কলঙ্কিত আ’লীগ, হুমকিতে গণতন্ত্র


যা ঘটবার তাই ঘটেছে। বিএনপি তথা ২০ দল তিন সিটি নির্বাচন বর্জন করেছে। বিএনপি সমর্থিত তিন মেয়র প্রার্থী ইলেকশনের দিন দ্বিপ্রহর ১২টায় নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে তাদের কাউন্সিলর প্রার্থীরা বয়কট করলেন কিনা সেটা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ঘোষণায় স্পষ্ট নয়। বিএনপির এই বর্জনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দেশে গণতান্ত্রিক নিয়মতান্ত্রিকতার রাজনীতি ও আন্দোলনের পথ সাময়িকভাবে আবার রুদ্ধ হয়ে গেলো। আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে ‘ভোট ডাকাতি’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন শেখ হাসিনা। তখন ছিল বেগম জিয়ার আমল। তখন কিন্তু কোনো ভোট ডাকাতি হয়নি। শেষ হাসিনা সেদিন আরেকটি শব্দও ব্যবহার করেছিলেন। সেটি হলো ‘ভাতের অধিকার’। সেদিন কিন্তু ভাতের অধিকার থেকেও কেউ বঞ্চিত ছিলেন না। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এবং বিশেষ করে এইবার ২৮ এপ্রিলের সিটি নির্বাচনে রাষ্ট্র কর্তৃক জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে শেখ হাসিনা মানুষকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলেন যে, ভোট ডাকাতি কত প্রকার এবং কি কি। সেদিন শেখ হাসিনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছিলেন, যদিও সেদিন গণতন্ত্র হারিয়ে যায় নাই যে তাকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কিন্তু এবার গণতন্ত্র এমনভাবে হাইজ্যাক হয়েছে যে, সব শ্রেণীর দল এবং মতকে রাজনীতি করতে হলে সর্বাগ্রে সেই হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। সেই পুনরুদ্ধারের কাজটি করতে হবে কঠিন সংগ্রামের মাধ্যমে। সেই কঠিন সংগ্রামের দায়িত্ব এসেছে ২০ দলীয় জোটের ঘাড়ে।
তাহলে ২০ দল এখন কি করবে?
তাই এটিই এখন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী গণতন্ত্রকামী মানুষের সামনে জ্বলন্ত জিজ্ঞাসা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কারণ যারা সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় কোনো পরিবর্তনে বিশ্বাস করেন না, যারা কমিউনিস্ট এবং আল-কায়েদার মতো সশস্ত্র সংগ্রামে বিশ্বাস করেন না, তাদের জন্য সব সময় একটি রাস্তাই খোলা থাকে এবং এখনও আছে। আর সেটি রাজপথে জনগণের নিয়মান্ত্রিক অভ্যুত্থান। যেটিকে বলা হয় গণঅভ্যুত্থান। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে জেনারেল আইয়ুব খানের পতন ঘটেছিল। তবে চূড়ান্ত পতনটি ঘটেছিল আরেক জেনারেলের (ইয়াহিয়া খান) কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে। সেই জেনারেল অবশ্য পাকিস্তানের উভয় অঞ্চলে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করেছিলেন। সেই নির্বাচনেই শেখ মুজিব সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের এবং জুলফিকার আলী ভুট্টো পশ্চিম পাকিস্তানের মেজরিটি লিডার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। শেখ মুজিব শুধুমাত্র পূর্ব পাকিস্তানেরই নয়, জাতীয় পরিষদে ১৬৯টি আসন পেয়ে সমগ্র পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ১৯৯০ সালেও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই জেনারেল এরশাদের পতন হয়েছিল। এবার অবশ্য আরেক মিলিটারি লিডার নয়, বিচারপতি শাহাবুদ্দীন বেসামরিক সরকারের হাতেই এরশাদকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হয়েছিল।
এবার পরিস্থিতি ভিন্ন
এবার কিন্তু ৬৯ এবং ৯০-এর পরিস্থিতি বিরাজমান নয়। আগের দুইবার জাতীয় পরিষদ বা জাতীয় সংসদ তথা পার্লামেন্টে বিরোধী দলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য ছিল। এবার জাতীয় সংসদে ২০ দলের একজন সদস্যও নাই। ৬৯-এর আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ১১ দফার ভিত্তিতে সাধারণ ছাত্র সমাজ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দল তার বিপরীতে আইয়ুব খানের তেমন কোনো সাংগঠনিক শক্তি ছিল না। ৯০-এর আন্দোলনেও জেনারেল এরশাদের তেমন কোনো সংগঠন ছিল না। তাঁর বিপরীতে ছিল বিএনপির মতো সেই সময়কার জনগণের আস্থাভাজন দল, আওয়ামী লীগের মতো মজবুত সংগঠন এবং জামায়াতে ইসলামীর মতো শক্তিশালী ইসলামী দল। কিন্তু এবার ২০ দল মোকাবেলা করছে আওয়ামী লীগের মতো একটি দল যারা সরকারের থেকেও সংগঠনের ওপর জোর দিয়ে যাচ্ছে এবং যে সরকারের পেছনে রয়েছে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির মতো রাষ্ট্রীয় বাহিনী এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের যেটা অভাব সেটা হলো জনসমর্থন।
