টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ


ক্রীড়া ডেস্ক : অভিষেক ম্যাচে শূন্যতে ফিরে যাওয়া ফজলে রাব্বিকে রেখেই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে নেই কোনো পরিবর্তন। পরিবর্তন যে হবে না তার আভাস অবশ্য অধিনায়ক মাশরাফি গতকালই দিয়ে রেখেছিলেন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বুধবার টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। রাতে চট্টগ্রামে কুয়াশার প্রকোপ খুব কমও না। এই মাঠে গেল বিপিএল বেশ ভুগিয়েছে পরে বোলিং করা দলকে। তাই জেনেশুনে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও না বাংলাদেশের। এদিকে ক্রেইগ আরভিনের বদলে দলে জিম্বাবুয়ে একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার এলটন চিঙ্গাম্বুরা।
বাংলাদেশ একাদশ : লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, মুশফিকুর রহিম, (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), নাজমুল ইসলাম অপু, মুস্তাফিজুর রহমান।
জিম্বাবুয়ে একাদশ : হ্যামিলটন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), কেফাস ঝুওয়াও, ব্রেন্ডন টেইলর (উইকেটকিপার), শন উইলিয়ামস, পিটার মুর, সিকান্দার রাজা, এলটন চিঙ্গাম্বুরা, ডোনাল্ড তিরিপানো, ব্রান্ডন মাভুতা, কাইল জারভিস, টেন্ডাই চাতারা।

ইমরুল-লিটন তাণ্ডবে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

ইমরুল-লিটন তাণ্ডবে বাংলাদেশের সিরিজ জয়


হেসে খেলে সিরিজ জয় করলো বংলাদেশ। ইমরুল-লিটন তাণ্ডবে ২৪৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ বল বাকি থাকতেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করে তারা। লিটন ৮৩ ও ইমরুল করেন ৯০ রান। মুশফিক ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৩টি উইকেটই নেন সিকান্দার রাজা।
লিটন বিদায় নিলেও কাঁপাচ্ছেন ইমরুল-মুশফিক
সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়েও ফিরে যেতে হলো লিটন দাসকে। উদ্বোধনী জুটিতে ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেন তিনি। ৭৭ বলে ৮৩ রান করেন তিনি। এরপর ফজলে মাহমুদ ব্যাট করতে এলেও স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ০ রানে ফিরে গেছেন। বর্তমানে ক্রিজে আছেন ইমরুল ও মুশফিক। দুজনের ব্যাটে জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৩২ ওভারের খেলা শেষে ২ উইকেটে ১৮১ রান। ৭৫ ও ১৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ইমরুল ও মুশফিক।
বিনা উইকেটে উড়ছে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে ২৪৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ দল। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ হয়ে রিভিউ নিয়ে নতুন জীবন পাওয়া লিটন কুমার দাসের সঙ্গে উদ্বোধনীতে ৫০ রানের জুটি গড়েছেন ইমরুল কায়েস।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্য ২৪৭
চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের সামনে ২৪৭ রানের লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে জিম্বাবুয়ে। টস হেরে ব্যাটে করতে নামা জিম্বাবুয়ে শুরুতেই উইকেট হারায়। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে ৫২ ও তৃতীয় উইকেট ৭৭ রানের জুটিতে ভালো ভিত্তি পাই তারা। টপ অর্ডারের অন্য ব্যাটসম্যানরাও দৃঢতা দেখায়। কিন্তু শেষটা বাংলাদেশ বোলাররা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখে। আর তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান তুলতে পারে তারা।
জিম্বাবুয়ে শুরুতে ১৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায়। এরপর ৭০ রানের মাথায় ফিরে যান জহুয়া। তিনি ফিরে যাবার পর টেইলর-উইলিয়ামসের উইকেটে ভর করে ৭৭ রান যোগ করে সফরকারীরা। ব্যক্তিগত ৭৫ রানে ভয়ঙ্কর হওয়া টেইলরকে ফেরান মাহমুদুল্লাহ। এরপর ৪৭ রানে সাইফউদ্দিন ফেরান শেন উইলিয়ামসকে।
কিন্তু টেইলর-উইলিয়ামসকে আউট করেও জিম্বাবুয়েকে বড় চাপে ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর ক্রিজে আসা সিকান্দার রাজাও ভালো শুরু করেন। তিনি খেলেন ৬১ বলে ৪৯ রান। এরপর মাশরাফির বলে ফেরেন। জিম্বাবুয়ের রান তখন ৪৫.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ২২৯। দলের ওই রানেই ফিরে যান পিটার মুর। পরের ৪ ওভারে জিম্বাবুয়ে মাত্র ১৭ রান তুলতে পারে।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও অপরিবর্তিত দল নিয়ে মাঠে নেমেছে। ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে শূন্য করে ফেলা ফজলে রাব্বি আছেন একাদশে। এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে জিম্বাবুয়ে। তাদের দলে ফিরেছেন এলটন চিগুমবুরা।
চট্টগ্রামে শিশির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়া সর্বশেষ সাত দিবারাত্রীর ওয়ানডে ম্যাচের চারটিতে এখানে পরে ব্যাট করা দল জয় পেয়েছে। তাই টসে জয় বাংলাদেশের পক্ষে গেছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বল করার সিদ্ধান্ত নিতেও হয়তো খুব বেশি ভাবেননি।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, ফজলে রাব্বি, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ, মেহেদি মিরাজ, সাইফউদ্দিন, মাশরাফি মর্তুজা (অধি.), মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল ইসলাম অপু।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিলটন মাসাকাদজা (অধি.), ক্যাপহাস জহুয়া, ব্রেন্ডন টেলর, শেন উইলিয়ামস, সিকান্ডার রাজা, এলটন চিগুমবুরা, পিটার মুর, কাইল জারভিস, ব্রেন্ডন মাভুত, ডোনাল্ড ট্রিপানো, টেন্ডি সাতারা।

এবার খল চরিত্রে অঙ্কুশ

এবার খল চরিত্রে অঙ্কুশ


বিনোদন ডেস্ক : ওপার বাংলার অভিনেতা অঙ্কুশকে সবাই সুদর্শন নায়ক হিসেবেই চেনেন! কিন্তু এবার তাকে দেখা যাবে খল চরিত্রে। দীর্ঘ বিরতি নিয়ে বড় পর্দায় কামব্যাক করছেন তিনি। ‘ভিলেন’ নামের একটি ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি এই ছবির পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে। ছবিটি প্রকাশ হয়েছে অঙ্কুশের টুইটারে।
প্রকাশিত পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কুশের পেটানো চেহারা। মুখে, হাতে লেগে রয়েছে রক্ত। মনে করতে পারেন, এমন চেহারায় অঙ্কুশকে আগে দেখেছেন কিনা? হয়তো দেখেননি। এ অঙ্কুশ আগের থেকে অনেকটাই আলাদা। এই ছবিটি পরিচালনা করছেন কলকাতার জনপ্রিয় পরিচালক বাবা যাদব। সেখানে এই লুকেই দেখা যাবে নায়ককে।
ভিলেন ছবি নিয়ে বড় বেশি আশাবাদী অঙ্কুশ। তিনি বলেন, ‘এটা আমার ইমেজ চেঞ্জিং ফিল্ম বলতে পারেন। রমকম ছবি বা নেক্সট ডোর বয় ইমেজে শেষ কয়েকটা সিনেমায় আমাকে দেখেছেন দর্শক। কিন্তু এ ধরনের কাজ আমি অনেক দিন করিনি। অনেক শেড রয়েছে। এটা একটা ক্রাইম থ্রিলার। টলিউডের ফাইনেস্ট ক্রাইম থ্রিলার বলতে পারেন।’
ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন রমন জানওয়াল। কনসেপ্টও তার। মুম্বাইতে আব্বাস মস্তানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে রমনের। তবে বাংলায় এই প্রথম কাজ করছেন তিনি।
কোরিওগ্রাফার হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর এখন পরিচালক হিসেবেও টলি পাড়ার নিজস্ব জায়গা তৈরি করে ফেলেছেন বাবা যাদব। ভিলেন ছবিটি নিয়ে তার ভাষ্য, ‘এটুকু বলতে পারি, ছবিটা কমন নয়। আলাদা ফ্লেভার পাবেন দর্শক। অনেক টুইস্ট অ্যান্ড টার্নস রয়েছে। অঙ্কুশ এবং মিমি কাজ করছেন।’
পোস্টারে অঙ্কুশ নজর কেড়েছেন বটেই। তবে তার পাশে সমান উজ্জ্বল মিমিও। সব কিছু ঠিক থাকলে আসন্ন পুজাতেই মুক্তি পাবে এই ছবি।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ৭ বছর জেল, ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ৭ বছর জেল, ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা


আদালত আজ জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকে ৭ বছর জেল দিয়েছে এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। বাকি তিনজন আসামীদের একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তৎকালীন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান এবং হারিস চৌধুরীর একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না।
প্রচলিত আইনে এটিই সর্বোচ্চ শাস্তি। ক্ষমতার অপব্যবহারসহ ১৫টি বিষয় বিবেচনায় নিতে এই মামলার রায় দিয়েছেন বিচারক। ক্ষমতার সর্বোচ্চ পদে থেকে এ ধরনের অপরাধ যেন কেউ না করে, সে জন্য কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করে এই আদালত। এর আগে কারাবন্দী খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই মামলাটির বিচার চলবে বলে জানিয়ে দেয় আদালত। হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করেছিলেন খালেদার আইনজীবীরা। সে বিষয়ে শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচাপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার তা খারিজ করে দেয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া প্রায় আটমাস যাবত কারাগারে আছেন। ২০১০ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-এ অর্থের উৎস নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
মামলার অভিযোগে কী বলা হয়েছে?
দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে বলে মামালার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ টাকার কোন উৎস তারা দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য অভিযুক্তরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তৎকালীন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান এবং হারিস চৌধুরীর একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না।
হারিস চৌধুরী ছাড়া বাকি সবাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানতে পারে যে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করে। সেটির ট্রাস্টি ছিল খালেদা জিয়ার দুই ছেলে। সে ট্রাস্টের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে টাকা সংগ্রহ করা হলেও সেটি দাতব্য কাজে খরচ করা হয়নি। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ২০১১ সালের আগস্ট মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হয়। এরপর মামলার কার্যক্রম স্থগিতে আবেদন জানিয়ে উচ্চ আদালতে যান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ।

ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত বিমানের কেউ বেঁচে নেই

ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত বিমানের কেউ বেঁচে নেই



ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হওয়া লায়ন এয়ারের জেটি৬১০ ফ্লাইটে থাকা ব্যক্তিদের কেউ বেঁচে নেই বলে জানিয়েছেন অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার এক কর্মকর্তা।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম দ্য জাকার্তা গ্লোব।
সংস্থাটির অপারেশনাল ডিরেক্টর বামবাং সুরিয়ো বলেন, বিধ্বস্ত বিমানের প্রধান ধ্বংসাবশেষটি খুঁজে বের করা দরকার আমাদের। এ পর্যন্ত মৃতদেহের যেসব অংশ পাওয়া গেছে তার ওপর ভিত্তিতেই বলছি বিমানের কেউ বেঁচে নেই।
এর আগে সংস্থাটির মুখপাত্র ইউসুফ লতিফ জানিয়েছিলেন, বিমানটি ৩০ থেকে ৪০ মিটার পানির গভীরে তলিয়ে গেছে। আমরা এখনও বিমানের ধ্বংসাবশেষ খোঁজার চেষ্টা করছি।
এদিন বিমানটি স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০মিনিটে জাকার্তা থেকে পাংকাল পিনাংয়ের দিপাতি আমির বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ জানায়, উড্ডয়নের মাত্র ১৩ মিনিট পরই বিমানটির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পাংকাল পিনাংয়ের অনুসন্ধান ও উদ্ধার অফিসের প্রধান দানাং প্রিয়ানদোকো জানান, বিমানটির পাইলট জাকার্তার সোয়েকারনো-হাত্তা বিমানবন্দরে ফেরার অনুমতি চেয়েছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ সংস্থার প্রধান সুতোপো পুরও নুগরোহো টুইটারে কিছু ছবি পোস্ট করে লেখেন, বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও যাত্রীদের জিনিসপত্র সাগরে ভাসছিল। এছাড়া তার পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও তেল পানিতে ভাসছে।
দেশটির সংবাদ সংস্থা আনতারা নিউজ জানায়, বিমানটিতে মোট ১৮৯ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৭৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রী, ৩টি শিশু, ৬ জন ক্রু সদস্য এবং ২ জন পাইলট।

জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে ইসির প্রজ্ঞাপন

জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে ইসির প্রজ্ঞাপন

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর আওতায় রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছিল। দলটির নিবন্ধন নম্বর ছিল ১৪। ২০০৯ সালে হাইকোর্টে দায়ের করা ৬৩০ নম্বর রিট পিটিশনের রায়ে আদালত জামায়াতে ইসলামীর অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ এইচ ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হলো।
২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে তখন ইসি থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। তখন ইসি থেকে বলা হয়েছিল, বিষয়টি আপিল বিভাগে বিচারাধীন আছে। যে কারণে ইসি এ বিষয়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি। তবে তখন ইসির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছিল, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের দেয়া রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায়ও ইসির ওয়েবসাইটে একই বক্তব্য দেখা গেছে।

খুলনায় মালিঙ্গা, কুমিল্লায় লুইস, ঢাকায় বেল

খুলনায় মালিঙ্গা, কুমিল্লায় লুইস, ঢাকায় বেল
ক্রিকেট


১৮৯ জন যাত্রী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার বিমান বিধ্বস্ত

১৮৯ জন যাত্রী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার বিমান বিধ্বস্ত
পেংকাল পিনাং বিমানবন্দরে স্বজনদের আহাজারি।

লায়ন এয়ার বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ১৮৯ জন যাত্রী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জার্কাতা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে।
উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে কন্ট্রোল রুমের সাথে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সর্বশেষ দেখা যায় বিমানটি সমুদ্রে পড়ে গেছে।
তবে বিমানটিতে থাকা কেউ বেঁচে আছে কিনা - তা জানা যায় নি। ফ্লাইট জেটি ৬১০ নিয়মিত ফ্লাইট যেটা জার্কাতা থেকে পেংকাল পিনাং যাতায়াত করে।
কী ঘটেছিল?
x
ফ্লাইট জেটি ৬১০ স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৬:২০ মিনিটে উড্ডয়ন করে। বিমানটি দেপাতি আমির বিমানবন্দরে এক ঘন্টা পর অবতরণ করার কথা ছিল।
কিন্তু ১৩ মিনিট পর কর্তৃপক্ষ বিমানটির সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে।
কর্তৃপক্ষ একটা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে বিমানটিতে ১৭৮জন প্রাপ্তবয়স্ক, তিনজন শিশু, দুইজন পাইলট এবং পাঁচজন কেবিন ক্রু ছিল।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান জানিয়েছেন ঐ বিমান থেকে মানুষের ব্যবহার করা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সাগরে ভাসতে দেখা গেছে।

