দেশে ফিরতে চান সালাহউদ্দিন

দেশে ফিরতে চান সালাহউদ্দিন

বহু প্রতীক্ষিত মাহেন্দ্রক্ষণ যেন। অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ শিলং সিভিল হাসপাতালে প্রবেশ করলেন। ধীর পায়ে এগিয়ে গেলেন সেই কক্ষের সামনে। ভেতরে ঢুকেই তার বাঁধ ভাঙ্গা ঢেউ যেন আছড়ে পড়ল। চোখের সামনে স্ত্রীকে দেখে অবাক বিস্ময়ে তাকালেন সালাহ উিিদ্দন আহমেদ। কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন দুজনেই। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে স্বামী নিখোঁজ ছিল, এরপর তার খোঁজ মিলল ভারতের মেঘালয় হাসপাতালে। সেই স্বামী সালাউদ্দিন আহমেদ জীবিত দাঁড়িয়ে আছেন তার সামনে। ফের দেখা হবার পর আবেগে কান্না ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না তাদের। বেশ কিছু মুহুর্ত এভাবেই কেটে যায়। সম্বিত ফিরে পান, তবে তাদের মধ্যে কি কথা বার্তা হয় তা বিস্তারিত তাৎক্ষনিক ভাবে জানা যায়নি। যা জানতে বাইরে তখন সাংবাদিকরা হাসপাতালের গেটে অপেক্ষায় আছেন। কখন হাসিনা আহমেদ ফিরে আসবেন। সালাউদ্দিন আহমেদকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আইনগত ও তার চিকিৎসার জন্যে স্বাস্থ্যগত বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নিলেন তা জানার জন্যে। বাংলাদেশ সময় গতকাল সোমবার রাত ৮টার সময় হাসিনা আহমেদ শিলং হাসপাতালে প্রবেশ করেন। আগের দিন রোববার রাতেই তিনি ঢাকা থেকে কোলকাতায় আসেন। এরপর সোমবার সকালে বিমানে গৌহাটি এসে সড়ক পথে রওনা দেন শিলং।
দেশে ফিরতে চান সালাহ উদ্দিন
দেশে ফিরতে চান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, আমি আমার দেশে ফিরতে চাই। কারণ আমি কোন দাগী আসামি নই। আমি বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ। যদিও সরকার আমার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারি করেছে, কিন্তু তা ঠিক করেনি। এই প্রথম তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারলেন। শিলং সময় সকাল ১১টা ১১ মিনিটে হাসপাতালের এক ইউনিট থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মূল ভবনে সিটি স্ক্যান করাতে। ঠিক তখনি অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সামনে পড়ে যান তিনি। এসময় তার পরণে ছিল সাদা পাজামা, ফতুয়া। গায়ে জড়ানো ছিল চাদর। সাংবাদিকরা তাকে সামনে পেয়ে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন। যতটা সম্ভব হয় সালাহ উদ্দিন কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন। ধীরে ধীরে হাঁটছিলেন তিনি। কেমন আছেন সাংবাদিকরা এ প্রশ্ন করলে তিনি জানান, ভাল আছি। কিন্তু এখনো সব কিছু মনে করতে পারছি না। ভারতে কিভাবে এলেন জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন বলেন, আমার চোখ বাঁধা ছিল। শিলং গল্ফ লিংকে আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়া হলে আশে পাশের মানুষকে স্থানটি কোথায় তা জিজ্ঞেস করি। এসময় স্থানীয় থানা কোথায় তা জানতে চাইলে আমাকে কয়েকজন পথ নির্দেশ করলে আমি থানায় যাই। তখন আমি পরিচয় দেই। আমি যে একজন সাবেক মন্ত্রী ছিলাম পুলিশ তা বিশ্বাস করতে চাইছিল না। এসময় সাংবাদিকদের বেশ কয়েকটি প্রশ্নে তিনি বলেন, হাত,পা ও কান বাঁধা অবস্থায় আমাকে ফেলে রাখা হয়। পরে স্থানীয়দের অনুরোধ করলে তারা পুলিশকে খবর দেয়। সেখান থেকে আমাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, প্রায় ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা জার্নি করার পর এখানে ফেলে রাখা হয়। গাড়িতে কোন কথাবার্তা শুনেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওরা আমার কানও বেঁধে রাখে। তাই কোন ধরণের কথা শুনতে পারিনি। দেশে ফেরা ব্যাপারে তিনি বলেন, কেন দেশে ফিরবো না। বাংলাদেশ আমার দেশ। শরীরের অবস্থা জানাতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, খুবই অসুস্থ হয়ে আছি। অনেককিছু ঠিকমতো করতে পারছি না। এদিকে আইনী লড়াই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছুক্সনের মধ্যে স্ত্রী আসছেন। তার সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এদিকে অসুস্থ সালাহউদ্দিনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্ত্রী হাসিনা আহমেদ কলকাতায় এসে পেঁৗছেছেন তা জানালে সালাহ উদ্দিন জানান, শিলং সিভিল হাসপাতালে এসে পেঁৗছালে তার সঙ্গে আলাপ করেই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।

করি নিয়ে গেছেন ২৯৮ জন হংকংয়ে চাকরির স্বপ্ন পূরণে বগুড়ায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ৫৪ নারী

করি নিয়ে গেছেন ২৯৮ জন হংকংয়ে চাকরির স্বপ্ন পূরণে বগুড়ায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ৫৪ নারী