জনসমর্থন নাই বলেই ভোট ডাকাতি
আওয়ামী লীগের জনসমর্থন শূন্যের কোঠায় বলেই ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের চেয়েও ২৮ এপ্রিলের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নগ্নভাবে পেশী শক্তির ব্যবহার করেছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা সকাল থেকেই বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং পত্র-পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের ওপর সারাটি দিন চোখ রেখেছিলেন। প্রতিটি চ্যানেল, বিশেষ করে অনলাইনগুলোতে প্রতি মুহূর্তে আসছিল একটির পর একটি ভোট কারচুপির তথা ভোট ডাকাতির তাণ্ডব।
এই ভাষ্যকার সারাদিন ধরে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ইনকিলাব, মানবজমিন, যুগান্তর, নয়াদিগন্ত, সংগ্রাম, নিউএজ, আমাদের সময় ডট কম, শীর্ষ নিউজ, নতুন বার্তা প্রভৃতি পত্র-পত্রিকায় চোখ বুলাচ্ছিলেন। প্রত্যুষেই দেখি প্রথম আলোর অন্যতম শিরোনাম, আগের রাতে ৪টি কেন্দ্রে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ’। ভোট শুরু হওয়ার পর একের পর এক যেসব খবর আসতে থাকে তার কয়েকটির শিরোনাম দিচ্ছি ১. বংশালে সুরিটোলা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত ২. ১৯নং ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে সরকারি দলের ক্যাডাররা বিরোধীদলীয় এজেন্টদেরকে বের করে দিয়ে ব্যালটে সমানে সিল মারছে। ৩. ফকিরাপুল, বনানী, নীলক্ষেত এবং গুলশানে বিরোধী দলের নির্বাচনী এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে ৪. সেগুনবাগিচা, কার্জন হল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ সেন্টার থেকে ২ শতাধিক এজেন্ট বহিষ্কার। তারা প্রেস ক্লাবে এসে জমায়েত হলে সেখানে তাদের ওপর হামলা ৫. ফকিরেরপুল প্রাথমিক বিদ্যালয়, নটরডেম কলেজ, গোড়ান আদর্শ স্কুল, পূর্ব গোড়ান মদিনাতুল উলুম মাদরাসা, প্যারিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং ছমিয়ননেছা স্কুল কেন্দ্র থেকে বিরোধীদলীয় এজেন্ট বহিষ্কার ৬. শাহজাহানপুরের বিভিন্ন কেন্দ্রে জোর করে সিল মারছে সরকারি দল ৭. উত্তরা হাইস্কুল থেকে তাবিথের সব এজেন্ট বহিষ্কার ৮. উত্তরের ৭নং ওয়ার্ডে গেট আটকিয়ে সিল মারা ৯. উত্তরের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ২৯ এজেন্ট আটক ১০. মগবাজার টিএন্ডটি স্কুল থেকে বিএনপির সব এজেন্ট বহিষ্কার ১১. মির্জা আব্বাস পতœী আফরোজা আব্বাসের অভিযোগ, শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গোড়ান আলী আহমেদ স্কুল, আদর্শ স্কুল কেন্দ্র ও বাসাবো স্কুল কেন্দ্রে রাতেই সিল মারা হয়েছে ১২. নয়াপল্টন পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র এবং আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের বিএনপি এজেন্টরা বিতাড়িত ১৩. চট্টগ্রামের বাকলিয়া সরকারি ক্যাডারদের ককটেল হামলা ১৪. চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে পুলিশের গুলি ১৫. ঢাকার ধলপুর ও শাখারিবাজার কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত ১৬. সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যেই রাজধানীর ৪২টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন ১৭. অধ্যাপক এমাজউদ্দীন লাঞ্ছিত, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ৫ শতাধিক ভোটার ভোট কেন্দ্রের বাইরে ১৮. সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির অভিযোগ, সকাল ৮-৩০ মি, থেকে ৯-৩০ মিনিটের মধ্যে ঢাকার ৫৮টি ওয়ার্ডে ভোট প্রদান সম্পন্ন ১৯. বনানী বিদ্যা নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ৪০ মিনিট ছিলেন। এই ৪০টি মিনিটে মাত্র ৪টি ভোট প্রদান ও ২০. কবি নজরুল কলেজে ককটেল হামলা। ভোট গ্রহণ স্থগিত।
কিন্তু কোনো প্রতিরোধ নাই
তালিকা আর বাড়াতে চাই না। বাড়লেও অন্তত ৫০টি কেস হয়ে যাবে। মাত্র তিনটি সিটি ইলেকশনেই এই তাণ্ডব। কিন্তু যেহেতু যেকোনো মূল্যে জয়লাভই ছিল আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য তাই প্রচণ্ড পেশী সঞ্চালন ছাড়া আওয়ামী লীগের আর কোনো উপায় ছিল না। না হলে তাদের জনপ্রিয়তা অন্তঃসারশূন্যতা উৎকটভাবে বেরিয়ে আসতো।
অন্যরাও বর্জন করেছে