পরিবহন শ্রমিকদের ‘কর্মবিরতি’তে দেশজুড়ে স্থবিরতা

 পরিবহন শ্রমিকদের ‘কর্মবিরতি’তে দেশজুড়ে স্থবিরতা

সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা পরিবর্তনের দাবিতে রোববার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ‘কর্মবিরতি’তে দেশজুড়ে স্থবিরতা বিরাজ করছে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেটসহ দেশের প্রায় সব এলাকায় এ কর্মসূচি পালন হচ্ছে। পরিবহন শ্রমিকরা যেমন যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন, তেমনি চলছে না পণ্যবাহী কোনো পরিবহনও। রাজধানীর সড়ক, আঞ্চলিক সড়ক থেকে শুরু করে মহাসড়কেও বিরাজ করছে যানবাহনশূন্যতা।
বগুড়া
শহরের চারমাথার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, ঠনঠনিয়ার আন্তঃজেলা কোচ টার্মিনাল থেকে দূর-পাল্লার কোনে বাস ছেড়ে যায়নি। কাউন্টারগুলো রয়েছে বন্ধ। অনেক যাত্রীকে টার্মিনাল এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। অনেকে আবার গাড়ি না পেয়ে বাড়ি ফিরে যায়। টার্মিনালসহ মহাসড়কের বেশ কয়েকটি এলাকায় শ্রমিকদের অবস্থান রয়েছে।
এদিকে 'কর্মবিরতি'র কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন। নূরজাহান, আরিফুল ইসলাম, আব্দুল মজিদসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, বাড়ির কাছাকাছি এসে আটকা পড়েছি। এ মুহূর্তে গন্তব্যে পৌঁছাটাই আসল ব্যাপার। ভাড়া কিছু বেশি নিলেও আপতত সমস্যা নেই। কিন্তু যানবাহন তো পাওয়া যাচ্ছে না।    
কুমিল্লা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা সড়কে যান চলাচলে বাঁধা দিচ্ছে। মহাসড়কের ওপর বসে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। আট দফা দাবি মানা না হলে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সড়ক অচল করে রাখা হবে বলে জানা বিক্ষোভকারীরা।
পরিবহন ‘কর্মবিরতি’তে শহরের শাসনগাছা, চকবাজার ও টমসমব্রিজ বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো যাত্রীবাহী পরিবহন। সকাল থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফাঁকা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ
সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের প্রায় ৩০টি স্পটে অবস্থান নেয় পরিবহন শ্রমিকরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিমরাইল মোড়ে প্রধানমন্ত্রীর পিএস সাজ্জাদুল হাসানের গাড়িও আটকে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা।
প্রায় আধাঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) মোল্লা তাসলিম হোসেন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে গাড়িটি পার করে দিতে সক্ষম হন।
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় দুপুরের দিকে শ্রমিকরা সড়কে টায়ারের আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বরিশাল
হঠাৎ করে পরিবহন শ্রমিকদের 'কর্মবিরতি'র ডাক দেওয়ায় এবং সড়কে মাহিন্দ্রা থেকে অটো টেম্পো বন্ধ থাকার কারণে বরিশালে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটের যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কোনো পরিবহন সকাল ৬টা থেকে চলাচল করছে না। কোনো পরিবহন চালানোর চেষ্টা করলে শ্রমিদের বাধায় তা পথে আটকে যাচ্ছে।
অপরদিকে নগরীর রূপাতলীস্থ বাস টার্মিনাল থেকেও দূরপাল্লা ও আভ্যন্তরীণ রুটের কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দূরপাল্লাগামী সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। খোলা হয়নি কোনো কাউন্টার। বাস না পেয়ে অনেক যাত্রী বাড়ি ফিরে গেছেন। আবার অনেকেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী, উত্তর তেমুহনী ও ঝুমুর সিনেমা হল এলাকায় যাত্রীদেরকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। জেলার অভ্যন্তরীণ রুটেও বাস-ট্রাক চলাচল করতে দেখা যায়নি।
লক্ষ্মীপুর জেলা (দক্ষিণ) বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আল মাসুদ বলেন, ৮ দফা দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। অবিলম্বে দাবিগুলো মেনে নিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
দিনাজপুর
কর্মবিরতির কারণে দিনাজপুরে সব ধরণে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করা যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা প্রশাসন ও শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতা করার আহ্বান জানান।
অপরদিকে পরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প হিসেবে যাত্রীদের ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতেও সুযোগ বুঝে অটোচালকরা দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
ফেনী
‘কর্মবিরতি’র কারণে  ফেনীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ধর্মঘটের কারণে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে না যাওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা এ কর্মবিরতির পক্ষে রাস্তায় রয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
এছাড়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ই' এবং 'এফ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থীরাও পড়েছেন বিপাকে। অনেক পরীক্ষার্থী আটকা পড়ে আছেন ফেনী মহিপালে।
ঝিনাইদহ
'কর্মবিরতি'র কারণে ঝিনাইদহ থেকে দূরপাল্লা ও স্থানীয় সব রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ইঞ্জিনচালিত সব যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। পাশাপাশি ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত ভ্যানও চলাচল করতে দিচ্ছে না তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ জেলা সাধারণ মানুষ।
লালমনিরহাট
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ‘কর্মবিরতি’তে  দেশের অন্যতম বুড়িমারী স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে দেশের অভ্যন্তরে আমদানি পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় গুদামজাত করছেন ব্যবসায়ীরা। যানবাহন না থাকায় বড় বিপাকে পড়েছেন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার খায়রুল বাশার জানান, বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে যেতে না পারলেও ব্যবসায়ীরা আমদানি পণ্য গ্রহণ করছেন। রপ্তানি পণ্যে ট্রাকও বন্দর অতিক্রম করছে। তবে পরিবহন সংকটের কারণে দূরপাল্লার যাত্রীদের ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। তারা ছোট ছোট যানবাহনে পরিবহন করে আবাসিক হোটেলে আশ্রয় নিচ্ছেন আবার কেউ ট্রেন যাতায়ত করছেন।
মেহেরপুর
পরিবহন ‘কর্মবিরতি’র কারণে ভোগান্তিতে পড়ছে মেহেরপুর জেলার স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সব ধরনের মানুষ। আঞ্চলিক সড়কগুলোতে ছোট-খাট শ্যালো ইঞ্জিনচালিত আলগামন, নসিমন, করিমন ও ব্যাটারিচালিত অটোকশাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারলেও মেহেরপুর-কুষ্টিয়া, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর-মুজিবনগর রোডে কোনে যানবাহনই চলাচল করছে না।
এদিকে ৪৮ ঘণ্টার ‘কর্মবিরতি’র শুরু হওয়ায় জেলার কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও কৃষকরা পড়েছে দুশ্চিন্তায়। কারণ জেলা থেকে প্রতিদিনই কাঁচামরিচ, ফুল কপি, বাঁধাকপি, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, মূলা, সিম, করলা, শসা, বরবটিসহ বিপুল পরিমাণ সবজী ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলা যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
খাগড়াছড়ি
পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে খাগড়াছড়ি থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো যানবাহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীরা। তবে অভ্যন্তরীণ সড়কে চলছে ছোট ছোট যানবাহন। শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছে। জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
নাটোর
কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ নাটোরের কোনো বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনো ধরনের বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। পণ্যবাহী যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। গন্তব্যের জন্য ছোট ছোট যানবাহন বিশেষ করে রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার গাড়িই হচ্ছে একমাত্র ভরসা। তবে কোনো কোনো স্থানে থ্রি-হুইলার গাড়িও চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
পঞ্চগড়
পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা কর্মবিরতি'তে বিপাকে পড়েছে পঞ্চগড় জেলার সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মোটর পরিবহন শ্রমিকরা যানবাহন বন্ধ রেখেছে।
যশোর
যশোরের ১৮ রুটে পরিবহণ ধর্মঘটে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীরা। জেলার অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে হালকা যানবাহন চলাচল করলেও, দূরপাল্লার যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
সকাল থেকে যশোর শহরের মণিহার বাসস্ট্যান্ড, শংকরপুর টার্মিনাল, খাজুরা বাসস্ট্যান্ড, পালবাড়ী মোড় ঘুরে দেখা যায়, যানবাহণশূন্য রাস্তায় লোকশূন্য। জেলার অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীরা ট্রেকার, থ্রি-হুইলার কিংবা ইজিবাইকে চলাচল করছে। তবে প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে দূরপাল্লার লোকজনকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ
পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার 'কর্মবিরতি'র প্রথম দিনে গোপালগঞ্জে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ আভ্যন্তরীণ ১৬ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে গোপালগঞ্জের সঙ্গে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, মাদারীপুরের, যশোর, বেনাপোল, চট্টগ্রাম, রংপুর, কুড়িগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ধর্মঘটের কারণে পথে পথে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিকল্প উপায়ে থ্রি-হুইলার, ভ্যান, নসিমন ও ইজিবাইকে করে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। এর জন্য গুনতে হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া।
টাঙ্গাইল
পরিবহন শ্রমিকদের 'কর্মবিরতি'তে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে সারাদেশের সঙ্গে বাস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বাস না চলায় যাত্রীদের ভোগান্তিকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও লেগুনার চালকরা।
এদিকে মহাসড়কে বাস চলাচল না করায় যাত্রীরা ভিড় করছে রেলওয়ে স্টেশনে।