নিজের জীবনের পুনরাবৃত্তি মেয়ের জীবনে দেখতে চান না মেরিনা। তাই চোখে-মুখে একরাশ স্বপ্ন আর বুক ভরা আশা নিয়ে পাড়ি জমাতে চান মুক্তবন্দর ও বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাণিজ্যের শহর হংকং এ। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে মেরিনার বিয়ে হয়েছিল খুব অল্প বয়সেই। তখনও স্কুলের গন্ডি শেষ হয়নি। কিশোরী শরীরেই লাল বেনারসী জড়িয়ে বাবা-মা পাঠিয়েছিলেন শ্বশুর বাড়িতে। ওই কিশোরী বয়সেই পর-পর দুটি সন্তানের মা হন মেরিনা। সন্তান দুটো একটু বড় না হতেই তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। হঠাৎই স্বামী তার অনুমতি না নিয়ে আর একটি বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসেন। দ্বিতীয় স্ত্রী ঘরে আসার পর শুরু হয় মেরিনার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। বাধ্য হয়ে সে স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন। শুরু হয় জীবনের আরেক অধ্যায়। আর্থিক কষ্টে ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া যখন বন্ধের উপক্রম, সেই সময় হংকং-এ চাকরিরত এক বান্ধবীর চিঠিতে জানতে পারেন, বাংলাদেশ থেকে চাকরি নিয়ে অনেক নারী শ্রমিক হংকং যাচ্ছে। এজন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণে কোথায় কীভাবে সুযোগ পাওয়া যাবে, চিঠিতে সে বিষয়টিও ছিল। এরপরই হংকং-এ চাকরি পাওয়ার আশায় ঢাকায় জব ফেয়ারে অংশগ্রহণ করেন মেরিনা। সেখানে প্রাথমিকভাবে মনোনীত হওয়ার পর মেরিনাকে বগুড়া কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) তে প্রেরণ করা হয় দুই মাস মেয়াদী 'ইন হাউস ট্রেনিং'র জন্য। আর মাত্র পনের দিন পরই শেষ হয়ে যাবে মেরিনার ট্রেনিং। এরই মধ্যে পাসপোর্ট ও ভিসা হয়ে গিয়েছে। এখন তার একটিই স্বপ্ন ছেলে-মেয়েকে উচ্চ শিক্ষিত করে মানুষের মত মানুষ করা। বিশেষত মেয়েকে। মেরিনা বলেন, আমার মেয়ের লেখাপড়ার খুব শখ। মাথাও ভাল। ৮ম শ্রেণীতে পড়ছে। ক্লাসে সে প্রথম। তাই মেয়েকে নিয়েই বেশি স্বপ্ন দেখছি। প্রায় একই রকম গল্প তানিয়া আকতার সুবর্ণার। মেরিনার থেকেও কম বয়সে বিয়ের পিড়িতে বসতে হয়েছিল মাদারীপুরের সুবর্ণার। পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ শেষ না হতেই বর্গাচাষী বাবা সুবর্ণাকে পাশের গ্রামের এক জাল বিক্রেতার সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই তার স্বামী আরেকটি বিয়ে করেন। তারপরও সবকিছু সহ্য করে স্বামীর সংসার করছিলেন সুবর্ণা। এরই মধ্যে তার কোলজুড়ে আসে দুটি পুত্র সন্তান। কিন্তু স্বামীর স্বভাবের পরিবর্তন হয়নি। একের পর এক বিয়ে করতে থাকে। এক পর্যায়ে সন্তানসহ সুবর্ণা ওই বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন। বাপের বাড়িতে খুব কষ্টে যখন দিন পার করছিলেন, তখন একদিন এক বোনের সহযোগিতায় হংকং এ চাকরি নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বগুড়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) তে 'ইন হাউস' প্রশিক্ষণের জন্য অংশগ্রহণ করেন। হংকং-এ মহিলা গৃহকর্মী প্রেরণের জন্য বগুড়া টিটিসিতে 'হাউসকিপিং এন্ড ক্যানটনস্ ল্যাংগুয়েজ' বিষয়ে 'ইন হাউস ট্রেনিং' চলছে। বগুড়া টিটিসি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং হংকংয়ের সিটি এমপ্লয়মেন্ট প্যারাডাইস হংস এবং হুয়ার ফাই (এইচকে) এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি'র সহায়তায় বগুড়াসহ দেশের ৬টি জেলার টিটিসিতে ২০১৩ সালের ১৭ আগস্ট থেকে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। দুই মাস মেয়াদী এই প্রশিক্ষণে হংকং'র ভাষা, কম্পিউটার, রান্না, আচরণ এবং শিশু ও বৃদ্ধদের পরিচর্যার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের নির্বাচন করা হয় জব ফেয়ারের মাধ্যমে। জব ফেয়ারে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে নূ্যনতম অষ্টম শ্রেণী পাশ এবং বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৩৮ বছর। প্রশিক্ষণ শেষে ওই দুটি এজেন্সি ৪০ হাজার টাকা বেতন ধার্য করে দুই বছরের চুক্তিতে হংকংয়ে নারী শ্রমিক প্রেরণ করে।
সূত্র জানায়, ফেয়ারে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের সাড়ে ৪ হাজার টাকা দিতে হয় মেডিকেল চেকআপের জন্য। মেডিকেল চেকআপের পর পাসপোর্ট নিজ খরচে করে ভিসার জন্য দুই দফায় ২০ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। প্রথম দফায় ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হয়। প্রশিক্ষণের ৫ দিন পর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্লাসের ভিডিও করে ওই দুটি রিক্রুটিং এজেন্সির অনলাইনে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে চাকরিদাতা বিভিন্ন সংস্থা পছন্দের নারী কর্মীকে চিহ্নিত করে রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে আবেদন করে। তখন থেকেই ওই কর্মীর হংকং যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বগুড়া টিটিসি'র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, টিটিসি থেকে প্রশিক্ষণের পর চাকরি নিশ্চিত করেই এই নারীদের হংকং প্রেরণ করা হচ্ছে। এই নারী কর্মী পাঠাতে ভিসা ও স্মার্ট কাটসহ খরচ পড়ছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এই টাকা প্রশিক্ষণার্থীদেরই দিতে হচ্ছে। যারা নগদ টাকা দিতে পারেন না তারা ক্যাম্পাসের ভিতর থাকা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ১লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ নিতে পারেন। সরল সুদে এই ঋণ দেওয়া হয়। হংকং যাওয়ার পর ৬ মাসে তাদের বেতন থেকে ওই ঋণ শোধ করা হয়। 
মিজানুর রহমান আরও জানান, মোট ৮ জন প্রশিক্ষক এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এরমধ্যে বাংলাদেশের চারজন এবং বিদেশী চারজন। টিম লিডার হিসেবে প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করছেন হংকং'এর হেড অফ দি রিপ্রেজেন্টেটিভ ভেনি। হেড অফ দি রিপ্রেজেন্টেটিভ ভেনি জানান, বগুড়া ছাড়াও ঢাকার কেরানীগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় এই ট্রেনিং চলছে। প্রতিমাসেই হংকং'র ওই দুটি এজেন্সির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জোজো এবং মিস ক্রিস ট্রেনিং সেন্টারগুলো পরিদর্শন করেন এবং প্রশিক্ষণার্থীদের খোঁজ খবর নেন। টিটিসি'র হোস্টেল সুপারিনটেনডেন্ট রিয়াজ আহমেদ জানান, সরকারের ৫ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের সঙ্গে হংকংয়ের সিটি এমপ্লয়মেন্ট প্যারাডাইস হংস এবং হুয়ার ফাই (এইচকে) এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি'র চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর ২০১৩ সালের ১৭ আগস্ট বগুড়ায় এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। ২শ' আসন বিশিষ্ট এই প্রশিক্ষণে এ পর্যন্ত ৫৪৭ জন ট্রেনিং নিয়েছে। এরমধ্যে চাকরি নিয়ে হংকং গিয়েছেন ২৯৮ জন। প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন আরও ২০ জন। বর্তমানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ৫৪ জন। তিনি আরও জানান বিভিন্ন জেলায় জব ফেয়ারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচন করা হলেও স্থানীয়রা সরাসরি ওই কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত হতে পারেন। আগামি ৯ জুন সাতক্ষীরায়, ১০ জুন যশোর এবং ১৪ জুন ঢাকায় জব ফেয়ারের মাধ্যমে যেসব নারী নির্বাচিত হবেন, তাদেরকে বগুড়ার এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আনা হবে বলেও তিনি বলেন।

Action Ball 2 পোর্টেবল গেমস

Action Ball 2 পোর্টেবল গেমস
আশাকরি সবাই ভালো আমিও ভালো  আজকে আমি আপনাদের অসাধারণ একটি গেম উপহার দেব Action Ball 2 একটি অসাধারণ পোর্টেবল গেমস যার মূল্য ৪ ডলার এখানে টোটালি ফ্রি পাবেন আমার কাছে এত অসাধারণ লেগেছে যে শেয়ার না করে পারলামনা জলদি ডাউনলোড করুন।


গেম ফিচারস

◇ More than 150 levels to conquer
◇ Four robots to fight
◇ Five bosses to defeat
◇ More than 30 bonus items to use
◇ Four paddles from which to choose
◇ Four ways to enhance your paddle
◇ Five gorgeous backgrounds
◇ Amazing battle effects