আওয়ামী লীগ কথার যত ফুলঝুরি রচনা করুক না কেন, এবারের নির্বাচনকে তাদের প্রকাশ্য ভোট ডাকাতি তারা কোনো অবস্থাতেই গোপন করতে পারবে না। শুধুমাত্র বিএনপিই নির্বাচন বর্জন করে নাই, বর্জন করেছে বামপন্থী প্রার্থী জুনায়েদ সাকী, সিপিবি এবং বাসদের প্রার্থী, ইসলামী আন্দোলন ঢাকার ফজলে বারী মাসুদ এবং আব্দুর রহমান, চট্টগ্রামের ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, চট্টগ্রামে ইসলামী আন্দোলনের ওয়ারেস হোসেন ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এই নির্বাচন সম্পর্কে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিরোধী দলকে কৌশলে বয়কট করিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নেয় সরকার। আর এবার তা ছিনিয়ে নিল ভোট ডাকাতি করে। এতে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও প্রশাসন সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। নির্বাচনের নামে তামাশার মাধ্যমে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকা হয়েছে।”
বিদেশী প্রতিক্রিয়া
তিন সিটি করপোরেশনে বিএনপির পক্ষ থেকে তোলা ভোট কারচুপির অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। মহাসচিবের মুখপাত্র ফারহান হক এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, “ভোট কারচুপির উত্থাপিত সব অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন মহাসচিব বান কি মুন।”
এদিকে ব্রিটেন এবং আমেরিকার পক্ষ থেকেও ভোট কারচুপির অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে জারি করা এব বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আজ বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং সহিংসতার যেসব ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ব্যাপক ও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন  পাওয়া গেছে এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জনের যে সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছে তাতে আমরা হতাশ। যেসব অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে তার স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া জরুরি।” ব্রিটশ হাই কমিশনার গিবসন বলেছেন, “আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সব রাজনৈতিক দলকে আজকের ঘটনার প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত। অনিয়মের সব অভিযোগ দ্রুত এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হওয়া উচিত। সব রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর দায়িত্ব, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করা, যা ভোটারদের গণতান্ত্রিক অধিকার।”
পত্র-পত্রিকার প্রতিক্রিয়া
২৯ এপ্রিল দৈনিক প্রথম আলোর রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়, “প্রশ্নবিদ্ধ এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত তিন মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হলেও গণতন্ত্রের পরাজয় হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরগণ মনে করেন। এই নির্বাচনে ভোটের খেলায় গণতন্ত্র হেরেছে। সরকার সমর্থকরা অনেকটা ফাঁকা মাঠে পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় উন্মুক্ত কারচুপি করেছেন।”
এতদিন ধরে যে কথা বিএনপি ও জামায়াত তথা ২০ দল বলে আসছে ২৮ এপ্রিলের পর সেই কথারই প্রতিধ্বনি বামপন্থীদের কণ্ঠেও শোন যাচ্ছে। সিপিবি এবং বাসদ ‘ঘৃণাভরে’ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা মনে করে, “আওয়ামী লীগের অধীনে যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় তা আবার প্রমাণিত হলো। এই নির্বাচন অতীতের কারচুপির সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।” সিপিবির সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর বলেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন। আর ২৮ এপ্রিল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন গায়ের জোরের নির্বাচন। এই নির্বাচনকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এই নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন। জালিয়াতির নির্বাচন। এই নির্বাচন জনগণ মানে না।” এ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও রাজনীতি আবারও কলঙ্কিত হলো। আর কলঙ্কের এ বোঝা বহন করতে হবে আওয়ামী লীগকেই।

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট