালাচ্ছিল। যেসব বই নাৎসিদের পছন্দ নয় তা যেমন ধ্বংস করা হচ্ছিল তেমনি পুরো সংবাদপত্র শিল্পকে গলাটিপে ধরা হয়েছিল নিদারুণভাবে। অতি সামান্য মতভেদ বা সমালোচনার অপরাধে বহু সংবাদপত্রকে নির্মমভাবে দমন করা হয়েছে। নাৎসি অত্যাচারের কোনো সংবাদই কাগজে প্রকাশ করতে দেওয়া হতো না, এমনকি এ সম্বন্ধে কেউ কানাঘুষা করলে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হতো।
নাৎসিদের এতসব কর্মকাণ্ডের পেছনে ছিল অন্তত একটি নীতি- বল প্রয়োগের নীতি। অপরের প্রতি বল প্রয়োগ এবং উৎপীড়নকে এরা শুধু প্রশংসা এবং উৎসাহ প্রদানই করত না- তাকে সর্বশ্রেষ্ঠ কর্তব্য বলে মনে করত। এই দর্শনের জনকের নাম অস্ভাল্ড স্পেংলার। লোকটি সেই যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ পণ্ডিতদের মধ্যে অন্যতম এবং তিনিই হলেন নাৎসি জাতির রূহানী পিতা। তার মন-মস্তিষ্ক এবং চিন্তাধারার কারণেই দুনিয়াতে হিটলার এবং নাৎসিবাদের পয়দা হয়েছিল।
তিনি যেসব বই লিখেছেন তাতে যে প্রচুর পরিমাণ পাণ্ডিত্যের পরিচয় আছে তা দেখলে আশ্চর্য হয়ে যেতে হয়। অথচ সেই অগাধ পাণ্ডিত্য নিয়েও তিনি উপনীত হয়েছেন অদ্ভুত এবং ঘৃণ্য সব সিদ্ধান্তে। তিনি বলেন- ‘মানষ হচ্ছে একটি শিকারি পশু, সাহসী, ধূর্ত এবং নিষ্ঠুর।’ ‘আদর্শবাদ মানেই কাপুরুষতা’- ‘শিকারি জন্তুই হচ্ছে জীবন্ত প্রাণশক্তির সর্বশ্রেষ্ঠ নিদর্শন। তার ভাষায় ‘সহানুভূতি আপস স্থাপন এবং শান্তি হচ্ছে দন্তহীন অনুভূতি।’ ‘ঘৃণা হলো শিকারি পশুর সবচেয়ে খাঁটি জাতিগত চেতনা’ মানুষকে হতে হবে সিংহের মতো- তার গর্তে তার সমান শক্তিশালী আর একজনের অস্তিত্ব সে কিছুতেই বরদাস্ত করবে না। শান্তসিষ্ট গরু পালে মিশে থাকে এবং যেদিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাও সেই দিকেই চলে। কাজেই মানুষকে গরুর মতো হলে চলবে না। সিংহসম মানুষের পক্ষে যুদ্ধই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কাজ এবং আনন্দ।
সম্মানিত পাঠক, এবার নিশ্চয়ই অস্ভাল্ড স্পেংলার নামক অদ্ভুত পণ্ডিত এবং দার্শনিক লোকটি সম্পর্কে কৌতূহলী হয়ে উঠতে পারেন। তিনি জার্মানিতে জন্মেছিলেন ১৮৮০ সালে এবং মারা গিয়েছেলেন মাত্র ৫৫ বছর বয়সে অর্থাৎ ১৯৩৬ সালের ৮ মে। তার লেখা ভুবন বিখ্যাত ইতিহাসগ্রন্থ ডিব্রাইন অব দি ওয়েস্ট বইটি এখনো পাঠকমহলে সমাদৃত। প্রথম মহাযুদ্ধের ইতিহাস লিখতে গিয়ে তিনি সম্ভবত এক ধরনের নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হন। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হলো তার চিন্তাধারায় প্রভাবিত হয়ে নাৎসিবাদ পয়দা হলেও তিনি কিন্তু ঘোর নাৎসিবিরোধী ছিলেন। জোসেফ গোয়েবলস বার বার ধরনা ধরেও সোংলারকে নাৎসি সমর্থক বানাতে পারেননি। এ যেন অনেকটা বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্কেস্টাইন এবং তার সৃষ্ট দানবের কাহিনীর মতো।
দানব যেভাবে বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্কেস্টাইনকে মেরেছিল নাৎসিরা কিন্তু ওভাবে স্পেংলারকে মারেনি। বরং যথেষ্ট তাজিম সহকারে তাকে সমীহ করত এবং তাদের ধর্মগুরু হিসেবে অনেকটা উপযাচক হয়ে তার সঙ্গে খায়খাতির করত। স্পেংলার ওসব পাত্তা দিতেন না। বরং জার্মানসহ পুরো ইউরোপে নাৎসিদের বিস্ময়কর উত্থান এবং পাশবিক কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ড মমপীড়া অনুভব করতেন। ফলে অতি অল্প বয়সেই তিনি তার স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেন। মৃত্যুর কয়েক বছর আগে তিনি স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে মিউনিখে বসবাস শুরু করেন। এই সময় তিনি বিখ্যাত জার্মান সংগীতজ্ঞ বিটোফেনের গীত শুনতেন, ফরাসি সাহিত্যিক নাট্যকার মলিয়িরের রম্য রচনা এবং শেকসপিয়রের রচনাসমূহ পাঠ করতেন।
বাজার থেকে হাজার হাজার বই কিনে লাইব্রেরি বানাতেন, তুরস্ক, পারস্য এবং হিন্দুস্তানের প্রাচীন যুদ্ধাস্ত্র সংগ্রহ করতেন। মাঝে মধ্যে সুউচ্চ হার্জ পর্বতামালার শিখরে উঠতেন এবং ইতালিতে ভ্রমণ করতেন। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে কোন এক বসন্ত দিনে তিনি তার এক প্রিয় শিষ্যকে চিঠি লিখলেন। শিষ্যটি তখন জার্মানির জাতীয় নেতা এবং হিটলারের অতীব কাছের মানুষ। হ্যানস ফ্রাঙ্ক নামের শিষ্যটি একদিকে যেমন ছিলেন নাৎসি পার্টির বড় নেতা অন্যদিকে হিটলারের ব্যক্তিগত আইনজীবী।
তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন জার্মানির চিফ জুরিস্ট এবং অধিকৃত পোল্যান্ডের জেনারেল গভর্নমেন্ট ছিলেন। স্পেংলার লিখলেন- ‘আগামী ১০ বছর পর জার্মানি নামের বর্তমান রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব হয়তো থাকবে না। তিনি মারা গেলেন ১৯৩৬ সালের ৮ মে- ঠিক তার ৫৬ তম জন্মদিনের তিন সপ্তাহ আগে এবং জার্মানির পতনের ঠিক নয় বছর আগে।

উত্তর বসন্তে জ্যোতি

উত্তর বসন্তে জ্যোতি

উত্তর বসন্ত নামের একটি নাটকে অভিনয় করলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। শিবু কুমার শীলের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন পারভেজ আমিন।
 
জ্যোতি বলেন, ‘ভিন্নধর্মী একটা গল্প। আমাদেও সমাজে ঘটে চলা প্রেমের করুণ পরিণতিই এখানে দেখানো হয়েছে। নাটকটি সবার ভালো লাগবে। ’
 
নাট্যকার সূত্রে জানা যায় ‘নানা ঝামেলা পেরিয়ে প্রতিদিন নীরার কলেজের বাসটা ধরতে দেরি হয়ে যায়। রুবেল নামে একটি ছেলে ইদানিং নিরাকে তার ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে চিরকুট পাঠাচ্ছে। কখনো নিরার মনে হয়, কেউ তাকে ভালবাসুক, তার জন্য অপেক্ষা করুক। কিন্তু পরক্ষণেই নিরা চমকে ওঠে। নিরার বড় বোন নিপার সাথে প্রেম ছিল অভিকের। সেই নিপা একদিন তার সমস্ত ভালবাসা নিয়ে মরে গেল। আত্মহত্যা করেছিল। একদিন ক্লাসে ঢুকেই নিরার চোখ যায় নতুন শিক্ষকের দিকে। এই তরুন শিক্ষক সেই অভিক ভাই। যার প্রতি প্রবল ভালবাসা নিয়ে নিপা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। সে অভিককে তার বাসায় আসার আমন্ত্রণ জানায়। অভিক নিরার সাথেই তাদের বাসায় আসে। নিপার ধুলোজমা ঘরটা খুলে দিলে অভিক নিপার ছবির সামনে দাঁড়ায়, তখনই সে জানতে পারে নিপা বেঁচে নেই।’ এমনই গল্প নিয়ে এগিয়ে গেছে কাহিনী।
 
অভিক আপরাধীর মত স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। নাটকটিতে জ্যোতিকা জ্যোতি ছাড়াও অভিনয় করেছেন- রওনক, অপর্ণা, খালেদা আক্তার কল্পনা প্রমূখ। নাটকটি এনটিভিতে প্রচারিত হবে। 