গেম রিভিউ




বায়োস সেটিং বা পাসওয়ার্ড ভাঙ্গার উপায়

বায়োস সেটিং বা পাসওয়ার্ড ভাঙ্গার উপায়
বায়োস পাসওয়ার্ড দেওয়া হয় সাধারনত কিছু অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য। অনেকেই এটা ইউজ করেন বায়োস সেটিং রোধে বা বুটিং রোধে। কিন্তু মাঝে মাঝে এই অতিরিক্ত নিরাপত্তাই বিরক্তির কারন হতে পারে যদি আপনি পাশওয়ার্ড ভুলে যান বা কেউ উদ্দেশ্য প্রনীতভাবে এটা পরিবর্তন করে ফেলে। কিন্তু ত্যাতে ভয় পাবার কোন কারন নেই। বায়োস পাশওয়ার্ড ভাঙ্গা
গড়া নিয়ে গত পোষ্টে আলোচনা করেছিলাম। আরো যে উপায়ে বায়সের পাশওয়ার্ড রেসেট/রিমোভ বা বাইপাশ করা যায় তা হলঃ
* CMOS খুলে
* মাদারবোর্ড এর jumper ব্যবহার করে
* MS DOS কমান্ড ব্যবহার করে
* সফটওয়ার ব্যবহার করে
* ব্যকডোর BIOS পাশওয়ার্ড ব্যবহার করে
বিঃদ্রঃ এই পোষ্টটটি অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীদের জন্য। এটা সাধারন ব্যবহারকারী/হ্যাকারদের জন্য প্রযোজ্য নহে। অনুগ্রহ করে এটা প্রয়োগ করবেননা যদি আপনি হার্ডওয়ার এর কাজের সাথে পরিচিত না হন। কোন ধরনের সমস্যা বা ক্ষয়ক্ষতির জন্য লেখক দায়ী নন। তাই এটা অনুসরন করুন নিজ দায়িত্বে।

জিতলেন তিন সাহসিকা

জিতলেন তিন সাহসিকা

ব্রিটিশ মসনদের লড়ায়ে বিরোধী লেবার পার্টির পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরুতে না পারলেও এবারের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের তিন সাহসী কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকী, রুশনারা আলী ও রূপা হক।
এদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি, শেখ রেহানার কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ জিতেছেন প্রথমবারের মতো। রুশনারা আলী পুন:নির্বাচিত হয়েছেন। লেবারদের হারানো আসন পুন:রুদ্ধার করেছেন ড. রূপা হক।
খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো থেকে পুন:নির্বাচিত হয়েছেন সিলেটের রুশনারা আলী। লেবার পার্টির হয়ে লড়াই করে তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ৩শ’৮৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের ম্যাথু স্মিথ পেয়েছেন মাত্র ৮ হাজার ৭০ ভোট। বাঙালি অধ্যুষিত ওই আসনে ভোটার ছিলেন প্রায় ৮০ হাজার। ৬৩.৯ শতাংশ লোক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এখানে রুশনারা আলীর জয়ী হওয়ার বিষয়টি আগে থেকেই অনুমিত ছিল।
এদিকে উত্তর পশ্চিম লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসন থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন ড. রূপা হক। তিনি পেয়েছেন ২২ হাজার ২ ভোট। তার প্রতিপক্ষ রক্ষণশীল দলের এনজি ব্রে পেয়েছেন ২১ হাজার ৭০১ ভোট। ২০১০ সালের নির্বাচনে এই আসনে লেবার পার্টি হেরে গিয়েছিল। ক্যামব্রিজ পড়ুয়া রূপা হক এবারের নির্বাচনে ২৭৪ ভোটে জয়ী হয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করলেন। এই আসনে ভোটার ছিল প্রায় ৭০ হাজার।
লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু নাতির টিউলিপ  সিদ্দিকী। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৭৭ ভোট। তার প্রতিপক্ষ কনজারভেটিভ দলের সাইমন মার্কাস পেয়েছেন ২২ হাজার ৮৩৯ ভোট। প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ১১৩৮ ভোটে জিতলেন তিনি। শুরু থেকেই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়ায় ব্রিটিশ গণমাধ্যমের দৃষ্টি ছিল আসনটির প্রতি।

বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে ৪৮৭ রানে

বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে ৪৮৭ রানে

মিরপুর টেস্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ৫৫০ রান। টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ ইনিংসে এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই। বাংলাদেশ কি পারবে সেই অসাধ্য কাজটি করতে? নাকি হারবে বড় রানের ব্যবধানে। সবই নির্ভর করছে ব্যাটসম্যানদের উপর।
তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় চতুর্থ ইনিংসে শুরুটা ভালো করেছিলেন তামিম ও ইমরুল। উদ্ধোধনী এই জুটিতে আসে ৪৮ রান। এর পরই ছন্দপতন। ১৬ রান করে ইয়াসির শাহের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৩ রান।
তামিম ৩২ ও মুমিনুল ১৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। তবে এই দিনে সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসাবে টেস্ট ক্রিকেটে তিন হাজার রান পূর্ণ করেছেন তামিম ইকবাল। ৫০ ম্যাচে হাবিবুলের মোট রান ৩০২৬। সেখানে ৩৯ ম্যাচে তামিমের রান এখন ৩০১০। আর মাত্র ১৭ রান করলে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের মালিক হবেন তামিম।
শনিবার নয় উইকেট নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের চেয়ে ৪৮৭ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ অবস্থায় জয় অলীক কল্পনা। তবে দুইদিন টিকতে পারলে ড্র করা সম্ভব। আবার বৃষ্টি হানা দিলে তা হবে বাংলাদেশের জন্য শাপেবর।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনে ৬ উইকেটে ১৯৫ রান করার পরই ইনিংস ঘোষণা করে মিসবাহ শিবির। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান করেছিল ৮ উইকেটে ৫৫৭ রান। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান।

৫ আসামি ছিনতাই, পুলিশসহ আহত ১০

৫ আসামি ছিনতাই, পুলিশসহ আহত ১০

সরাইলে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পাঁচ আসামিকে ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে সরাইল উপজেলার শাহ্জাদাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাধু মিয়া (৩৭) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম, এসআই মশিউর রহমান, এএসআই শাহ্জাহান, পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন ও শহীদুল। তাদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সরাইল থানার এসআই শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আসামি গ্রেপ্তারের জন্য শুক্রবার ভোরে শাহ্জাদাপুর গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে পুলিশ সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গোলাপ মিয়া, আইয়ূব খান, সামার আলী, রেজন মিয়া ও জহির মিয়াকে আটক করে।
পুলিশ আটকৃতদের থানায় নিয়ে আসতে চাইলে স্থানীয় সাধু মিয়ার নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ১৮ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সাধু মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আরশাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলামেইলকে জানান, ছিনতাই হওয়া আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।

পাকিস্তানে কূটনীতিকবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬

পাকিস্তানে কূটনীতিকবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬

পাকিস্তানে বিদেশি কূটনীতিকবাহী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন রাষ্ট্রদূত রয়েছেন। শুক্রবার পার্বত্য অঞ্চল গিলগিট-বালতিস্তানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিম বাজওয়া শুক্রবার টুইটার বার্তায় বলেছেন, এম-১৭ হেলিকপ্টারটিতে ১৭ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে ১১ জনই বিদেশি কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্য। কপ্টারটি গিলগিট-বালতিস্তানের কাছে নালতার উপত্যকার একটি স্কুলের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এতে ফিলিপাইন ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্টদূতের স্ত্রী এবং দুই পাইলট নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত। আহতদের দ্রুত গিলিগিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের শুক্রবার গিলগিট-বালতিস্তানে যাওয়ার কথা। কূটনৈতিক সফরের অংশ হিসেবে তিনটি হেলিকপ্টারে ৩৭টি দেশের কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা গিলগিট-বালতিস্তানে যাচ্ছিলেন।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ তার নালতার উপত্যকা সফর বাতিল করেছেন। তিনি দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

চুরির অভিযোগে গণপিটুনি

চুরির অভিযোগে গণপিটুনি

রাজধানীর চকবাজারে চুরির অভিযোগে একজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তার নাম আনোয়ার হোসেন (২২)।
বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় ইসলামবাগ শাহী মসজিদের সামনে একটি দোকান থেকে প্লাস্টিকের কিছু কৌটা চুরি করে নিয়ে পালানোর সময় লোকজন তাকে পাকড়াও করে গণপিটুনি দেয়। এসময় চকবাজার থানার এসআই নসিবুল তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে আসে।
গুরুতর আহত অবস্থায় সে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

আমি যাচ্ছি আদালতে

আমি যাচ্ছি আদালতে

গব্বর সিং ঠাকুরের দুটো হাত চাইলো, বাজে অনুরোধ। ঠাকুর দিলেন না, গব্বর ঠাকুরের দুহাত কেটে নিলো। পুরো পরিবারের উপর নৃশংস হত্যাকান্ড চালিয়ে ঠাকুরকে বাঁচিয়ে রাখলো, শুধু হাত দুখানা নেই। ছবির নাম শোলে। প্রচলিত আছে এই ছবিটি জ্বীন ভুতেও নাকি দেখেছে।
গতকয়েক সপ্তাহ ধরে মেলোডি পোষ্ট দিচ্ছি। অনেকে সন্দিহান আমার অবস্থান নিয়ে। নিজেরা কিছু করবেন না অথচ আরেক জনকে সঙ্গে আছি বলে উৎসাহ দিয়ে বিপদ দেখলে নিজে ভেগে যাবেন সবার আগে। বাংলাদেশে এই ধরনের লোকের অভাব নেই। আসিফ ভাই এগিয়ে চল,আমরা আছি তোমার পিছে,আসিফ মিয়া তাকিয়ে দেখে সব শ্লোগান ছিলো মিছে। ঐ লোকদের ধারনা, আমি বোধ হয় মোবাইল কোম্পানীর টাকা খেয়ে চুপসে আছি।
গব্বর সিং দের সাথে জয়ী হতে হলে কৌশল লাগে । আমি যাচ্ছি আদালতে, শুধু আমার জন্য নয়, ইন্ডাষ্ট্রীর জন্য। গ্রামীনফোনের সাথে দুই বছর আগে পাঁচবছর মেয়াদী সৎ চুক্তি বলবৎ আমার কোম্পানী আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের সাথে।প্রয়োজনে চুক্তি বাতিল করা হবে। বাকী সব খুচরা চুক্তি বাতিল করে দিয়েছি । অন্যান্য মোবাইল কোম্পানীর সাথে আইনী প্রক্রিয়ায় যাচ্ছি।
ক্ষতিকর মোবাইল টাওয়ার কি কি ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে , সেগুলো নিয়ে কাজ করছেন আমার জিনিয়াস দুজন প্রকৌশলী বন্ধু এবং দুজন ডাক্তার বন্ধু। সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন সুপ্রীম কোর্টের চারজন আইনজীবী’র একটি প্যানেল। মোবাইল কোম্পানীর টাওয়ারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষিত। এখানে কোন কোম্পানী নয়,দেখা হবে জনস্বার্থ। দেখা হবে সঙ্গীতের সঙ্গে জড়িত সকল পক্ষের স্বার্থ। তথ্য উপাত্ত, প্রমান, রনকৌশল প্রস্তুত হচ্ছে। এরা বহুজাতিক কোম্পানী,সিনিয়র ঠাকুরদের হাত কেটে নিয়েছে বহু আগেই। টিভি, পত্রিকা কিংবা তথাকথিত এজেন্ডাধারী পরিবেশবাদীর রহস্যজনক ভাবে চুপ।
অভিযান কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। আমিই লড়ে যাবো দৃশ্য মান হয়েই। কারন আমার নাম আসিফ আকবর ( বিক্রয়ের জন্য নহে )। বাকি আল্লাহ ভরসা ………

ফুটপাতবাসীরা কুকুর

ফুটপাতবাসীরা কুকুর

সালমানের খানের হিট অ্যান্ড রান মামলার রায় নিয়ে বলতে গিয়ে বিতর্কিত বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন গায়ক অভিজিত্‍। রাস্তায় শুয়ে থাকা মানুষদের কুকুর বলায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে।
বাংলার এই গায়ক বললেন, ‘আত্মহত্যা যেমন অপরাধ সেইরকমই অপরাধ হল ফুটপাথে শুয়ে থাকা। কুকুরের মত রাস্তায় শুলে কুকুরের মত মরবে। রাস্তা গরীবের বাবার নয়, আমারও ঘর ছিল না কিন্তু কোনও দিন রাস্তায় শুতে যায়নি। রাস্তা হল গাড়ি আর কুকুরের, মানুষের ঘুমনোর জন্য নয়।’
এর আগে সলমনকে সমর্থন করে টুইটে অভিজিত্‍ বলেন, ‘মুম্বইয়ের রাস্তা কিংবা ফুটপাথে কি শোওয়া উচিত? কেন তোমরা তোমাদের গ্রামে শুতে যাবে না, ওখানে কোনও গাড়ি তোমায় হত্যা করবে না। ফুটপাথ শোওয়ার জন্য নয়।’
সলমনের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে সঙ্গে অভিজিত্‍ বলেন, ‘৮০ শতাংশ চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত ঘরহীন মানুষরা কষ্ট হলেও ফুটপাথে শুতে যান না।’
‘কুত্তা রোড পে শোয়েগা কুত্তে কি মত মরেগা’- টুইটারে সে মন্তব্যের সঙ্গে তিনি জড়িয়েছিলেন সোনাক্ষি সিনহাকেও।কিন্তু সোনাক্ষি ফিরতি টুইটে জানিয়ে দিলেন, ‘বন্ধুকে সমর্থন করলেও, এ ধরনের মন্তব্য তিনি সমর্থন করেন না।’
অভিজিতের এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই শিল্পী মহলে ও সাধারণ মানুষের মধ্যেও নানা প্রতিক্রিয়ার ঢেউ। টলিগঞ্জের পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিজিতের গান আর শুনবেন না। কোনও ছবিতে তার গান থাকলে তাও আর দেখবেন না। অভিজিতকে বয়কট করার ডাক দিয়েছেন তিনি।

মিসবাহর উইকেট দিয়ে দিন শুরু বাংলাদেশের

মিসবাহর উইকেট দিয়ে দিন শুরু বাংলাদেশের

ইউনিস খান ও আজহার আলীর সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিয়েছিল সফরকারী পাকিস্তান। ৩ উইকেটে ৩২৩ রান করে বড় ইনিংস গড়ার আভাস দিয়ে রেখেছিল তারা।
তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হককে সাজঘরে ফিরিয়ে শুভ সূচনা করলেন সাকিব আল হাসান। আগের দিনের ৯ রান নিয়ে খেলা শুরু করা অতিথি দলের দলপতি দ্বিতীয় দিন একটিও আর রান সংগ্রহ করতে পারেননি। দলীয় রান তখন ৩২৩।
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভারে সাকিবের বল সরাসরি মিসবাহ’র উইকেটে আঘাত হানে। এসময় আজহার আলী ১২৭ রানে ব্যাট করছিলেন। মিসবাহ আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন আসাদ সফিক।
এ রিপোর্ট লেখার সময় পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১০২ ওভারে ৩৩৮/৪। উইকেটে আজহার আলি ১৩৫ এবং আসাদ শফিক ৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