হারিয়ে গেছি একদিন

হারিয়ে গেছি একদিন

কমলা কালো ডোরাকাটা মাঝারি একটা বল। বসার ঘরের দেয়ালে ছুড়ে দেয়া আর লুফে নেয়া এই হলো খেলা। মোটামুটি ঘোর লাগা খেলা ঘন্টা পার করে দেয়া যায়। যার ওই ঘোড় কোন দিন লাগেনি সে বুঝবে না। খেলা বন্ধের জন্য ২ বার মৃদু একবার সাবধান বাণী আর একবার গর্জন হয়ে গেছে। কে শোনে কার কথা। হঠাত বলটা ফসকে গেল। পরবি তো পর মালির ঘাড়ে। পর্সেলিনের লাফিং বুদ্ধ হাসতে হাসতে আমাকে ডুবিয়ে পরপারে চলে গেলেন। সেদিন, আমি একটা চড় খেয়েছিলাম দিদির হাতে। এমন ২/১টা চড় খাওয়া কিন্তু কোনো ব্যপার নয়। এমন না হলে বড় হবার ইচ্ছেটাই তো মরে যায়। আসল বিষয়টা ছিল ওই চড় খেয়ে অভিমানটা। ফুলে ফুলে কাঁদতে কাঁদতে মনে হয়েছিল বাড়ি ছেড়ে চলে যাব একা আর কোনদিন ফিরে আসব না। কল্পনার জগতে কত যে হিসেব কষা বাড়ি থেকে বের হয়ে কমলাপুর স্টেশন তার পর দূর কোন গ্রাম একা থাকব মাটির চুলোয় রান্না করে খাব। বৈষয়িক কোন ভাবনা বাদে নির্ভেজাল স্বপ্ন মন্থিত কল্পনা। তেমন করে আর বাড়ি পালান হয়নি কোনদিন।
ছোটবেলা খুব চিঠি লিখতাম বন্ধুদের কে। আমি একা না আমাদের সব বন্ধুরাই লিখত একে অপরকে। কেন লিখতাম জানি না হোমওয়ার্ক এর একটা বড় সময় নষ্ট হতো এই অকাজে। কোন কাজের কথা না যাবতীয় আজব অদ্ভুদ অলীক কথা ভর্তি চিঠি। এই চিঠিগুলো লিখতে আর পেতে কি পরিমান আনন্দ হতো সেটা মনে হয় কখনই ব্যাখ্যা করে বুঝানো যাবে না। বন্ধুরা সে সময় পৃথিবীর সব থেকে আপন ছিল হাঁ মনে হয় বাবা মা ভাই বোন থেকেও আপন। একসময় আমাদের চিঠি লেখা বন্ধ হল। একসময় জীবনের টানে সব থেকে আপন বন্ধুরা ছিটকে গেল এক এক দিকে। অভিমান, দুঃখ আর কত মিশ্র অনুভুতি এবং কি তীব্র সেই হারানোর কষ্ট। মনে হতো ধুর আমিও হারিয়ে যাবো একদিন।
তার পরে, ছোটবেলায় আমার খুব অদ্ভুত কিছু খেলা ছিল ভাঙ্গা ইটের টুকরো পাথরে ঘষে বিভিন্ন সুন্দর আকৃতি দেয়া। বিশেষ কিছু যে বানাতাম তা নয় কিন্তু ইটের মসৃন কিছু আকৃতি। আমি নিজেও ব্যাখ্যা দিতে পারব না কেন এত পরিতৃপ্তি হত। আমি বুঝি কিছুটা সময় নিজেকে একজন ভাস্কর ভেবে নিতাম। আমার কোনো পুতুল ছিল না। না একটাও না। আমি পুতুল খেলা বিষয়টা কোনো দিন বুঝি নি এখনো বুঝি না। আমার খেলা ছিল গাছের ডালে বসে থাকা।ঘুড়ি উড়ানোর চেষ্টা করা। স্কুলের গাছ থেকে পা ফস্কে পরে হাটু পা কেটে একাকার করেছি কত বার হিসেব নেই। এই পরিতৃপ্তি, না বুঝতে চাওয়ার উদাসীনতা, গাছে উঠা বা ঘুড়ি ওড়ানর সতন্ত্র চেষ্টা সবই ছিল খুব ভীষণ আর স্পষ্ট। সে সময় এত পরিতৃপ্তির মাঝেও অন্য রকম একটা না পাওয়া আর একটা অস্থিরতা কাজ করতো, সব ভেঙ্গে বেরিয়ে যাবার প্রবল আগ্রহ অধীর করে রাখতো।
ছোটবেলার সব অনুভুতিগুলোই ছিল তীব্র খুব সরল আর খাঁটি। একসময় বাড়ি ছেড়ে পালানোর সপ্ন দেখা আমি সত্যি সত্যি বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হলাম। পড়তে চলে গেলাম অনেক দূরে। সেই থেকে একটু একটু করে সব বদলানর পালা। প্রচণ্ড আবেগি আর বোকা বোকা রোম্যান্টিক একটা জীবন থেকে একেবারে বাস্তব আর রুক্ষ মাটিতে আছড়ে পরা যেন। রাজকুমারীর জীবনের একটা অধ্যায় নিখুঁত হলে অন্যটি কষ্টের হতেই পারে। এই জীবনে সবই তো সমান ভাগ করে দেয়া। এক লহমায় বড় হয়ে যাওয়া
ধীরে ধীরে স্বাধীনতার নতুন স্বাদ। নতুন কিছু অনুভুতি। সেই যে ছেলেবেলায় একা হওয়ার সপ্ন তারই আনন্দ বার্তা যেন চারদিকে। নতুন শহর নতুন দেশ যেন নতুন করে নিজেকে খুঁজে পাওয়া। একসময় কিছু নতুন মানুষের সাথে পরিচয়। বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব কি ঠিক বলা যায়? ছেলেবেলায় যে নিষ্পাপ স্বার্থহীন বন্ধুত্ব হয় বড় বেলায় তা ঠিক হয়ে ওঠে না। বড়বেলায় যা হয় সেটা চক্র বা সারকেল। কিছু সহমতের মানুষের একসাথে চলা মতের অমিল হলেই চক্র থেকে ছিটকে পরা। আবার একা হওয়া আবার নতুন কোন চক্র। এক সময় জীবনের নানা জটিলতা। অনেক অনেক দায়িত্ব। হাজার কাজের আর কর্তবের বোঝায় আশে পাশে হাজার মানুষের ভিড়ে কেমন করে যেন ঘুরে ফিরে সেই চক্র থেকে ছিটকে পরে একা হয়ে যাওয়া।
বাড়ি ছেড়ে পালানোর প্রবল ইচ্ছেটা বিধাতা এমনই ভাবে মেনে নিবেন বুঝিনি। সেই যে বের হয়ে এলাম আর সত্যি করে ফিরে যাওয়া হল না। এখনও বাড়ি ফিরি কিন্তু, বাড়ির মানুষ হয়ে আর ফেরা হয় না ফেরা হয় অতিথি হয়ে। সব থেকে ভাল থাকা, ভাল খাওয়া, ভাল আচার ভাল ব্যবহার সাজিয়ে অপেক্ষা করে বাড়ির মানুষ গুলো। যে বাড়িটা একান্ত নিজস্ব আমার সেই বাড়িটা আমার সামনে তার চোখ মোছেনা কখনই। তেমনি ভাবে আমিও না । সব কিছুতেই আনন্দ সুখের আনাগোনা আর ভালটুকু সবার সামনে তুলে ধরা। নিজের জীবনের ধুসর কালশিটে গুলো সযত্নে রঙ্গিন তুলির আচড় দিয়ে ঢেকে হাস্যজল মুখে ঘুরে বেড়ানো একসময় সেটাই জীবনের সত্যি হয়ে দাঁড়ায়। ছেলেবেলার সব অনুভুতির তিব্রতা যেমন অনেক বেশি ছিল। তার প্রকাশও ছিল প্রছন্দ। চেপে রাখার কোন বালাই ছিল না হাসি, কান্না, দুঃখ কষ্ট অভিমান সব যেন নির্দ্বিধায় প্রকাশ করে দেয়া যেতো। বড়বেলায় এসে অনুভুতি গুলো আরও অনেক বেশি তীব্র অনেক ধারালো শুধু প্রকাশ করা যায়না প্রকাশ করতে নেই। প্রকাশে ছোট হয়ে যেতে হয়। প্রকাশে রহস্য চলে যায়। প্রকাশে মানুষ খেল হয়ে পরে। ধীরে ধীরে একা হয়ে যাওয়া। লক্ষ মানুষের ভিড়ে নিজের সব থেকে সাজানো গোছানো মিথ্যেটাকে আঁকড়ে ধরে নিঃস্ব আর একা দাড়িয়ে থাকা এই বুঝি চরম সত্য এই বুঝি জীবন। তবুও জীবনের নিয়মেই জীবন চলুক তার মাঝে কখনো কোন সময় একফালি রোদ এসে হাঁসিয়ে দিয়ে যাক আর সেটাই কাম্য হোক।

ক্রিকেটারদের সম্মাননার সময় চোখের সামনে ভেসে উঠছিল রানা প্লাজা

ক্রিকেটারদের সম্মাননার সময় চোখের সামনে ভেসে উঠছিল রানা প্লাজা

শনিবার গণভবনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বিশ্বকাপে ভালো পারফরমেন্স করার জন্য রাষ্ট্রিয়ভাবে অর্থ ও সম্মাননা দেয়া হয় ক্রিকেটারদের। এ বিষয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক ‘সাপ্তাহিক’র সম্পাদক এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মোর্তজা তার ফেসবুক পাতায় এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ক্রিকেটারদের সম্মানিত করার দৃশ্য যখন দেখছিলাম, তখন চোখের সামনে ভেসে উঠছিল রানা প্লাজার শ্রমিকদের ছবি। ১০০ কোটি টাকার উপরে জমা থাকার পরও অনেক শ্রমিকের পরিবারকে রাষ্ট্র ক্ষতিপূরণ দিল না। স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করছি না। তবু কেন যেন মনের অজান্তেই প্রসঙ্গটি চলে আসে। রাস্ট্রীয়ভাবে ক্রিকেটারদের অর্থ -সম্পদ -সম্মাননা দেয়ায়, নিশ্চয়ই বাংলাদেশের সব মানুষই আনন্দিত।

পুরো দেশকে ক্রিকেটাররা যে আনন্দ -গৌরব উপহার দিয়েছে, অর্থ -সম্পদ সেখানে খুবই নগন্য। প্রয়োজনে আরও বেশি অর্থ দেয়া যেতে পারে, কোনো আপত্তি নেই। ক্রিকেটারদের সম্মানিত করার দৃশ্য যখন দেখছিলাম, তখন চোখের সামনে ভেসে উঠছিল রানা প্লাজার শ্রমিকদের ছবি। ১০০ কোটি টাকার উপরে জমা থাকার পরও অনেক শ্রমিকের পরিবারকে রাষ্ট্র ক্ষতিপূরণ দিল না। পঙ্গু হয়ে যাওয়া শ্রমিক ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, রাষ্ট্র তাদের কোনো খবর নিল না।

সরকার শুধু মালিকদের স্বার্থই দেখল! প্রধানমন্ত্রী একজন পঙ্গু শ্রমিককে, নিহত প্রতি শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে ইফতার করছেন। একেক জনের হাতে তুলে দিচ্ছেন ৫০/৬০ লাখ টাকার চেক। কল্পনা করুণ তো সেই দৃশ্য!পঙ্গু শ্রমিক বা নিহত শ্রমিকের বাবা -মা -ভাই বা স্ত্রীর মূখ কতটা হাস্যজ্জল হয়ে উঠত!! টাকা তো ছিলই, এমন একটি দৃশ্য কি দেশের মানুষকে উপহার দিতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী!!! দেশের উন্নয়নে, বৈদেশিক মূদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে অন্য যে কারও চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তো না এই শ্রমিকদের।

অভিনেতারাই নিরাপত্তাহীনতায় বেশি ভোগেন

অভিনেতারাই নিরাপত্তাহীনতায় বেশি ভোগেন

সেই ‘আশিকি টু’ থেকে শুরু করে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর। সকলেই মনে করেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একজন অভিনেত্রী আরেক অভিনেত্রীর জন্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, কিন্তু এ বিষয়ে শ্রদ্ধা কাপুর বললেন অন্য কথা।
টানা চার চারটি হিট সিনেমা উপহার দেয়া শ্রদ্ধা কাপুরের হাতে এখন ‘রক অন টু’ ও ‘বাঘী’রয়েছে । সম্প্রতি শ্রদ্ধা কাপুরকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, তিনি মনে করেন এই যে অভিনেত্রীদের মধ্যে মন কষাকষি, এসবই গণমাধ্যমের সৃষ্টি। তবে এর পরপরই শ্রদ্ধা কাপুর যা বললেন তা শুনে নড়েচড়ে বসবেন অনেকেই। তিনি বলেন, নায়িকাদের চেয়ে নায়করাই ক্যারিয়ার নিয়ে নাকি বেশি নিরাপত্তহীনতায় ভোগেন।
উল্লেখ্য, শ্রদ্ধা কাপুর ও বরুণ ধাওয়ান অভিনীত সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘এবিসিডি টু’ সিনেমাটি ইতোমধ্যেই ১০০ কোটির ঘরে পা দিয়েছে।

আবারও অশ্লীলতার দায়ে বিতর্কিত সানি লিওন!

আবারও অশ্লীলতার দায়ে বিতর্কিত সানি লিওন!

পর্ণ স্টার হবার সুবাদে হোক আর যে কারণেই হোক না কেন, বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না সানি লিওনের। কিছু না কিছু নিয়ে সর্বদাই সংবাদ শিরোনামে আছেন তিনি। যদিও বলিউড জুড়ে এখন তাঁরই জয়জয়কার, ক্যারিয়ার আছে একদম তুঙ্গে। চলতি নতুন বছরে আরও একাধিক চমক নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হচ্ছেন সানি। শুধু তাই নয়, এ বছর বলিউডের মধ্যে সর্বাধিক ছবির নায়িকাও তিনি। বছরের বিভিন্ন সময় পাঁচ পাঁচটি ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার আর এই সবক’টি ছবির প্রধান চরিত্রই হলেন সানি। অভিনীত এ পাঁচটি ছবি হলো- ‘কুচ কুচ লোচা হে’, ‘মাস্তিজাদে’, ‘লীলা’, ‘টিনা এন্ড লোলো’ এবং ‘বেইমান লাভ’।

তবে সম্প্রতি মাস্তিজাদে নিয়ে আবারও সমালোচনায় পড়লেন তিনি। কিছুদিন আগেই এই সিনেমার “লায়লা লেলে” শিরোনামের ছোট্ট একটা প্রমো নিয়ে মহা ভেজালে পড়েছিলেন। সেখানে তাঁকে দেখা যায় বিকিনি পরে দুটো কলা হাতে অশ্লীল পোজ দিতে। আর এবার সমালোচিত হলেন এই সিনেমারই পোস্টার নিয়ে! দুটি পোস্টারের একটিতে পুরোপুরি নগ্ন হয়ে পোজ দিয়েছেন তিনি। শুধু হাত দিয়ে নিজের গোপন অঙ্গ ঢেকে রেখেছেন।

অবশ্য তীব্র সমালোচনার মুখে সেই পোস্টারটি বাতিল করা হয়েছে। তবে নতুন যে পোস্টার তৈরি হয়েছে, সেটাও হচ্ছে তীব্রভাবে সমালোচিত। এ পোস্টারে ব্যাপক খোলামেলা হয়ে দুই হাতে দুটি কলা নিয়ে চোখ মেরে অশ্লীল পোজ দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক হচ্ছে বলিউডপাড়া থেকে শুরু করে বিশ্ব মিডিয়ায়। তবে এ পোস্টারটি পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছেন পরিচালক মিলাপ জাভেরি। এ ছবির চলতি পোস্টার বিতর্ক নিয়ে সানি লিওন বলেন, আমার মনে হয় ছবির নাম, গল্পের সঙ্গে পোস্টারটি পুরোপুরি যায়।

সুতরাং এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। আর হলেও সেটা নিয়ে ভাবতে চাই না। এ ছবিটি নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী। আশা করছি ‘মাস্তিজাদে’সহ আমার অভিনীত চলতি বছরের পাঁচটি ছবি দর্শকদের আনন্দ দেবে। চলুন, দেখা নেয়া যাক যে বিতর্কিত পোজ দিয়ে তৈরি হইয়েছে এই পোস্টার!

পিঠখোলা ছবি প্রকাশ করে সমালোচিত স্পর্শিয়া

পিঠখোলা ছবি প্রকাশ করে সমালোচিত স্পর্শিয়া

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়ার একটি পিঠখোলা ছবি অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হয়ে পড়েছে সম্প্রতি। ছবিটির নিচে স্পর্শিয়ার ভক্তরা নানা বিরূপ মন্তব্য করেছেন। ছবিটি নিজের বলে স্বীকারও করে নিয়েছেন স্পর্শিয়া।
জানা যায় জুয়েলারি ব্রান্ড 'টিজেড'স এর মডেল হয়েছিলেন সম্প্রতি।প্রতিষ্ঠানটির নেকলেস পড়া একটি পিঠখোলা ছবি আপলোড করা হয় স্পর্শিয়ার ফ্যানপেইজে। এরপর থেকেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।
যদিও স্পর্শিয়া দাবী করেছেন ঐ ছবিটি তিনি নিজে আপলোড করেন নি, এমনকি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানটিও আপলোড করেনি। কিন্তু যাইহোক বাংলাদেশি অভিনেত্রীদের এমন ছবি প্রকাশে প্রশংসার চেয়ে সমালোচনাই বেশি হচ্ছে।

পথ হারাল বাংলাদেশ

পথ হারাল বাংলাদেশ

সাব্বিরও। নাসিরও এক রান করে ফিরলে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
আসলে এই উইকেটে ব্যাট করা খুবই কঠিন। জেপি ডুমিনিই যেমন তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট। দু্ই ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। বাংলাদেশের স্পিনাররাও দক্ষিণ আফ্রিকার রানের চাকা আটকে রেখেছিল।
আরাফাত সানি শুরুতেই কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। এবি ডি ভিলিয়ার্সকে ফিরিয়ে দিয়ে ব্যাকফুটে ঠেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। নাসিরের বলে কুইন্টন ডি কক সাজঘরে ফিরলে প্রোটিয়ারা আরও বিপদে পড়ে। তবে অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসির অধিনায়কোচিত এক ইনিংসে শেষ পর্যন্ত পাল্টা লড়াইটা ভালোই করল সফরকারীরা। ডু প্লেসির অপরাজিত ৭৯-এর সঙ্গে রাইলি রুশোর হার না মানা ৩১ রানের কার্যকর এক ইনিংস প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ১৪৮ রান। ​টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই স্কোর বড় কিছু নয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকাতে স্পিনের যে মৃত্যুকূপ বানিয়েছে বাংলাদেশ, এখন সেখানেই খাবি খাচ্ছে তারা নিজেরাই।
স্পিন দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের কাবু করার কৌশল নিয়েই আজ মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। থিংকট্যাংকের পরিকল্পনাটা মাঠে ভালোই বাস্তবায়ন করেছেন দলের দুই ঘূর্ণি বোলার আরাফাত সানি ও নাসির হোসেন। শুরুতেই দুই উইকেট তুলে নিয়ে এই দুজন প্রোটিয়াদের ওপর যে চাপ তৈরি করেছিলেন, সেই চাপেই হয়তো সংগ্রহটা খুব বড় করতে পারল না তারা। শুরুর দুজনের তৈরি চাপটা শেষ পর্যন্ত বজায় রাখলেন মুস্তাফিজ-সাকিবরা। সোহাগ গাজি অ্যাকশনের ত্রুটি সারিয়ে আজ মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ঠিক তাঁর ভেতর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের পক্ষে আজ দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন আরাফাত সানি। এবি ডি ভিলিয়ার্স ও জেপি ডুমিনির উইকেট দুটো তাঁর। বাকি দুটো উইকেটের একটি নাসিরের, অপরটি সাকিবের। নাসির ফিরিয়েছেন কুইন্টন ডি কক, সেটা আগেই বলা হয়েছে, সাকিবের শিকার ডেভিড মিলার। 

ফ্যাফ ডু প্লেসির ৭৯ রানের ইনিংসটি এসেছে ৬১ বলে। আটটি চারে সাজানো এই ইনিংস। ছক্কা মারতে পারেননি একটিও। রাইলি রুশোর ৩১ রানে ছিল ২টি চার ও ২টি ছয়ের মার। ২১ বলে রুশোর ইনিংসটি ছিল পরিস্থিতি বুঝে, চাপ সামলে খেলা চমৎকার এক ইনিংস।
এখন পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করতে হবে বাংলাদেশও। আর তাতে নেতৃত্ব দিতে হবে সাকিবকেই

আমাদের জয় হবেই হবে

আমাদের জয় হবেই হবে

ইমরান এবং পড়শী, বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের পরিচিত দুটি নাম। নতুন করে জনপ্রিয়তা পাবার কিছু নেই। এখন আছে শুধু জনপ্রিয়তা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষেই এখন কাজ করে যাচ্ছেন এ দুজন শিল্পী। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তারা উপহার দিলেন ‘জয় হবেই হবে’ শিরোনামের একটি গানের মিউজিক ভিডিও। রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় গানটির সুর এবং সংগীতপরিচালনা করেছেন ইমরান। মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন চন্দন রায় চৌধুরী।
গত ২০ জুন ইউটিউবে প্রকাশ করা হয় ‘জয় হবেই হবে’ গানটির মিউজিক ভিডিও। এমন সময় গানটি প্রকাশ করা হল যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল উপহার দিয়ে চলেছে একের পর এক জয়। তবে কি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়েই এই গান করা? উত্তরে পড়শী বলেন, ‘ক্রিকেটে এখন আমরা নিয়মিত বড় দলগুলোর বিপক্ষে জয় পাচ্ছি এটা ঠিক। তবে বাকি দিক গুলোতেও কিন্তু আমরা পৃথিবীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের পোশাক শিল্প বিশ্বমানের। আমরা এখন আমাদের দেশীয় পণ্য দেশের বাইরে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের জয় আসছে। তাই বলা যেতে পারে সবকিছু মিলিয়েই আমাদের এই গান। আসলে গোটা বাংলাদেশকে উজ্জীবিত করতেই আমাদের এই গানটা করেছি।’
এবার জানতে চাওয়া হল ‘জয় হবেই হবে’ সৃষ্টির গল্প। কিভাবে এমন একটি গান করার পরিকল্পনা মাথায় আসলো? ইমরান জানালেন, ‘আসলে মানুষ নিজেই যদি নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে তাহলে দেশই উপকৃত হয়। মানুষের এই স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজন হয় উৎসাহ। হঠাৎ করেই মনে হল এমন একটি গান করা উচিৎ যে গান শুনে মানুষ উজ্জীবিত হয়ে নিজের স্বপ্নকে তাড়া করতে শিখবে আরও ভালোভাবে। তারপরই গানটি করে ফেললাম।’

মিউজিক ভিডিওর একটি অংশে পড়শীকে নাচতে দেখা গেছে। নাচটা কি ছোটবেলা থেকেই রপ্ত ছিল নাকি এই গানের শুটিং এর প্রয়োজনে নতুন করে শিখতে হয়েছে? একটু হেসে পড়শী জানালেন, ‘আমি গানেরও আগে নাচে ভর্তি হই। ক্লাস ফাইভ থেকে আমি নাচ শিখছি। এই গানের মিউজিক ভিডিওর একটি অংশে চন্দন দা’র মনে হল একটি নাচের অংশ রাখলে ভালো হবে। ছোটবেলা থেকে যেহেতু আমি নাচের মানুষ তাই আমিও খুবই আগ্রহী হয়েছিলাম এই অংশটির জন্য। এখন গানের পাশাপাশি নাচের জন্যও অনেকের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছি। ভালোই লাগছে।’
মিউজিক ভিডিওতে মাত্র একটি অংশে ইমরানকে দেখা গিয়েছে। পুরো গানে কেন নিজেকে আড়াল করে রাখলেন ইমরান? তিনি জানালেন, ‘আসলে গানটির মিউজিক ভিডিও অনেক পরিকল্পনা করে করা হয়েছে। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়াতে হয়েছে। নিজের একক অ্যালবাম, সিনেমার প্লেব্যাকের কাজ সহ নানান কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে আমি শুটিং ইউনিটের সঙ্গে থাকতে পারিনি। তাই গানের পুরো অংশে আমাকে দেখা যায়নি। ঢাকায় যখন শুটিং হয়েছিল তখন আমি থাকার চেষ্টা করেছি।

সামনে দুজনের ব্যস্ততা কি নিয়ে? ইমরান জানালেন তিনি তার একক অ্যালবামের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। ঈদে সংগীতার ব্যানারে প্রকাশিত হবে তার নতুন একক অ্যালবাম ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’। পাশাপাশি কাজ করছেন সিনেমা এবং নাটকের গানের। এছাড়া ঈদের আগের দিন স্টেজ শো এর জন্য দেশের বাইরে জাবেন তিনি। ফিরবেন ঈদের তৃতীয় দিন। ফিরেই চতুর্থ দিন অংশ নেবেন একটি চ্যানেলের সরাসরি গানের অনুষ্ঠানে। অন্যদিকে পড়শী জানালেন আস্তে আস্তে তিনি নিজের নতুন একক অ্যালবামের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। পাশাপাশি কাজ করছেন প্লেব্যাকে। এছাড়া সামনেই আছে তার শুটিং। তবে তা কোন মিউজিক ভিডিওর নয়। ‘মেন্টাল’ শিরোনামের একটি সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যাবে পড়শীকে। খুব শিগগিরি শুরু হবে শুটিং।

একযুগ পূর্ণ করলো এনটিভি

একযুগ পূর্ণ করলো এনটিভি

শুক্রবার এক যুগ পূর্ণ করে ১৩ বছরে পদার্পণ করলো দেশের জনপ্রিয় বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি। ‘সময়ের সাথে আগামীর পথে’ শ্লোগান নিয়ে ২০০৩ সালের ৩ জুলাই যাত্রা শুরু করে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি।
ঠিক পরের বছর ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ ঘণ্টার সম্প্রচার শুরু করে চ্যানেলটি। দেশীয় চ্যানেলগুলোর মধ্যে এনটিভিই সর্ব প্রথম ২০১১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর অর্জন করে আইএসও সনদ।
এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাত ১২.০১ মিনিটে সুধীজনদের নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন এনটিভি’র চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী। এনটিভি’র ষ্টুডিও থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, পরিচালক আমজাদ হোসেন, মাহফুজ আহমেদ, চয়নিকা চৌধুরী, অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমুসহ বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এনটিভি’র পরিচালকবৃন্দ, কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৩ জুলাই সকাল ১০.১৫ মিনিটে কারওয়ান বাজারস্থ এনটিভি’র কার্যালয় থেকে বের হয় একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এখানে এনটিভি’র কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিল্পী ও পেশাজীবি ব্যক্তিবর্গ। পরিচালক ও তারকাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ড. ইনামূল হক, ডা:এজাজ, মাজনুন মিজান, বাঁধন, স্বাগতা, কল্যাণ, নাজিরা আহমেদ মৌ, নাট্য নির্মাতা এজাজ মুন্না, চয়নিকা চৌধুরী, সাখাওয়াৎ মানিকসহ অনেকে।
শোভাযাত্রাটি শাহবাগ হয়ে আবার কারওয়ান বাজার ফিরে আসে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল থেকেই এনটিভি কার্যালয়ে সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আসতে থাকেন এনটিভিতে শুভেচ্ছা জানাতে। এছাড়া ৩ জুলাই দিনব্যপী এনটিভি’র পর্দা জুড়ে ছিলো বিশেষ আয়োজন।
যুগপূর্তি উপলক্ষে এনটিভি’র চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী বলেন, এনটিভি বাংলাদেশের জনগনের টিভি। এটা দেশের মানুষের সম্পদ। আগামী ১২ বছর কেন, আরো যুগ যুগ ধরে এনটিভি বাংলাদেশের মানুষের কথা বলে যাবে-সেটাই প্রত্যাশা করি। সকল রাজনীতির উর্ধ্বে দেশের মানুষের কথা বলবে এনটিভি, বাংরাদেশকে বহি:র্বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের খসড়া প্রস্তাবে ভারতের বিরোধিতা

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের খসড়া প্রস্তাবে ভারতের বিরোধিতা

রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনইচসিআর। শুক্রবার কোনো ভোট ছাড়াই খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। তবে ভারত এর বিরোধিতা করে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে।
গত মে মাসে থাইল্যান্ডের শঙ্খলা প্রদেশের জঙ্গলে একটি গণকবর থেকে ৩৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের অধিকাংশই মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকান) রাজ্যের জাতিগত সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা মুসলিম। মানবপাচারকারীদের শিকার এসব রোহিঙ্গাকে মালয়েশিয়া নেয়া হচ্ছিল। এরপর ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা। এদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা। এরপরই রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছিল জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বারবারই নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
খসড়া প্রস্তাবটি বৃহস্পতিবার উত্থাপনের কথা থাকলেও মিয়ানমার প্রতিনিধির অনুপস্থিতির কারণে হয়নি। ভারত অবশ্য ওইদিনই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। জেনেভায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অজিত কুমার এই প্রস্তাবকে ‘চরম পর্যায়ের প্রথাগত এবং তত্ত্বের সঙ্গে পরিব্যাপ্ত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। তার দাবি , রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার শিকারদের পুনর্বাসন করতে মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে সহায়তা করতে সম্মত হয়েছে। তাই এ প্রস্তাবের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
খসড়া প্রস্তাবে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদেরসহ সবার বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে দেশটির ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন পুনঃপর্যালোচনা করে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের প্রতিনিধি খসড়া প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, ‘মিয়ানমারে মোসলমানদের ওপর নিপীড়নের যে ইঙ্গিত করা হচ্ছে তা পুরোপুরি ভুল। এটা শুধু একটি ভুল অনুমান, বাস্তবতা নয়। আপনারা যদি এটাকে নিঙড়ে মানবাধিকার ইস্যুতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে অনেক বড় ভুল করছেন।’

প্রস্তুতি ম্যাচে কী বার্তা পেল বাংলাদেশ?

প্রস্তুতি ম্যাচে কী বার্তা পেল বাংলাদেশ?

এমনিতেই ৪০ ওভারের ম্যাচ। সব মিলিয়ে খেলা হলো ৩০ ওভার। তাতেই যা বার্তা দেওয়ার দিয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাটিতে টানা তিনটি সিরিজ জেতা বাংলাদেশকে নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা করেই এসেছে প্রোটিয়ারা। এক মিলিমিটার ছাড় নেই। নিজেদের সর্ব​শক্তি নিয়েই লড়াই করবে। বাংলাদেশকেও তাই দিতে হবে সামর্থ্যের পরীক্ষা। পাকিস্তান-ভারতকে সিরিজে হারানো যে নিতান্তই ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়—তার​ প্রমাণ।
বিসিবি একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতিটা ভালোই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু বিসিবি একাদশের খেলোয়াড়েরা কি পারল নিজেদের তুলে ধরতে? যদিও এ মুহূর্তে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য ঘোষিত দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই ছিলেন না এ ম্যাচে। তবুও বিসিবি একাদশের পারফরমেন্স নিশ্চয় ভাবাবে মূল একাদশকে। ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করায় আফসোস ইমরুল কায়েসের কণ্ঠেও ‘টি-টোয়েন্টিতে যারা স্কোয়াডে আছে তাদের ভালো সুযোগ ছিল এখানে অনুশীলন করার। সোহাগ গাজী অনেক দিন পর এমন একটি ম্যাচে মাঠে নেমেছে। মূল ম্যাচে মাঠে নামার আগে একটা অভিজ্ঞতা হলো ওর। সব মিলিয়ে ভালো একটি সুযোগ ছিল।’
বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানদের আউটের ধরন ছিল বেশ হতাশাজনক। বিশেষ করে পাঁচজন ব্যাটসম্যানের বোল্ড হওয়াটা দৃষ্টিকটুই বটে। তবে কি ব্যাটসম্যানরা প্রোটিয়া বোলারদের ঠিকমতো পড়তে পারেননি? বিশেষ করে কাইল অ্যাবটের বলে দুই ওপেনারের বোল্ড হওয়ার কথা বলতেই হবে। নিজেদের দুর্বলতার খুঁজে বের করার চেয়ে প্রতিপক্ষের বোলারদের তারিফ করলেন ইমরুল, ‘ওদের বোলিং বিশ্বের অন্য দলগুলোর চেয়ে নিখুঁত। আমাদের দুজন (ওপেনার) যে বলে আউট হয়েছে, দুটোই দারুণ ছিল। ব্যাটসম্যানরা মারতে গিয়ে আউট হয়নি। এমন বোলিং এ সিরিজে সব ব্যাটসম্যানকেই মোকাবিলা করতে হবে।’
পেসারদের পাশাপাশি স্পিন আক্রমণটাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার উপায় নেই, সেটিই বুঝিয়ে দিলেন প্রোটিয়া স্পিনাররা। প্রোটিয়া স্পিনেই বধ বিসিবি একাদশের অধিনায়কসহ চার ব্যাটসম্যান! নিজেদের দায়টা এড়ালেন না ইমরুল, ‘আমরা আসলে সবাই তাড়াহুড়া করেছি। পরিকল্পনা ছাড়া ব্যাটিং করেছি। যদি আমাদের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা শুরুটা ভালো এনে দিত এবং ১৩০-১৪০ রান করতে পারতাম। তবে বোলাররা স্বাচ্ছন্দ্যে বোলিং করার সুযোগ পেত। আর আমার আউট নিয়ে বলব, ভেবেছিলাম ওটা ছয় হবে। গ্যাপেই মেরেছিলাম। ক্যাচটা খুব ভালো হয়েছে। একে দুর্ভাগ্যও বলা চলে!’
ইমরুল স্বীকার করলেন, ভারতীয় বোলারদের তুলনায় দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা অনেক বেশি পরীক্ষা নেবেন ব্যাটসম্যানদের, ‘ভারতীয় বোলারদের চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা বেশি নিখুঁত। ওরা জানে, কোন জায়গায় বোলিং করতে হবে, কোথায় বল করলে উইকেট পাওয়া যাবে, রানের চাকা আটকে রাখা যাবে। তবে আমাদের ব্যাটসম্যানরা উইকেটে গিয়ে একটু সময় নিলেই মানিয়ে নিতে পারবে। বড় কোনো সমস্যা হবে না।’
দক্ষিণ আফ্রিকার সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইনআপ, অসাধারণ পেস আক্রমণ, দুরন্ত ফিল্ডিং—সব মিলিয়ে বেশ কঠিন সিরিজ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে। তবে আত্মবিশ্বাসী ইমরুল মনে করেন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সাফল্য বজায় থাকবে এ সিরিজেও, ‘মনে হয় না সেরকম কঠিন হবে এই সিরিজ। ক্রিকেট মনস্তাত্ত্বিক খেলা। সবাই যদি মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকে, আমাদের জন্য ভালো হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যারা খেলছে তারাই প্রতিটি দলের বিপক্ষেই খেলছে। এটা খুব বড় করে দেখার কিছু নেই। বাংলাদেশ দলও এখন বদলে গেছে। সবাই ভালো খেলছে। আমাদের মানসিকতারও পরিবর্তন হয়েছে। আমার বিশ্বাস ভালো কিছুই হবে।’
সিরিজে কী হবে, সময়ই বলে দেবে। তবে ফতুল্লার প্রস্তুতি ম্যাচটি বাংলাদেশ দলের জন্য সতর্কবার্তাই বটে।

প্রণয়ের কথা স্বীকার করলেন সেলেনা

প্রণয়ের কথা স্বীকার করলেন সেলেনা

ডিজে জেডের সাথে প্রণয় নিয়ে মুখ খুললেন সেলেনা গুমেজ। নিউজল্যান্ডের রেডিও ‘দ্য এজ আফটারনুন’ নামের একটি জনপ্রিয় শো’-তে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় এ বিষয়ে প্রথমবার মুখ খুলেন বিবারের এই প্রাক্তন প্রেমিকা।
ডিজে জেডের সাথে রোমান্সের খবর গুজব কিনা, রেডিও থেকে সেলেনাকে এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে ২২ বছর বয়সী জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী বলেন, না, এটা গুজব ছিলো না, চলতি বছরের শুরুতে আমি আর জেড একসাথে ‘ডেট’ করেছি, কিন্তু এখন আর তারসাথে কোনো সম্পর্ক নেই।
তবে যে সময় একসাথে জেডের সাথে রোমান্স করে বেড়াতেন, তখন কেন সম্পর্কের কথা অস্বীকার করতেন এমন প্রশ্নে সেলেনা বলেন, এটাতো প্রচার করার কিছু ছিলো না।
তাহলে সত্যিটা কি ছিল, জানতে চাইলে সেলেনা বলেন, এটা তার রসিকতা ছাড়া কিছুই ছিলো না। আমিই তাকে এ বিষয়ে চুপ থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু সে এগুলো প্রচার করে বেড়াত। সে মনে করতো, আমার সব বিষয়ে সে ভালো জানে, এমনকি ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেও। কিন্তু আদতে সে আমার সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেনি।
তবে তার ‘সংগীত জ্ঞান’ নিয়ে রীতিমত মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন পপ তারকা মাইকেল বিবারের সাবেক এই প্রেমিকা।
উল্লেখ্য, আমেরিকান ডিজে, মিউজিক প্রডিউসার, গীতিকার এবং র‌্যাপার ডিপ্লো সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, জেড এবং সেলেনার প্রেমের গুজব তারা ইচ্ছা করেই ছড়িয়েছিলেন, যাতে বাজারে তাদের দ্বৈত ‘আই ওয়ান্ট ইউ টু নো’ গানটির কাটতি বাড়ে।

২১ আগষ্ট মুক্তি পাবে ‘লাভার নাম্বার ওয়ান

২১ আগষ্ট মুক্তি পাবে ‘লাভার নাম্বার ওয়ান

বর্তমান সময়ের নবাগত নায়কদের দৌড়ে এগিয়ে থাকা নায়ক বাপ্পী চৌধুরী এবং আলোচিত নায়িকা পরী মনির অভিনীত ছবি ‘লাভার নাম্বার ওয়ান’ মুক্তি পাবে আগামী ২১ আগষ্ট। এ ছবির মাধ্যমে এ প্রথম একসঙ্গে বড় পর্দায় দেখা যাবে এ দু’জনকে।
ছবির গল্পে দেখা যাবে, মামাতো বোন তানিয়া ছোটবেলা থেকেই বাপ্পীকে ভালোবাসে। কিন্তু ভালোবাসার কথা বলা হয়ে ওঠে না কখনো। এক দুর্ঘটনায় বাদশাহর সঙ্গে দেখা হয় পরীমনির। প্রথম দেখাতেই তাকে ভালো লেগে যায় বাপ্পীর। ঘটনাচক্রে তানিয়ার ভালোবাসার কথাও জানতে পারে বাপ্পী। শুরু হয় সম্পর্কের টানাপড়েন।

এ সিনেমার গল্পে বাপ্পী এবং পরী মনি অভিনয় করছেন ‘বাদশাহ’ও ‘দোলা’ চরিত্রে।
চলচ্চিত্রটিতে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ‘প্রিয়া’। এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগতা তানিয়া বৃষ্টি। ছবিতে বাপ্পীর পাশাপাশি অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন পরী মনিও। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন মিশা সওদাগর, আলীরাজ, রেহানা জলি, ডি জে সোহেল, আফজাল শরীফ প্রমুখ। মাতৃছায়া চলচ্চিত্রের ব্যানারে ছবিটি পরিচালনা ও প্রযোজনা করছেন ফারুক ওমর। এ ছবিতে গান থাকছে মোট পাঁচটি। গানগুলো লিখেছেন আলী আকরাম শুভ, আতিকসহ আরও অনেকে।

এছাড়া গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন আসিফ আকবরসহ আরও কয়েকজন কণ্ঠশিল্পী।এ বিষয়ে বাপ্পি চৌধুরি বাংলামেইলকে বলেন, ‘এ ঈদে আমার কোন ছবি মুক্তি পাচ্ছে না। এজন্য অনেকে ভাবতে পারে বাপ্পির কোন ছবি এ ঈদে নেই। ‘লাভার নাম্বার ওয়ান’ নিয়ে বাপ্পি আসছে ঈদের পরেই। এ ছবিটি নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। দর্শক শুধু বলব প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখুন।

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেশের মানুষ আ.লীগকে জুতা মারবে

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেশের মানুষ আ.লীগকে জুতা মারবে

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘লুটপাট, দুর্নীতির বিচারের ভয়ে নিবার্চন দিতে ভয় পায় আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীনরা এতো খুন-খারাবি, লুটপাট করছে সে কারণে মানুষের ভয়ে নিবার্চন দিতে চায় না। তারা জানে সুষ্ঠু নিবার্চন দিলে মানুষ কীভাবে প্রত্যাখ্যান করবে, সিটি করপোরেশন নিবার্চনে তা দেখিয়ে দিয়েছে। সুষ্ঠু নিবার্চন হলে মানুষ সত্যিকারের জবাব দেবে। তারাও জানে তাদের ভরাডুবি হবে। দেশের মানুষ তাদের জুতা মারবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত ইফতার পার্টিতে এসব কথা বলেন তিনি। এই ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন বেগম জিয়া।
মানবপাচারের ঘটনায় দেশের ভাবমূতি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং এতে আওয়ামী লীগের লোকেরা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘শুধু ঢাকা শহর দিয়ে বিবেচনা করলে হবে না। আমরা যারা ঢাকা শহরে থাকি তারা কোনো রকম আছে। গ্রামের কথা চিন্তা করুন। তারা বিচার পাচ্ছে না। অসহায় জীবনযাপন করছেন। বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছে। এয়ারপোর্ট থেকে যেতে না পেরে জাহাজে করে যেতে চেষ্টা করে। এখানেও আওয়ামী লীগের দালাল ও পুলিশ জড়িত রয়েছে। সাগরে ভাসছে, কোথাও জায়গায় পাচ্ছে না। বাংলাদেশেও তাদের জায়গা নেই। দেশের মানুষ বিদেশে গিয়ে মরছে।’
ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিদেশিরাও বলছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, অতিদ্রুত আলোচনার মাধ্যমে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নিবার্চনের ব্যবস্থা করার জন্য। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা এত লুটপাট করেছে, মানুষের ভয়ে এখন নিবার্চন দিতে ভয় পায়।’
তিনি বলেন, ‘দেশ আজকে কারাগারে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ, বিএনপি ও ২০ দলের নেতাকর্মীরা কারাগারে বন্দি। আর আওয়ামী লীগের লোকেরা যতই চুরিচামারি করুক, তারা বহাল তবিয়তে আছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিচারবিভাগ দলীয়করণ করা হয়েছে। সুবিচার পাওয়া যায় না। বিএনপি ও ২০ দলের নেতাকর্মীদের জেলে পুড়ে মরতে হয়। আওয়ামী লীগের লোকেরা ফ্রি থাকে তাদের জেলে দেয়া হয় না। আর তাদের মন্ত্রীরা লুটপাট করছে। তাদের এগুলো কী অপরাধ নয়? তারা আওয়ামী লীগের লোক বলে মাফ পেয়ে যায়।’
বিএনপিপ্রধান বলেন, ‘মহিলারা ঘরে বাইরে কোথাও নিরাপদ নয়। আমরা চাই দেশের মানুষ ভালো থাকুক, নিরাপদে থাকুক।’
ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামীর সভাপতিত্বে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার সামিনা মেহতাব, জোট শরিকদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর আমিনুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) শফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মুসলিম লীগের সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহদাৎ হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব খন্দকার গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপির মঞ্জুর হোসেন ঈসা, খেলাফত মজলিসের গোলাম আকবর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির নেতাদের মধ্যে ইফতারে যোগ দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
ইসলামী ঐক্য জোট নেতাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট আবদুল লতিফ, মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক মুফতি মোহাম্মদ তৈয়্যব হোসোইনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইফতারের আগে টেবিলে টেবিলে ঘুরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খালেদা জিয়া। এছাড়া ইফতারের আগে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

বিএসএফের আদালতে অমিয় ঘোষ আবার নির্দোষ

বিএসএফের আদালতে অমিয় ঘোষ আবার নির্দোষ

বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আবার নির্দোষ বলে বিবেচিত হয়েছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) অভিযুক্ত সদস্য অমিয় ঘোষ। বিএসএফের নিজস্ব আদালত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট (জিএসএফসি) প্রথমে অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেন। পুনর্বিবেচনার পরও তাঁরা সেই রায়ই বহাল রেখেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের ১৮১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরের সোনারি ক্যাম্পে আদালত বসে। গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা করে কোর্ট মার্শালের সমতুল্য বিএসএফের নিজস্ব আদালত এই রায় দিয়েছেন। বিবিসি বাংলার খবরে জানানো হয়, বিএসএফের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে রায়ের কথা ঘোষণা করেনি। বিএসএফের মহাপরিচালক এই রায় অনুমোদন করবেন। ফেলানীর পরিবার এই রায় চ্যালেঞ্জ করতে পারবে।
বিএসএফের পাঁচ সদস্যের নিজস্ব আদালতের প্রধান ছিলেন বিএসএফ আধিকারিক সি পি ত্রিবেদী। পাঁচজন সদস্য মূল মামলার শুনানিতে বিচারক ছিলেন।
২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জিএসএফসি ফেলানী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেন। সেই রায় যথার্থ মনে না হওয়ায় পুনর্বিবেচনার আদেশ দিয়েছিলেন বাহিনীর মহাপরিচালক। পুনর্বিবেচনার কাজ শুরু করতে প্রায় এক বছর লেগেছিল। তিনবার পুনর্বিবেচনার কাজ স্থগিতও করা হয়।
রায়ের প্রতিক্রিয়া
ফেলানী হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী কুড়িগ্রামের আব্রাহাম লিংকন বলেন, তাঁদের আশঙ্কা ছিল, যে বিচারকেরা প্রথম মামলাটা শুনেছেন, তাঁরাই আবার পুনর্বিবেচনা করছেন। এ ক্ষেত্রে যদি তাঁরা অন্য কোনো রায় দিতেন, তাহলে তাঁদের প্রথমে দেওয়া রায় নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেত। আগের রায় তাহলে ভুল ছিল বলে প্রমাণিত হতো। তাই আগের রায়ই তাঁরা বহাল রাখলেন।
আব্রাহাম লিংকন বলেন, বিএসএফের মতো একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীর একজন সদস্যের অপকর্মের দায় গোটা বাহিনীই নিয়ে নিল। এই দায় রাষ্ট্র হিসেবে ভারতেরও।
বিবিসি বাংলার খবরে জানা যায়, রায়ের পর সীমান্তে বিএসএফের গুলি চালানো নিয়ে সরব ভারতের মানবাধিকার সংগঠন মাসুম প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মাসুমের প্রধান কিরীটী রায় বিবিসিকে বলেন, বিএসএফের আদালতে আগেই স্থির করা ছিল যে কী রায় দেওয়া হবে। এটা লোক দেখানো বিচার হলো। পরবর্তী সময়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে মাসুম চিন্তাভাবনা করছে বলে তিনি জানান।

কান্নায় ভেঙে পড়লেন ফেলানীর মা
সকাল সাতটার দিকে রায়ের খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ফেলানীর মা। তিনি বলেন, ‘ভাইজান, বুক ভরা আশা নিয়াছিলাম মাইয়া হত্যার বিচার পামু। কাছ থাইকা অমিয় ঘোষ গুলি কইরা মাইডারে মারলো। হেই আসামি কেমনে খালাস পায়। আল্লা বিচার করব।’ ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম শোকে স্তব্ধ। তিনি বলেন, ‘কিছুই ভালা লাগতাছে না ভাই। খুব আশা ছিল ন্যায়বিচার পামু। আমি আবার আপিল করুম।’
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কিশোরী ফেলানী খাতুন ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ভারত থেকে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। দেশে ফেরার সময় অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের জওয়ান অমিয় ঘোষ গুলি করে হত্যা করে ফেলানীকে। কাঁটাতারের ওপর দীর্ঘক্ষণ ঝুলে থাকে ফেলানীর মৃতদেহ। পরে অমিয় ঘোষ ফেলানীকে গুলি করার কথা স্বীকার করেন। ওই হত্যার বিচারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে পরিচালিত বিএসএফের একটি বিশেষ আদালত ‘নির্দোষ’ হিসেবে সাব্যস্ত করেন অমিয় ঘোষকে। ফেলানী হত্যার রায় অনুমোদনের জন্য বিএসএফের মহাপরিচালক (বিশেষ-পূর্ব) বি ডি শর্মার কাছে পাঠানো হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে রিভিশনাল ট্রায়ালের (পুনর্বিচার) নির্দেশ দেন।

এই দেশের মিডিয়াতে কাজ করা কি অপরাধ?

এই দেশের মিডিয়াতে কাজ করা কি অপরাধ?

ম্প্রতি হ্যাকারের কবলে পড়েছিলো বাংলা চলচ্চিত্রের ব্যাস্ততম তারকা অপু বিস্বাসের ভেরিফাইড অফিসিয়াল পেইজটি, পরে পেইজটি উদ্ধার করা হলে ব্যাপারটা নিয়ে ক্ষুব্দ অপু বিশ্বাস, আজ তার পেইজে এই ব্যাপারটা একটা পোস্ট করেন, পোস্টে তিনি লিখেনঃ সেই সব হ্যাকার ভাইদের কাছে একটা প্রশ্ন
এই দেশের মিডিয়াতে এই দেশের
চলচ্চিত্রে অভিনয় করা অপরাধ, নাকি
চলচ্চিত্রে অভিনয় করা দেশ বিরোধী
কর্মকান্ড??
কিছু হ্যাকার যখন দেশের ভালোর জন্য
লড়াই করে সাইবার যোদ্বা হিসাবে
খেতাব পেয়েছে তখন এক শ্রেনীর হ্যাকার
নিজের দেশের সেলেব্রেটিদের পেইজ
হ্যাক করে সুবিধা আদায়ের অপচেষ্টায়
লিপ্ত, কিছুদিন আগে এই পেইজ সহ শাকিব
খান, মনির খান, এবং বাংলাদেশী
চলচ্চিত্রের প্রচারনা চালায় এমন কিছু
পেইজ হ্যাক করে,
আমার পেইজটি একটি কিছু সাইবার যোদ্বা
রিকোভার করে দিলেও কিছু পেইজ অর্থের
বিনিময়ে ফেরত আনা হয়, বাকি পেইজ
গুলো এখনো তাদের কব্জায়, একজন
বাংলাদেশী হিসাবে আরেকজন
বাংলাদেশী হ্যাকার এর এমন আচরন কি মেনে
নেওয়া যায়??

বিশ্বের ১৫টি দেশ দেহ ব্যবসাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে

বিশ্বের ১৫টি দেশ দেহ ব্যবসাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : দেহ ব্যবসা। ‘আদিম রিপু’ নিয়ে এই পেশা পৃথিবীর প্রাচীনতম পেশাগুলির অন্যতম। অনেকের মতে, দেহ ব্যবসাই প্রাচীনতম। কিন্তু এত দীর্ঘ সময় পেরিয়েও সমাজের সবচেয়ে উপেক্ষিত শ্রেণির এই পেশার নাম- দেহ ব্যবসা; শুনলেই কানে আঙুল দেয় তথাকথিত ‘অভিজাতরা’।
তাই যৌনপল্লি অনেকের কাছে ‘নিষিদ্ধপল্লি’। যাবতীয় সমালোচনা, উপেক্ষা সত্ত্বেও দেহ ব্যবসা বিদ্যমান। কারণ যা-ই হোক। কিছু দেশ এই ব্যবসার উপর আইনি নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছে। আবার বিশ্বের অনেক দেশই দেহ ব্যবসাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে। আর পাঁচটা সাধারণ পেশার মতোই।
আসুন, দেহ ব্যবসা-কে আইনি বৈধতা দেওয়া বিশ্বের সেই ১৫টি দেশের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।

১. নিউ জিল্যান্ড: নিউ জিল্যান্ডে ২০০৩ সালে দেহ ব্যবসাকে আইনি বৈধতা দেওয়া হয়। সে দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত যৌনকর্মীরা সরকারি স্বাস্থ্য ও শ্রম আইনের আওতায় পড়েন। তাঁরা একই রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন, যেরকম অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা পান।

২. অস্ট্রেলিয়া: প্রতিবেশী দেশ নিউজিল্যান্ডের মতো অস্ট্রেলিয়ার একটা বড় অংশেও দেহ ব্যবসা সম্পূর্ণ আইনস্বীকৃত। যদিও কিছু স্টেটে এই ব্যবসা নিষিদ্ধ। অস্ট্রেলিয়ায় আবার কোঠার মালিক হওয়াটা বেশ জনপ্রিয় একটি পেশা।

৩. অস্ট্রিয়া: পৃথিবীর প্রাচীতনতম এই আধুনিক রাষ্ট্রে দেহ ব্যবসা আইনত সম্পূর্ণ বৈধ। অস্ট্রিয়ায় কেউ দেহ ব্যবসা শুরু করতে চাইলে তাঁকে অবশ্যই বেশ কিছু সরকারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সেই সব পরীক্ষায় পাশ করলে, তবেই মিলবে ব্যবসার ছাড়পত্র। সংশ্লিষ্ট দেহ ব্যবসায়ীর বয়স হতে হবে ১৯ বছর বা তার বেশি।

৪. বেলজিয়াম: দেহ ব্যবসাকে শুধু আইনি করাই নয়, দেহ ব্যবসায়ীদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিতেও যৌনপল্লির সব বাড়িতে অন্যান্য অফিসের মতোই রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি ও কি-কার্ডের ব্যবস্থা।

৫. ব্রাজিল: লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতেও দীর্ঘ দিন আগে থেকেই দেহ ব্যবসা আইনত স্বীকৃত ছিল। এবং যৌনকর্মীদের অত্যাচার করলে আইনও যথেষ্ট কড়া ব্রাজিলে।

৬. কানাডা: কানাডায় যৌনকর্মীদের অবস্থা আপাত বিপজ্জনক। সে দেশে দেহ ব্যবসা আইনত বৈধ। কিন্তু যৌন সেবা কেনা ২০১৪ সাল থেকে বেআইনি হয়ে গিয়েছে। ফলে দেহ ব্যবসা ঘিরে সে দেশে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

৭. কলম্বিয়া: কলম্বিয়ায় দেহ ব্যবসা দীর্ঘ দিন ধরেই আইনত বৈধ। সে দেশে যৌনকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কড়া আইনও রয়েছে।

৮. ডেনমার্ক: দেহ ব্যবসা এই দেশেও আইনি। এমনকি যে সব দেহ ব্যবসায়ীরা আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে বা গরিব, তাঁদের আর্থিক সাহায্যও করে ডেনমার্ক সরকার।

৯. ইকুয়েডর: অবাধ যৌনতার দেশ ইকুয়েডর। যৌনতা সম্পর্কিত সব কিছুই সে দেশে আইনি। যে কেউ ইকুয়েডরে দেহ ব্যবসা করতে পারেন, বা যৌনপল্লি চালাতে পারেন। কিন্তু এর জেরে ইকুয়েডরে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানোর সমস্যাও প্রবল।

১০. ফ্রান্স: ফ্রান্সেও দেহ ব্যবসা সম্পূর্ণ আইনি। তবে ১৯৪৬-এ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরেই সে দেশে যৌন ব্যবসা সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

১১. জার্মানি: জার্মানিতে ১৯২৭ সাল থেকে দেহ ব্যবসা আইনত স্বীকৃত। এবং সে দেশে যৌনপল্লি চালানোর জন্য আলাদা করে স্টেটও রয়েছে। জার্মানিতে দেহ ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্য বিমা আবশ্যিক। তাঁদের কর দিতে হয়। এমনকি অবসরপ্রাপ্ত দেহ ব্যবসায়ীদের পেনশনও রয়েছে!

১২. গ্রিস: দেহ ব্যবসায় গ্রিসের মডেলও জার্মান সরকারের মতোই। সেদেশেও যৌনকর্মীরা শ্রম আইনের আওতায় পড়েন। অবসরের পর পেনশনের সুবিধেও রয়েছে।

১৩. ইন্দোনেশিয়া: ইন্দোনেশিয়ায় দেহ ব্যবসা শুধু আইনত স্বীকৃত-ই নয়; সেক্স ট্যুরিজম সে দেশের সরকারের অন্যতম রাজস্ব আয়ের উপায়। তবে অবাধ যৌনতার জেরে ইন্দোনেশিয়ায় জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানো বা নাবালিকা অত্যাচার ক্রমেই বাড়ছে।

১৪. নেদারল্যান্ডস: দেহ ব্যবসা নেদারল্যান্ডসে খুবই জনপ্রিয়। আইনত স্বীকৃত তো বটেই। যৌনতা নিয়ে নেদারল্যান্ডসে কোনও সামাজিক বাধা নেই। অবাধ যৌনতাই সেদেশের ট্র্যাডিশন।

১৫. বাংলাদেশ: অনেকেরই ধারণা বাংলাদেশের মতো তথাকথিত রক্ষণশীল দেশে দেহ ব্যবসা! ‘তওবা তওবা’ বলে কানে আঙুল দেওয়ার মতো একটা বিষয়! কিন্তু অবাক করা তথ্যটি হল, বাংলাদেশে দেহ ব্যবসা আইনত স্বীকৃত! এবং দেহ ব্যবসা ঘিরে দেশটিতে দুর্নীতিও আকাশছোঁয়া! বিশ্বাস করুন আর নাই করুন!

বাংলাদেশে নির্মাণশিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিকদের ঝুঁকি বেশি

বাংলাদেশে নির্মাণশিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিকদের ঝুঁকি বেশি

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে নির্মাণশিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিকদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি বলে মনে করছে বেসরকারি সংস্থা সেফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি।বাংলাদেশে গত ছয় মাসে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় দু’শোরও বেশি শ্রমিক মারা গিয়েছে বলে ওই প্রতিষ্ঠানের জরিপে উঠে এসেছে।সেফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি নামের সংস্থাটি প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত শ্রমিকদের মধ্যে ৭৬ জনই নির্মাণশিল্পের শ্রমিক।
সংস্থাটির ২০১৪ সালের জরিপে দেখা গেছে বছরের প্রথম ছয় মাসে ১২৯টি কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মোট ১৫৮ জন শ্রমিক নিহত হন। গতবছরেও তাদের জরিপে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিহত শ্রমিক ছিল নির্মাণ খাতেই।সেফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক সেকান্দার আলী মিনা বলেন, নির্মাণ খাত সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু নির্মাণ কাজে নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি অবহেলার কারণেই এই শিল্পে হতাহতের সংখ্যা এতটা বেশি। তাছাড়া আইন মেনে করা হয়না বলে ঝুঁকিটা রয়ে যায়।ভূমি থেকে উপরে উঠে যে কাজগুলো করতে হয় সেগুলোর সঠিক মাপ না নেয়ার কারণেও ঝুঁকিটা থাকে বলে জানান সেকান্দার আলী মিনা।
 
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড আছে যেখানে বলা হয়েছে কোন কাজটা কিভাবে করা হবে, কিন্তু আইনের প্রতি একধরনের অবহেলা থাকার কারণে হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটে।আলী আরও বলেন, তারা গবেষণা করে দেখেছেন বিল্ডিংকোড ও সেফটি কোড নিয়ে মালিকপক্ষ খুব একটা আগ্রহী থাকেনা কারণ তারা মনে করে খরচ বেড়ে যাবে, আর অন্যদিকে শ্রমিকরাও নিরাপত্তা বিষয়ে অবগত নয়।এ বিষয়ে সরকার থেকে সেফটি কোড পর্যবেক্ষণের জন্য একটি সংস্থা থাকার কথা, কিন্তু সেটি এখনও গঠন করা হয়নি বলে জানালেন সেফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক সেকান্দার আলী মিনা।

ড্রিমবয় শাকিবের ড্রিমগার্ল জয়া

 ড্রিমবয় শাকিবের ড্রিমগার্ল জয়া

অসংখ্য যুবতীর ড্রিমবয় শাকিব খান, আর শাকিব খান জানালেন তার ড্রিমগার্ল জয়া আহসান, মাছরাঙার ঈদের বিশেষ টিভি প্রোগ্রামে এসে এমনটাই জানালেন শাকিব খান নিজেই, সাথে ছিলেন জয়াও,
গতকাল সোমবার রাতে মাছরাঙা
টেলিভিশনের স্টুডিওতে অনুষ্ঠানটির
দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়। মুনমুনের
উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটির নাম
‘কেমিস্ট্রি’। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে
এবারের ঈদে একসঙ্গে ছোট পর্দায়
হাজির হতে যাচ্ছেন শাকিব খান ও
জয়া আহসান।
শাকিব খান ও জয়া আহসান একসঙ্গে
প্রথম অভিনয় করেন ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম
কাহিনি’ ছবিতে। কোরবানির ঈদে
মুক্তি পাবে এই জুটির নতুন চলচ্চিত্র
‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনি টু’। দর্শক-
প্রদর্শক-নির্মাতাদের পছন্দের কারণে
তাঁরা আরও প্রায় অর্ধ ডজন ছবিতে
কাজ করার প্রস্তাব পেয়েছেন বলেও
আড্ডার ছলে জানালেন শাকিব-জয়া।
রুম্মান রশীদ খানের গ্রন্থনা ও সাইফুল
ইসলামের প্রযোজনায় কেমিস্ট্রি
মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারি

এক নজরে মিশা সওদাগর

এক নজরে মিশা সওদাগর

মিশা সওদাগর একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। তিনি
প্রথম দিকে নায়ক চরিত্র অভিনয় করলেও
পরবর্তিতে খলনায়ক হিসেবে প্রচুর সুনাম
অর্জন করেন। তিনি চার শতাধিক সিনেমাতে
অভিনয় করেছেন।
চলচ্চিত্রে আগমন
অভিনয় জীবনের শুরু ১৯৮৬ সালে।
প্রথমে ‘চেতনা’,ও ‘অমরসঙ্গী’ ছবি
দুটোতে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন।
তখন গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছেন মাত্র।
নায়ক চরিত্রে অভিনয় করে গ্রহণযোগ্যতা না
পেয়ে কয়েকজন খ্যাতিমান পরিচালকের
পরামর্শে ইয়াং ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় শুরু
করেন। ১৯৯৪ সালে ‘যাচ্ছে ভালবাসা’ নামক
ছবিতে প্রথম ভিলেনের চরিত্রে অভিনয়
করেন।
উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র
মিশা সওদাগর চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয়
করেছেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র
হলো
→চেতনা
→শেষ ঠিকানা
→শেষ চিঠি
→আন্ধ বিশ্বাস
→ফুল নেব না অশ্রু নেব
→ও প্রিয়া তুমি কোথায়
→বিয়ের ফুল
→হট লাইন
→ঢাকাইয়া মাস্তান
→অল্প স্বল্প প্রেমের গল্প
→এক টাকার বউ
→কোটি টাকার কাবিন
→কোটি টাকার প্রেম
পুরস্কার ও সম্মাননা
মিশা সওদাগর মেরিল প্রথম আলো ও
চলচ্চিত্র শিল্প সমিতি পুরস্কার সহ অসংখ্য
পুরস্কার, সম্মাননা পেয়েছেন।

শুরু হয়েছে মিষ্টি সোহমের ‘আমার প্রেম তুমি’।

 শুরু হয়েছে মিষ্টি সোহমের ‘আমার প্রেম তুমি’।

থাইল্যান্ডে শুরু হয়েছে সজল আহমেদ পরিচালিত মিষ্টি জান্নাত এবং পশ্চিম বঙ্গের অভিনেতা সোহম জুটির ‘আমার
প্রেম তুমি’ ছবির শুটিং।
সিনেমাটির প্রথম পর্যায়ের শুটিং চলবে ১৬ জুন
পর্যন্ত। ব্যাংককের বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং
হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের শুটিং হবে কলকাতার
বিভিন্ন লোকেশনে। তবে এখনো তার দিন-
তারিখ ঠিক হয়নি।
নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, এ সিনেমার নাম
প্রথমে ঠিক করা হয় ‘ভালোবেসে ছুঁয়ে
দিলাম’। পরে তা পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘আমার
প্রেম তুমি’।
‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘বাঙালি বাবু ইংলিশ
মেম’, ‘লাভেরিয়া’, ‘প্রেম আমার’, ‘অমানুষ’সহ
জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন সোহম।
এদিকে, মিষ্টি জান্নাত ২০১৪ সালের মাঝামাঝি ‘লাভ
স্টেশন’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু
করেন। এর পর জান্নাত অভিনীত ‘চিনি বিবি’ ছবিটি
মুক্তি পায় কিছুদিন আগে।

কলকাতার ছবিতে সোহানা সাবা

 কলকাতার ছবিতে সোহানা সাবা

জনপ্রিয়
অভিনেত্রী সোহানা সাবা এবার
কলকাতার একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হলেন
তিনি। অয়ন চক্রবর্তীর পরিচালনায়
ছবিটির নাম ষড়ঋপু। রোমান্টিক
থ্রিলারে ভরা এই ছবিতে সাবার সহ
শিল্পীরা হলেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত,
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ও রজতাভ দত্ত।
ছবিটিতে আরও অভিনয়ে রয়েছেন
রুদ্রনীল ঘোষ, রায়েশ শর্মা,
সুদীপ্তা চক্রবর্তী ও
কনিনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। গেল ২৬
ফেব্রুয়ারি প্রেস কনফারেন্স
হয়েছে ছবিটির।
বর্তমানে সোহানা সাবা কলকাতায়
রয়েছেন। এ
সম্পর্কে সোহানা সাবা বললেন, ষড়ঋপু
আমার অভিনীত প্রথম আন্তর্জাতিক
চলচ্চিত্র। অনেক গুণী শিল্পীর
সাথে কাজ করতে পারছি। এটি আমার
জন্য অনেক বড় একটি পাওয়া।
আশা করছি সুন্দর একটি ছবি উপহার
দিতে পারবো। আগামী ২ মার্চ
থেকে ছবির শুটিং শুরু
হবে বলে জানা গেছে।

আসছে ‘ধুম-ফোর’

 আসছে ‘ধুম-ফোর’

আবারো নির্মিত হতে যাচ্ছে বলিউড ব্লকবাস্টার ছবি
ধুম এর সিক্যুয়েল।  তবে কারা থাকছেন এই ছবি ছবিতে সেই
হিসেব-নিকেষেই ব্যস্ত এখন বলিউডপাড়া।
যশরাজ ফিল্মসের অ্যাকশন সিনেমা ‘ধুম’ মুক্তি পায়
২০০৪ সালে। রাতারাতি ছবিটি ধুম ফেলে
বক্সঅফিসেও। সেই ধারাবাহিকতায় ২০০৬ ও ২০১৩
সালে নির্মিত হয় ছবির আরো দুটি কিস্তি-‘ধুম টু’ ও ‘ধুম
থ্রি’। এবার তোড়জোড় শুরু হয়েছে ‘ধুম ফোর’
নির্মাণের।
এর আগের তিনটি ছবির প্রত্যেকটিতেই জয়
দীক্ষিত ও আলীর চরিত্রে দেখা গেছে
অভিষেক বচ্চন ও উদয় চোপড়াকে। শুধু ভিলেন
চরিত্রটিতেই ঘটেছে বদল। আর এই চরিত্রে
দর্শকদের চমক দেখিয়েছেন জন আব্রাহাম,
হৃত্বিক রোশন ও আমির খান।
তাইতো এবার খলনায়ক হিসেবে দেখা যাবে কাকে
তা নিয়েই চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এর আগে
শোনা গেছে শাহরুখ ও সালমান খানের নাম।
পরবর্তীতে গুঞ্জন ওঠে হৃত্বিকই ফিরছেন
ভিলেন হয়ে। কিন্তু সম্প্রতি যশরাজ ফিল্মস ঘোষণা
দিয়েছে ছবির মূল আকর্ষণ ঐ চরিত্রটিতে ঘটছে
না কোনো পুনরাবৃত্তি। তাইতো নিয়ম মেনে
এবারও যুক্ত হচ্ছেন নতুন তারকাই। চতুর্থ কিস্তিতে
দেখা যাবে হালের দুই জনপ্রিয় অভিনেতা রণবীর
কাপুর কিংবা রণভির সিংকেই– তৈরি হয়েছে এমন
সম্ভাবনাও।

মুক্তির মিছিলে ‘আই লাভ ইউ প্রিয়া

মুক্তির মিছিলে ‘আই লাভ ইউ প্রিয়া

সম্প্রতি আনকাট সেন্সর পেল চিত্রনায়ক সাগর
অভিনীত চলচ্চিত্র ‘আই লাভ ইউ প্রিয়া’। ছবিতে তার
বিপরীতে রয়েছেন চিত্রনায়িকা শম্পা। ঈদের
পরে কোনো এক শুক্রবারে ছবিটি মুক্তি দেয়া
হবে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মামুন খান। বিভিন্ন
সমস্যার কারণে এতদিন ছবিটি মুক্তি পায়নি। এটি সাগরের
প্রথম ছবি হলেও এরইমধ্যে সাগরের একাধিক ছবি
মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি প্রসঙ্গে সাগর বলেন,
‘ভালো লাগছে ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পাচ্ছে।
সম্পূর্ণ মৌলিক একটি গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে
ছবিটি। এখন অপেক্ষায় আছি ছবিটির মুক্তির জন্য।’
সাগর এখন ব্যস্ত আছেন ‘এক্সকিউজ মি’
শিরোনামে ছবির শুটিং নিয়ে।

ছোট পর্দায় শাকিব-ববি

ছোট পর্দায় শাকিব-ববি

গত ঈদে আরটিভির ঈদের বিশেষ অনূষ্ঠানে দেখা গিয়েছিলো শাকিব খান, অপু বিশ্বাস  এবং ববিকে, সেই ধারাবাহিতায়য় আবারো দেখা যাবে তাদের, তবে এবার থাকছেনা অপু বিশ্বাস,
ঈদ আনন্দ আড্ডা’ নামের এই অনুষ্ঠানে শাকিব খান
তার অভিনয় জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত
জীবন নিয়েও খোলামেলা কথা বলবেন। এমন
কি বিয়ের মতো সর্ম্পকাতর বিষয় নিয়েও
মতামত জানাবেন। অন্যদিকে ববি জানাবেন
তার চলচ্চিত্র ভাবনা আর আগামীর
পরিকল্পনা।
অভিনেত্রী মাহমুবা ইসলাম সুমীর উপস্থাপনা
ও শিবলী জিয়ার প্রযোজনায় ‘ঈদ আনন্দ
আড্ডা’ অনুষ্ঠানটি আসছে ঈদের
অনুষ্ঠানমালায় প্রচার করবে আরটিভি।

মৌসুমীর শেষ প্রহর

মৌসুমীর শেষ প্রহর

জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ বর্তমানে ছোট পর্দার গণ্ডী পেরিয়ে একের পর এক সিনেমার কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি ‘শেষ প্রহর’ নামের একটি নতুন ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেন। গতকাল ২৯ জুন এইচ আর হাবিব পরিচালিত ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। ছবিটির গল্পে ফুটে উঠবে, ভারত-বাংলাদেশের ছিট মহলের নাগরিকদের নাগরিকত্ব আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন যাবত সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রয়ী পরিচয় না পাওয়া লক্ষ লক্ষ দুই দেশের নাগরিকরা। তাদের যেন দুঃখ কষ্টের কোন কমতি নেই।

ভাষায় প্রকাশ করা যায়না তাদের দুঃখের অবস্থান কোথায়। ‘শেষ প্রহর’ ছবিতে সেই সকল দুঃখী মানুষের কান্নার কথাই তুলে ধরবেন ছবিটির পরিচালক এইচ আর হাবিব। এ সম্পর্কে মৌসুমী হামিদ বল্লেন,’ছবিটি বাস্তব ঘটনার প্রেক্ষাপটে নির্মিত হতে যাচ্ছে। ছবির গল্পটি স্পর্শকাতর। এমন একটি ছবিতে কাজের সুযোগ পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আশা করছি ছবিটি একটি মেইলফলক স্পর্শ করবে। দেশীয় ছবিতে এটি নতুন একটি ধারা তৈরি করবে।‘ ছবিটিতে আরও অভিনয় করবেন শিমুল খান, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, ডন’সহ অনেকে। আগামী অক্টোবর মাসের শেষদিকে রংপুরে ছবিটির শুটিং শুরু হবে বলে Binodon24.com কে জানিয়েছেন ছবিটির পরিচালক এইচ আর হাবিব।

মডেল স্মৃতি ফিরলেন প্রীতমের গানে

মডেল স্মৃতি ফিরলেন প্রীতমের গানে

অবশেষে প্রকাশ পেয়েছে প্রীতম আহমেদের নতুন মিউজিক ভিডিও ‘আমার ও পরান যাহা চায়’।আজ  থেকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং অনলাইনে ভিডিওটি দেখা যাচ্ছে। গত বছরের শেষের দিকে প্রীতম প্রকাশ করেন নিজের দশম একক অ্যালবাম ভোট ফর ঠোঁট।অ্যালবামটি প্রকাশ পায় রবি রেডিওতে। সেই অ্যালবামেই রবীন্দ্রনাথের ‘‘আমার ও পরান যাহা চায়’ গানটি নতুনভাবে সুর ও সঙ্গীত করেন প্রীতম নিজেই। গানটিতে প্রীতমের পাশাপাশি মডেল হিসেবে রয়েছেন  সময়ের আলোচিত মডেল স্মৃতি ফামি।অনেকদিন পর প্রীতমের গানে ফিরলেন স্মৃতি।মিউজিক ভিডিওটি সম্পর্কে প্রীতম বলেন,বসুন্ধরার পূর্বাঞ্চল এলাকার বিভিন্ন লোকেশনে ভিডিও চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে।গানটির কথা ও সুর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের।প্রীতম বলেন, ‘এরইমধ্যে ভিডিওটির  জন্য সবার কাছ থেকে দুর্দান্ত রকম সাড়া পাচ্ছি। সব মিলিয়ে কাজটি নিয়ে আমি খুবই হ্যাপী! আশাকরি কিছুদিনের মধ্যেই ভিডিওটির সবার পছন্দের তালিকায় চলে আসবে।’উল্লেখ্য,এর আগে  ভোট ফর ঠোঁট এ্যালবামের ভোট ফর ঠোঁট ,ঘড়,ফিরে আয় শীর্ষক গানের মিউজিক ভিডিও বের করেন তিনি।অচিরেই এ্যালবামটি সিডি আকারে হাতে পাবেন শ্রোতারা।

ক্রিকেট খেলার মাঝে শাকিবের রোমান্স

ক্রিকেট খেলার মাঝে শাকিবের রোমান্স

সাফি উদ্দিন সাফি পরিচালিত “পূর্নদৈর্ঘ্য
প্রেম কাহিনী ” এর মহা সাফল্যর পরে
পরিচালক এই ছবি ২য় সিরিজ নির্মান
করছেন “পূর্নদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ২”
ছবিতে কিং খান খ্যাত নায়ক শাকিব
খানকে এই প্রথম বার ক্রিকেটার চরিত্রে
দেখা যাবে। ক্রিকেট খেলার দৃশ্যধারন
করা হয় “খান সাহেব ওসমান আলী
স্টেডিয়াম(ফতুল্লাহ ওসমানী স্টেডিয়াম).
সেই স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে শাকিব এবং
জয়া রোমাঞ্চ করছে। শাকিব খান ও জয়া
আহসান ছাড়া ও আরেকটি গুরুত্ব পূর্ন
চরিত্রে অভিনয় করেন ইমন। প্রথম সিরিজে
আরেফিন শুভ ছিলেন তবে এই সিরিজে
তিনি থাকছেন না। তার পরিবর্তে ইমন
থাকছেন। ছবিটির কাহিনী লিখেছেন
রুম্মান রশীদ খান। সঙ্গীত পরিচালনা
করছেন শওকত আলী ইমন ও তাপস। ছবিটি
পবিত্র ঈদুল আযহায় মুক্তি পাবে।

কন্যা সন্তানের বাবা হলেন রিয়াজ

 কন্যা সন্তানের বাবা হলেন রিয়াজ

তারকা দম্পতি রিয়াজ-তিনার ঘরে নতুন অতিথি
এসেছে গত শনিবার। এরই সঙ্গে প্রথমবারের মত
বাবা হলেন বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক রিয়াজ।
শনিবার দুপুর আড়াইটায় কন্যা সন্তানের মুখ দেখেন
রিয়াজ-তিনা দম্পতি। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ডা.
নার্গিস ফাতেমার তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারের
মাধ্যমে ভূমিষ্ঠ হয় নবজাতক। জন্মের সময় বাচ্চার
ওজন ছিল ২.২০ কেজি। তিনা ও সন্তান উভয়েই সুস্থ
আছেন।

আনকাট এ্যাকশন জেসমিন

 আনকাট এ্যাকশন জেসমিন

আনকাট সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছে আলোচিত নায়িকা ববি অভিনীত এবং ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত এ্যাকশন জেসমিন, পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী তার ফেসবুকে এই তথ্য দেন, তিনি আরো জানান খুব শিঘ্রই মুক্তির তারিখ জানাবেন,
অ্যাকশন জেসমিন’ ছবিটির শ্যুটিং শুরু হয় ২০১৩
সালের ১৮ ডিসেম্বর। ইফতেখার চৌধুরী
পরিচালিত এই ছবিতে ববির বিপরীতে অভিনয়
করেছেন চিত্রনায়ক সাইমন।
সম্প্রতি ‘অ্যাকশন জেসমিন’ ছবির একটি আইটেম
হান অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। ‘পান-জর্দা-
চমন’ শিরোনামের গানটি জনপ্রিয়তা অর্জন
করেছে। ছবিতে আরও অভিনয়
করেছেন মিশা সওদাগর , মিজু আহমেদ, কাবিলা
প্রমুখ।

অরণ্য ও দেব দুই বন্ধুর গল্প নিয়ে ছবি “অরণ্যদেব”

অরণ্য ও দেব দুই বন্ধুর গল্প নিয়ে ছবি “অরণ্যদেব”

বিনোদন ডেস্ক : ফ্যান্টাসি আর কঠোর বাস্তব ভিন্ন জগতের বাসিন্দার দুই বন্ধুর গল্প। ইট-কাঠ কনক্রিকেটের বড় বড় অট্টালিকার মাঝেও একজন বেঁচে থাকে নিজের কল্পনার দুনিয়ায়। বইয়ের পাতা বা সিনেপর্দার হিরোর মতো সেও হতে চায় সবার সুপারহিরো। তাইতো তার নাম অরণ্য।অরণ্যে নতুন গাছপালার জন্মের মতো প্রতিদিন তাঁর মাঝেও ডানা মেলে নতুন স্বপ্নের, নতুন আশার। এদিকে অরণ্যের ঠিক বিপরীত মেরুর বাসিন্দার দেব। ছাপোষা বাঙালি। ১০ টা ৮টা অফিস ডিউটি আর তারপর সংসার। কঠিন বাস্তবের সঙ্গে ভিষণ ভাবে জড়িয়ে দেব।
আর দেবের এই দুনিয়াকেই প্রাধান্য দেয় শ্রীলেখা। কল্পনা অতি ঠুনকো তাই বাস্তবই আমার ভালো। আমি বসে বসে ভাবছি বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে আর আমি কফি খাচ্ছি, কফি কোনদিন আসবে না আমার হাতে। তার জন্য আমাকে রান্না ঘরে যেতে হবে। তাই অরণ্য নয় দেবের ভাবনার পাশে শ্রীলেখা।শ্রীলেখা, যীশু সেনগুপ্ত, মীরা নিয়ে পরিচালক দেবাশিষ সেনশর্মার আগামী ছবি “অরণ্যদেব”। যেখানে অরণ্যে র চরিত্রে অভিনয় করেছেন যীশু ও দেবের চরিত্রে মীর।
পরিচালকের কথায়, “ এই কলকাতা শহরেরই গল্প ‘অরণ্যদেব’। যা মূলত অরণ্য ও দেব দুই বন্ধুর গল্প। যাদের অনেকদিন পড়ে দেখা হয়। আর সেইদিন অরণ্য যে নিজেকে সুপারহিরো মনে করে আসলে সত্যিই সুপারহিরো হতে পারল কিনা তাই নিয়েই ছবির কাহিনি।

ফেসবুকে বাজে মন্তব্যকারীদের প্রতি হ্যাপীর হুমকি

ফেসবুকে বাজে মন্তব্যকারীদের প্রতি হ্যাপীর হুমকি

বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের জনপ্রিয় খেলোয়ার নাসির হোসেন ও তার বোনকে নিয়ে ফেসবুকে করা কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে সরব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলি। এই দুঃখজনক বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছেন দেশের তারকা থেকে একেবারে আপামর রুচিবোধ সম্পন্ন মানুষটিও। এ ঘটনার পর থেকেই ভার্চুয়ালে অরুচিকর ‘মন্তব্য’ ও ‘মন্তব্যকারী’দের বিরুদ্ধে উঠে প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদে যেনো নিজেকে সামিল করলেন চিত্র নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপীও!ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে চিত্র নায়িকা হ্যাপী বাজে মন্তব্যকারীদের প্রতি হুমকি দিয়ে লিখেন,
ফেসবুকে আমার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকতে হলে কমেন্ট করার বেলায় অন্তত দশবার চিন্তা করে করবেন। কথাগুলো বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে। ফেসবুকে কমেন্ট করার বেলায় সবাই পন্ডিত হয়ে যায়। এত পন্ডিত আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে কোন দরকার নেই।
আমার কথা আপনার ভাল না লাগলে আনফ্রেন্ড অপশনে চলে যান। আর ফলোয়ারদের উদ্দেশ্যে বলছি আমার পোষ্টে কমেন্ট করতে না পেরে বাজে ক্যাপশন দিয়ে কিছু শেয়ার করবেন না, তাহলে ব্লক করতে দুইবার ভেবে দেখব না।অধিকাংশ বাজে চিন্তা ভাবনার লোকের জন্যই কমেন্ট পাবলিক করি না। চিন্তাভাবনা বদলান। আর যারা সত্যিকার অর্থে আমার শুভাকাঙ্খী তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ। দোয়া করবেন আমি যেন আপনাদেরকে ভাল ভাল কাজ উপহার দিতে পারি এবং আপনাদের এত ভালবাসার মূল্য দিতে পারি। উল্লেখ্য, ক’দিন আগে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বসে নিজের বোনের সাথে একটি ‘সেলফি’ পোস্ট করেছিলেন নাসির হোসেন, আর সেখানে গিয়ে তার বোনকে ঘিরে প্রচুর মানুষ অরুচিকর মন্তব্য করে।

অগ্নি দহন

অগ্নি দহন

সুপ্ত বাসনার অস্ত মুখোশ, উন্মোচিত আজ হৃদয় নীড়ে
অম্লান সেই গভীর প্রণয়, অগ্নিদহে পুড়ছে ধীরে
অজানা দুঃখে বাকরুদ্ধ মুখে, খাচ্ছে পিষে নিস্পাপ দেহ
অথর্ব আজ জীবন প্রদীপ, খবরে যাহার নেইকো কেহ
দুঃখের শ্রাবনে ভাসমান তরী, কল্পিত জীবন কিভাবে গড়ি
বিতৃষ্ণা আজ চলন রেখায়, ক্লান্ত হৃদয়ে যাকে স্বরি
স্বপ্ন, সাধনা, অথৈ কামনা, অপূর্ণই আজ মন বাসনা
ভালবাসায় সেই লালিত প্রণয়, খোদাই করিল স্থীর যাতনা
খন্ডিত এ মন লুন্ঠিত জীবন, প্রিয়সীর চোখ অশ্রুহীনা
বুঝানোর ভাষা নেইকো মুখে, বাকরুদ্ধ তাই শান্তমনা
চাইনি কভূ কথিত জীবন, যেখানে জমা আগ্নেয়গিরি
সুখের রাজ্যে থাকবো বলে, যাযাবর বেশে ঘুরিফিরি
চলন্ত জীবন উঠন্ত যৌবন, নেইকো পরোয়া চলন রেখায়
তবুও কেন হোঁচট খেয়ে যাই, উহ্য আজও হৃদয় ভাষায়
চেয়েছি ভবে অমলিন এক, স্বর্গীয় সুখের স্বপ্নীল ভূবন
যেথায় জমাট অমৃত সুখ, নেই একলেশও দুঃখের ক্রন্দন
হৃদয় নিংড়ানো গহীনের কথন, বহিঃপ্রকাশ আজ কাব্যিক সুরে
সল্প হলেও জড়িত কুহেলি, কেটে যাবে আজ অনেক দূরে
বিদূরিত হবে ঘোলাটে আধার, উন্মেষ হবে নতুন জীবন
দৌড়ে পালাবে উদভ্রাট শক্তি, সতেজ হবে স্বপ্নের বাধন