রায়ের অপেক্ষায় আরেক মামলা, হতে পারে ৬ বছর জেল

রায়ের অপেক্ষায় আরেক মামলা, হতে পারে ৬ বছর জেল

অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে মুম্বইয়ের নগর ও দায়রা জজ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন সালমান খান। সে মামলায় তাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। যদিও হাইকোর্ট তাকে দু’দিনের অন্তর্বতী জামিনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এবার সালমানের জন্য অপেক্ষা করছে তার বিরুদ্ধে করা আরেকটি মামলার রায়। সালমানের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আরেক বিতর্কিত অধ্যায় কৃষ্ণসার মামলা। কিছুদিনের মধ্যে এ মামলারও রায় হওয়া কথা রয়েছে।
১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিং করতে রাজস্থানের যোধপুরে যান সালমান খান, সইফ আলী খান, তব্বু, সোনালী, নীলমরা। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে জঙ্গল-সাফারিতে গিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন সালমান। শিকারে তাকে সঙ্গ দেয়ার অভিযোগ ওঠে বাকি চার তারকার বিরুদ্ধেও।
ওই বছরই ১৫ অক্টোবর যোধপুরের বন বিভাগ সালমান খানের বিরুদ্ধে দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করার অভিযোগে মামলা দায়ের করে।
এমনও অভিযোগ রয়েছে, যে বন্দুকটি নিয়ে সালমান শিকারে গিয়েছিলেন সেটির লাইসেন্সের মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছিল। আর সেই মামলায় সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজস্থানের নিম্ন আদালত। যদিও ওই রায়ে উপর স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানানো হলে, মামলাটিকে দ্বিতীয়বার শুনানির জন্য নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠান সর্বোচ্চ আদালত।
কিছুদিনের মধ্যেই এই মামলায় রায় ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। আর সেই অভিযোগ আবারো সত্যি প্রমাণিত হলে সালমানসহ সবারই সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

ব্রিটেনের নির্বাচন আজ, লড়ছেন দশ সিলেটীসহ ১২ বাংলাদেশি

ব্রিটেনের নির্বাচন আজ, লড়ছেন দশ সিলেটীসহ ১২ বাংলাদেশি

ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। এ নির্বাচনে ব্রিটেনের প্রধান তিনটি দল থেকে লড়ছেন ১২ বাংলাদেশি। তারমধ্যে রয়েছেন ১০ জন ‘সিলেটি’। নির্বাচনে লেবার পার্টি থেকে ৮ জন, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস (লিবডেম) থেকে ৩ জন এবং কনজারভেটিভ পার্টি থেকে একজন বাংলাদেশি লড়ছেন। ব্রিটেনের নির্বাচনে এবারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি প্রার্থী যেমন মনোনয়ন পেয়েছেন, তেমনি সর্বোচ্চ সিলেটিও এবার লড়ছেন নির্বাচনে। ফলে এবারের নির্বাচন নিয়ে গোটা বাংলাদেশতো বটেই তবে সিলেটের মানুষের আগ্রহটা একটু বেশি।
এ নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারলে ব্রিটেনে বাংলাদেশি তথা সিলেটিদের ক্ষমতায়নের একটি বিরাট সুযোগ তৈরি হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে এবারের নির্বাচনে একক কোনো দলের আধিপত্য থাকবে না বলেই মনে করছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা। তবে মূল লড়াইটা লেবার পার্টি এবং কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যেই হতে পারে।
জানা যায়, এবার ব্রিটেনের পার্লামেন্টে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সিলেটি প্রার্থী ছিলেন ১১ জন। এরা হচ্ছেন লেবার পার্টির রোশনারা আলী, ব্যারিস্টার আনোয়ার বাবুল মিয়া, আমরান হোসাইন, ড. রূপা আশা হক, আলী আখলাকুল, ফয়ছল চৌধুরী, সুমন হক, লিবারেল ডেমোক্রেটস (লিবডেম) পার্টির আশুক আহমদ, প্রিন্স সাদিক আহমদ, মোহাম্মদ সুলতান ও কনজারভেটিভ পার্টির মিনা রহমান। তবে নির্বাচনের কিছুদিন আগে সিলেটের ছাতকের সুমন হকের প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়। লেবার পার্টি মাত্রাতিরিক্ত মদ পান করে গাড়ি চালানোর অভিযোগে তার প্রার্থীতা বাতিল করে দেয়। ফলে এখন নির্বাচনে লড়ছেন ১০ জন সিলেটি।
গত রোববার ছিল নির্বাচনের আগে শেষ সাপ্তাহিক ছুটির দিন। দেশটির নির্বাচনী ভাষায় দিনটিকে বলা হয় ‘কি সিট ডে’। এদিন মার্জিনাল (তুমুল প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ) আসনগুলোতে শেষবারের মতো ব্যাপক প্রচারণা চালান প্রার্থীরা। তারমধ্যে হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনে শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক এবং ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে সিলেটের জগন্নাথপুরের ড. রূপা আশা হক প্রচারণা চালান। এছাড়া বিশ্বনাথের রোশনারা আলীও রোববার ওই দুই আসনে প্রচারণা চালিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি তার পূর্ব লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনেও ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। এই আসন থেকেই ২০১০ সালের নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ব্রিটেনে এমপি হয়েছিলেন রোশনারা।
এবারের নির্বাচনে সিলেটি ১০ জন প্রার্থীর বাইরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীরা হচ্ছেন লেবার পার্টির প্রার্থী শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক এবং লিবডেম’র প্রার্থী নারায়ণগঞ্জের মেরিনা আহমদ।
এবার বাংলাদেশি প্রার্থীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের আগ্রহ বেড়েছে অনেক। বিশেষ করে বাঙালি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনে নির্বাচনের আমেজ রয়েছে পুরোমাত্রায়। এদিকে নির্বাচনী জরিপে এবার এগিয়ে কিছুটা রয়েছে লেবার পার্টি। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে এবার কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না। দুইয়ের বেশি দলের সমন্বয়ে কোয়ালিশন সরকার গঠিত হতে পারে এবার। কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টির মধ্যেই হবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তবে নির্বাচনে প্রভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে ইউকে ইনডিপেন্ডেন্ট পার্টি (ইউকেআইপি) ও গ্রিন পার্টির মতো ছোট দলগুলো।
গত সপ্তাহে স্কাই নিউজ প্রকাশিত জরিপের ফলাফল বলছে, এবার কনজারভেটিভ পার্টির ৩৫ শতাংশ, লেবার পার্টির ৩৫ শতাংশ, লিবডেমের ৭ শতাংশ, ইউকেআইপির ১১ শতাংশ এবং অন্য দলগুলোর ১২ শতাংশ ভোটার কিংবা সমর্থন রয়েছে।
ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ডেইলি সানের পাঠক জরিপ অনুযায়ী লেবার পার্টির চাইতে কনজারভেটিভ পার্টি মাত্র এক শতাংশ ভোটে এগিয়ে রয়েছে। ব্রিটেনের আরেক শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ডেইলি মেইলের জরিপ বলছে, এখনো কোনো দলকে ভোট দেবেন, এমন সিদ্ধান্তহীন ৪০ শতাংশ ভোটারই ঠিক করে দিতে পারে চূড়ান্ত সরকার গঠনের বিষয়টি।

সত্যিই তোকে হেব্বী লাগছে

সত্যিই তোকে হেব্বী লাগছে

ঢাকা:  নির্মাতা সুস্ময় সুমন প্রথমবারেরমত ‘তোকে হেব্বী লাগছে’ নামে একটি ছবি নির্মাণ করছেন। এ ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করছেন মেহমুদ ও নায়িকা  আইরিন। ছবিটির কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ লিখেছেন পরিচালক নিজেই। ছবিটি প্রযোজনা করছেন আনকমন ফিল্ম।
পরিচালক সুস্ময় সুমন বাংলামেইলকে বলেন, ‘ছবিটি আমার পরিচালনায় প্রথম ছবি। এর আগে আমি কোন ছবি নির্মাণ করিনি। তবে বেশ কিছু জনপ্রিয় নাটক বানিয়েছি। ছবিটি সম্পর্কে শুধু এটুকু বলতে পারি, ভরপুর বিনোদন মূলক ছবি। আমরা যখন সেটে কাজ করি, বেশ মজা করেই করছি।’ এ ছবির মাধ্যমে বাণিজ্যিক ছবির বাজার আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।11215445_1589400078002563_404618077_o
আইরিন বলেন, ‘এ ছবিতে আমার চরিত্রের নাম মেঘা।ছবির চরিত্রটি আমার দারুন পছন্দ হয়েছে।পাশাপাশি খুবই ভালো লেগেছে।এখনও আমার চরিত্রের অংশের শুটিং হয়নি।শুটিং হওয়ার পরে বলতে পারব কতটুকু ভালো বা মন্দ হয়েছে।এছাড়া সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ভালোভাবে কাজটি করার।’
পরিচালক আরও বলেন, ‘এ ছবিতে কোন ধরনের নেগেটিভ চরিত্র নেই। যদি ছবিটি দেখার পর কারও কাছে মনে হয় নেগেটিভ চরিত্র আছে, সে বিষয়টা আমরা ওভাবে দেখিনি। ছবিটির তিনভাগের একভাগ দৃশ্য ধারন শেষ হয়েছে। বর্তমানে শুটিং বন্ধ রয়েছে। ১৫মের পরে আবার শুটিং শুরু হবে।’ এ বছরের শেষ দিকে ছবিটি মুক্তির আশা প্রকাশ করেন পরিচালক।
‘তোকে হেব্বী লাগছে’ ছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে মেহমুদ বলেন, ‘আমি খুবই উত্তেজিত। মন দিয়ে ছবিটিতে অভিনয় করতে চাই। শুধু আমি না, আমাদের ছবির পুরো দলটিই যেন খুব ভালো ভাবে কাজটি সুন্দরভাবে গুছিয়ে কাজটি করতে পারে, সে আশা করি। যে করেই হোক, ছবিটা সুন্দর হোক।’
ছবির গল্প সম্পর্কে পরিচালক বলেন, ‘এ ছবির গল্প রোমান্টিক কমেডি ধরনের। মেঘা নামের একটি মেয়ে থাকে গল্পের একটি সময় গিয়ে মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়। ছেলেটি থাকে দেশের বাইরে। কিন্তু ছেলেটি দেরী করে দেশে ফেরে। এরই মধ্যে মেঘাদের বাসায় রাজু নামের একটি ছেলের আগমন ঘটে। রাজু মেঘাকে মনে মনে পছন্দ করে ফেলে। কিন্তু মেঘা ছেলেটাকে পছন্দ করে না। এদিকে বাসার সবাই রাজুকে পছন্দ করে। এরপর একটি সময় গিয়ে ছেলেটির মূল পণ হয়ে দাঁড়ায় যে করেই হোক মেয়েটির মন পেতে হবে। এভাবেই চলতে থাকে ছবির গল্প। এরপরে কি ঘটে বাকীটা দেখার জন্য পাঠক আপনাদের প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চোখ রাখতে হবে।’
আইরিন ও মেহমুদ ছাড়াও কাজী উজ্জল, শিখা, মৌ, শাহিন জুয়েল, সেতুসহ আরও অনেকে অভিনয় করছেন। ছবিটির সংগীত পরিচালনা করেছেন আহমেদ হুমায়ন। এ ছবিতে গান থাকছে ৫টি। গানগুলো লিখেছেন সুদীপ কুমার দীপ। দুটি গানের রেকডিং ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান, কণা, সিঁথি সাহা, আহমেদ হুমায়ুন। 11207824_1589400061335898_2031401203_o

মহাস্থানগড়কে আর্ট কালচার সিটি ঘোষণা করা হবে

মহাস্থানগড়কে আর্ট কালচার সিটি ঘোষণা করা হবে

বগুড়া: সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘আগামী সার্ক সাংস্কৃতিক বছরে বগুড়ার একটি অঞ্চলকে আর্ট কালচার সিটি ঘোষণা করা হবে। এই সিটি হিসেবে মহাস্থানগড়ের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।’
বুধবার দুপুরে বগুড়ায় বিশ্ব ঐতিহ্যে (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ) স্থান পেতে মনোনয়নপত্র দাখিল বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি মিলনায়তনে চার দিনব্যাপী এই কর্মশালার সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘সংস্কৃতি যখন জীবনের সঙ্গে মিলবে তখন তা নদীর মতো প্রবাহিত হবে। বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ, আমরা এদেশের মানুষের সুন্দর জীবনযাপন দেখতে চাই। এ কারণে যথাসাধ্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিরিন আক্তারের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনিস্কোর (বিএনসিইউ) সচিব মনজুর হোসাইন ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক শফিকুর রেজা বিশ্বাস।
কর্মশালায় বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জন অংশগ্রহণ করেন। এতে চীন ও কোরিয়ার প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞগণ অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী কর্মশালায় অংশগ্রহকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। পরে বিকেলে তিনি বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

কারাগারে মৃত্যু হলে রাষ্ট্রকেই জবাব দিতে হবে: মিজানুর রহমান

কারাগারে মৃত্যু হলে রাষ্ট্রকেই জবাব দিতে হবে: মিজানুর রহমান

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, জেলখানায় কারাবন্দী অবস্থায় কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হলে রাষ্ট্রকে এর গ্রহণযোগ্য জবাব দিতে হবে।
বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুর ঘটনাকে মানবাধিকার কমিশন কীভাবে দেখছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আজ বুধবার বিকেলে বগুড়া জিলা স্কুলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর সেখানে সাংবাদিকেরা তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন।
মিজানুর রহমান বলেন, জেলখানায় কারও মৃত্যু হতেই পারে। তবে বন্দী অবস্থায় মৃত্যু হলে এই মৃত্যুর ব্যাপারে মানুষের মনে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এ কারণেই রাষ্ট্রকে এর জবাব দিতে হবে; যে জবাব জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য হবে।
এ সময় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হচ্ছে না কেন, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে মানবাধিকার কমিশন যে সুপারিশমালা রাষ্ট্রকে দিয়েছে তা গ্রহণ করা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।

ভেনিসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ

ভেনিসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ

ইতালির ভেনিসে বসবাস করেন অনেক বাংলাদেশি। গত দুবছর তাঁরা অনেকেই হামলার শিকার হয়েছেন। স্থানীয় তরুণ ইতালিয়ানরা সুযোগ পেলেই প্রবাসীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। তাদের লাঞ্ছনা থেকে নারী–শিশুরাও রক্ষা পায় না। অজ্ঞাত কারণে তাদের হামলা বা লাঞ্ছনার প্রধান টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন ভেনিসের উপশহর ম্যাস্ত্রে ও মারগেরায় বসবাসকারী বাংলাদেশিরা। পথে ঘাটে একা কোনো বাংলাদেশিকে পেলেই তারা হামলা চালায়। শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকান-রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
দীর্ঘদিন এ সব এক প্রকার মুখ বুজে সহ্য করেছেন বাংলাদেশিরা। এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট ও মামলা করা হলেও পুলিশ এই বখাটেদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পুলিশের ভাষায় এরা বেবি গ্যাং। এদের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
মিছিলের দৃশ্যএ অবস্থায় বাধ্য হয়ে গত ২৬ এপ্রিল রোববার ভেনিসপ্রবাসী হাজার হাজার বাংলাদেশি রাজপথে বিক্ষোভ করেছেন। তারা ম্যাস্ত্রে রেলস্টেশন সংলগ্ন স্থানে সমবেত হয়ে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় গোটা শহরে প্রায় দুই ঘণ্টার জন্য তীব্র যানজট সৃষ্টি হলেও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শত শত পর্যটক ও স্থানীয়রা হাততালি দিয়ে মিছিলকারীদের প্রতি সমর্থন জানান। মিছিলকারীরা সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি ও নিরাপত্তার স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি হাতে প্ল্যাকার্ড বহন করেন। পরে শহরের প্রাণকেন্দ্র পিয়াচ্ছা ফেরেত্তোয় তাঁরা জমায়েত হয়ে সমাবেশ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন একজনসমাবেশে কথিত ওই বেবি গ্যাংয়ের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বক্তারা বেবি গ্যাং নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা এই শহরে বাস ও কাজ করি। সরকারকে করও প্রদান করি। সুতরাং আমাদের সার্বিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে। দরকার হলে শিশু সন্ত্রাস বিরোধী আইন পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় পর্যটন নির্ভর এ শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। পর্যটকেরা আসতে ভয় পাবে। অভিবাসীদের ছেলেমেয়েরা ভয়ভীতি মুক্ত স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারবে না। তাদের মনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এটা একটা কল্যাণ সমাজের জন্য কোনো ভাবেই কাম্য নয়। তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই বর্ণবাদী একটি গ্রুপ শহরের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে।
প্রবাসীদের এ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশের নেতৃত্বে ছিল ভেনিসের বাংলাদেশি কমিউনিটি। এর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে এতে যোগ দেয় স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও প্রায় ১০ জন রাজনৈতিক নেতা।
উল্লেখ্য, আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য ভেনিসের সিটি নির্বাচনে বাংলাদেশি ইতালিয় নাগরিকদের সমর্থন আদায়ের জন্য এই সমাবেশ ও মিছিলটি স্থানীয় রাজনীতিকদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্ব পায়। মূলধারার প্রচারমাধ্যমগুলোও গুরুত্ব দিয়ে এ খবর প্রচার করে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কোন পথে

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কোন পথে

ঢাকা ও চট্টগ্রামে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর দুটি ঘটনা বিস্ময়কর মনে হয়েছে। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বিজয়ী প্রার্থীরা ঢাকঢোল বাজিয়ে কোনো বিজয় মিছিল বের করেননি। অন্যদিকে বিএনপিও দুপুর ১২টা না বাজতেই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বারোটা বাজিয়ে চুপচাপ ঘরে ফিরে গেছে, কোনো হরতাল বা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেনি। সাম্প্রতিক রাজনীতির উত্তাপের সঙ্গে এ দুটি ঘটনার কোনোটিই খাপ খায় না। এক পক্ষ যে বিজয় মিছিলের নামে হইহুল্লোড় শুরু করেনি আর অন্য পক্ষ যে লাগাতার অবরোধ-হরতাল ডেকে বসেনি, সেটা ভালোই হয়েছে। নাগরিকেরা স্বস্তি পেয়েছে, সন্দেহ নেই।
কিন্তু এ রকম তো হওয়ার কথা নয়। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল এভাবে ঢিলে মেরে দিতে পারে, তা কেউ ভাবেনি। যাক, নির্বাচন ও ফলাফল নিয়ে যে দেশে একটা মারামারি-কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়নি, সেটাই ভাগ্যের কথা। দুই দলেরই কি সুমতি হলো নাকি?
আওয়ামী লীগ কি বুঝেশুনেই চুপ মেরে গেল? তাদের জেতা যে জেতা নয়, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অভিযোগগুলো যে এক কথায় উড়িয়ে দেওয়া সহজ নয়, এসব সাত-পাঁচ ভেবেই কি তারা আর বিজয় উৎসবের দিকে যায়নি? এ রকম আত্মোপলব্ধি হয়ে থাকলে সেটা তো সহজ কথা নয়।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার প্রচার শোভাযাত্রায় হামলা, ইটপাটকেল ছোড়া ও গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিএনপি যেখানে নির্বাচনের মাত্র পাঁচ দিন আগেও ঢাকা ও চট্টগ্রাম বাদে সারা দেশে হরতাল ডাকল, তারা নির্বাচনে এত কিছুর পরও একদম চুপ থাকল কীভাবে? অভিযোগগুলো তো গুরুতর। কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট, বিএনপির পোলিং এজেন্টদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া এবং ব্যাপক পুলিশি নির্যাতন, মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ভীতি দেখানো থেকে শুরু করে কোনো কিছুই তো বাদ ছিল না। এর পরও তাৎক্ষণিক কোনো কর্মসূচি না দেওয়ার মাহাত্ম্য বোঝা কঠিন। একমাত্র কারণ হতে পারে তাদের সংগঠনের ভাঙাচোরা অবস্থা সম্পর্কে আত্মোপলব্ধি। এটাই বা কম কী!
নির্বাচনের আগে থেকেই একটা কথা শোনা যাচ্ছিল যে তিন সিটি করপোরেশনেই বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা জিতে যাবেন। এ রকম একটা আশঙ্কার কথা নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগের কানেও উঠেছে। ধারণা ঠিক না বেঠিক, সেই হিসাব-নিকাশের সময় কোথায়? তাই দেখা গেল, পুলিশ তৎপর হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি, মামলায় জড়ানো ও গ্রেপ্তারের হুমকির অভিযোগ উঠল। এমনিতেই বহু বছর ধরে বিএনপির লোকজন এলাকাছাড়া। নির্বাচনের ডামাডোলে নতুন করে হুমকি-ধমকি শুরু হলে বাদবাকি যে কয়জন ছিলেন, তাঁরাও গা ঢাকা দিলেন। এতে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার চালানো আরও বেশি দুঃসাধ্য হয়ে উঠল।
আওয়ামী লীগ এটাই চাইছিল। বিএনপি যদি মাঠে না থাকে, তাহলে মানুষ ভোট দেবে কাকে? এরপর যখন দুপুর না হতেই বিএনপি রণে ভঙ্গ দিল, তখন কে কোথায় সিল মারল, সেটা গৌণ বিষয়ে পরিণত হলো। কোনো কোনো কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কিছু মারপিট হয়েছে। এমনকি পুলিশকেও টিয়ার গ্যাস মারতে হয়েছে। কোথাও সাময়িকভাবে ভোট বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট গণনা হলো বটে, কিন্তু প্রতিপক্ষ প্রার্থীর এজেন্ট তো নেই। ভোটের হিসাব বুঝে নেবে কে? 
এসব ব্যাপার মানুষও জানে, আওয়ামী লীগও জানে। এ রকম নির্বাচনে বিজয়ের ঢাক পেটাতে যাওয়া যে হাস্যকর হবে, সেটা বুঝতে পারার মতো মেধার অভাব আওয়ামী লীগের মধ্যে নিশ্চয়ই নেই। ফলে বিজয়ী মেয়ররা বিভিন্ন চ্যানেলে সহাস্যবদনে হাত নেড়ে সবাইকে ‘শুভেচ্ছা’ জানিয়েই ক্ষান্তি দিলেন।
অবশ্য আওয়ামী লীগ বলতে পারে, তারা ২০০৮ সালে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেও বিজয় মিছিল বের করেনি। সুতরাং ঢাকঢোল পেটানোর সংস্কৃতি থেকে তারা আগেই বেরিয়ে এসেছে বলে দাবি করলে কথাটা অসত্য হবে না। কিন্তু এটা তো শুধু মেয়র নির্বাচন ছিল না। ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনও ছিল। আগে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিজয়ী কাউন্সিলরদের জাঁকজমক করে বিজয় মিছিল করতে দেখা গেছে। এবার সেটাও ফাঁকা। হয়তো তাঁরাও হাওয়া বুঝে চলতে শিখে গেছেন। এ নির্বাচনে জেতাটা যে জেতার পর্যায়ে দেখতে মানুষ রাজি ছিল না, সেটা তাঁরা ধরতে পেরেছেন। এটা কম উন্নতি নয়। 
অন্যদিকে বিএনপির অবস্থা তো আরও খারাপ। তারা নির্বাচন শুরু হতে না হতেই প্রথমে চট্টগ্রামে এবং এর কিছু পরে ঢাকায় নির্বাচন ত্যাগ করে। টিভিতে প্রার্থী প্রত্যাহারের ঘোষণা শুনে তো সবাই অবাক। কারণ দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া নির্বাচনী কেন্দ্রগুলো ছিল শান্ত। মারদাঙ্গা পরিস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি। বিএনপির নির্বাচন ত্যাগ অনেকের কাছেই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো শোনায়। 
বিএনপির একটি বড় অভিযোগ ছিল, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের মারপিট করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষ দেখছে মারপিট তো দূরের কথা, বেশির ভাগ কেন্দ্রে বিএনপির লোকই নেই, কেন্দ্রের বাইরে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে টেবিল নিয়ে কেউ বসেনি। যেখানে বিএনপির কর্মীই যাননি, সেখানে ঘাড় ধরে বের করবে কাকে? এ তো হাস্যকর কথা। অনেকে বলেছেন, এজেন্টদের খরচাপাতির জন্য বেশ টাকা দেওয়া হলেও তাঁরা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য যাননি। প্রায় ৯০ শতাংশ কেন্দ্র যে বিএনপিশূন্য ছিল, তা তো গোপন বিষয় নয়। 
বিএনপি বলতে পারে, পুলিশের ভয়ভীতির মধ্যে কর্মীরা কোন সাহসে যাবেন কেন্দ্রে? এ তো পরের কথা। যেখানে তাঁরা কেন্দ্রে যানইনি, সেখানে তাঁদের ঘাড় ধরে বের করে দেওয়ার অভিযোগের ভিত্তি কোথায়? সুতরাং বিএনপি বুঝেশুনেই চুপ মেরে গেছে। যেখানে আশা ছিল খালেদা জিয়া পথে নামলেই লাখে লাখে লোক নেমে পড়বে, সেটা না হওয়ায় বিএনপি নির্বাচনের আগে থেকেই কিছুটা হতাশ ছিল। তারই প্রতিফলন দেখা গেছে নির্বাচনের পরে। 
বিএনপি মুখে কিছু না বললেও ভেতরে ভেতরে বাস্তব অবস্থা নিয়ে আলোচনা করছে। তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়ে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন তারা বেশি সচেতন। নির্বাচনের আগের মুহূর্তে হরতালে যখন সাড়া পাওয়া যায়নি, সেখানে আবার নির্বাচনে জোর-জবরদস্তির অভিযোগে হরতাল ডেকে যে কোনো লাভ নেই, এই বাস্তবতা তারা এত দিনে বুঝতে পেরেছে। 
মনে রাখা দরকার, বিএনপি কিন্তু এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে অবরোধ প্রত্যাহার করেনি। এটা তাদের করা উচিত। সবকিছু স্বাভাবিক। কেউ অবরোধ মানে না। হরতাল মানে না। তাহলে ওই সব ডেকে লাভ কী? নির্বাচনের দিনে যখন দেখা গেল মাঠে কেউ নেই, তখন তারা টের পেল যে সংগঠন কতটা নড়বড়ে হয়ে গেছে। এ অবস্থায় যে হরতাল ডাকা চলে না, সেই বুঝ তাদের হয়েছে। এ জন্য বিএনপি ধন্যবাদ পেতে পারে।
একটা উল্লেখযোগ্য ব্যাপার কিন্তু থেকেই গেল। বিএনপি প্রার্থী প্রত্যাহারের পরও দিন শেষে দেখা গেল তাদের সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীরা প্রত্যেকেই কয়েক লাখ করে ভোট পেয়েছেন! এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলার চেষ্টা করা হয়েছে যে আওয়ামী লীগের কর্মীরা সিল মারার সময় কিছু সিল বিএনপির পক্ষেও মেরে দিয়েছে, ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য। এটা শুনতে ভালো লাগে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, এত নিখুঁত হিসাব করে যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচন জালিয়াতি করে থাকতে পারে, তাহলে দেশ পরিচালনায় তো তাদের আরও ভালো করার কথা। সবখানে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আর ভোটের সময় নিপুণভাবে ব্যালেন্স করে সিল মারার সুনাম!
যদি এটা কারসাজি না হয়, তাহলে বিএনপির প্রার্থীরা এত ভোট পেলেন কীভাবে? এ বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ মহলেও প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই মনে করেন, যেখানে অবাধে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল, সেখানে বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষে ভোট পড়েছে বেশি।
এর তাৎপর্য এখন বিএনপি ও আওয়ামী লীগ—দুই দলকেই উপলব্ধি করতে হবে। বিএনপি যদি বোঝে যে কথায় কথায় হরতাল দিলে জনবিচ্ছিন্নতা ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না এবং আওয়ামী লীগ যদি বোঝে যে ভয়ভীতি ও পুলিশি নির্যাতন দিয়ে ভোট আনা যায় না, তাহলে হয়তো আগামী দিনের রাজনীতি একটি সুস্থ ধারায় আসতে পারে। আমরা সেই সম্ভাবনার জন্যই পথ চেয়ে রইব।

তামিম–মুশফিক বল করলেই বিশ্ব রেকর্ড

তামিম–মুশফিক বল করলেই বিশ্ব রেকর্ড

টেস্টে বোলিং করার অভিজ্ঞতা তামিম ইকবালের আছে। ওয়ানডেতেও বল করেছেন। মুশফিকুর রহিমের অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করার অভিজ্ঞতা নেই। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বোলিং করেছেন। উইকেটও আছে তাঁর!
কাল দ্বিতীয় দিনে কি সহ-অধিনায়কের হাতে বল তুলে দেবেন অধিনায়ক? নিজেও গ্লাভস খুলে এক-দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে দেখবেন নাকি? কাজটা মুশফিক করতেই পারেন। আর তা করলেই একটা বিশ্ব রেকর্ড হয়ে যাবে। টেস্টে এক ইনিংসে ১১ খেলোয়াড়েরই বোলিং করার রেকর্ড! প্রথম দিনে যে নয়-নয়জন বোলারকে দিয়ে বল করিয়েছেন মুশফিক!
খুলনা টেস্টে আটজন বোলার ব্যবহার করিয়েছিল বাংলাদেশ। মুশফিক অবশ্য চোটের কারণে সেই ম্যাচে ঠিক অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। তবে মিরপুর টেস্টে ঠিকই নয় বোলারকে দিয়ে বল করালেন। এর মধ্যে মাত্র দুই বল করে চোটের কারণে মাঠ থেকে বেরিয়ে গেছেন শাহাদাত হোসেন। সর্বোচ্চ ৩০ ওভার বল করেছেন তাইজুল ইসলাম। নবম বোলার হিসেবে ৭৯তম ওভারটি করেছেন ইমরুল কায়েস। 
টেস্টে ১১ জনেরই বল করার ঘটনা কিন্তু আছে। স্বাভাবিকভাবেই খুব বেশিবার এই ঘটনা ঘটেনি। মিরপুরের টেস্টটি ২ হাজার ১৬১তম ম্যাচ। এখন পর্যন্ত টেস্টে ৭ হাজার ৮৩২ ইনিংসে বোলিং করা হয়েছে। কিন্তু ১১ জন বোলারকে দিয়ে বল করানোর ঘটনা ঘটেছে মাত্র চারবার।
প্রথমবার এই ঘটনা ঘটেছিল ১৮৮৪ সালের আগস্টে। ওভাল টেস্টের প্রথম ইনিংসেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১১ জনকে দিয়ে বল করান ইংলিশ অধিনায়ক লর্ড হ্যারিস। মজার ব্যাপার হচ্ছে হ্যারিস দশম বোলার হিসেবে আলফ্রেড লাইটেলটনকে নিয়ে এসেছিলেন। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট আর ফুটবল-দুই দলেই খেলার ইতিহাস গড়া সেই লাইটেলটনই শেষ পর্যন্ত ১২ ওভারে ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার! 
১১ জন বোলার ব্যবহারের সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে ২০০৫ সালের মে মাসে অ্যান্টিগা টেস্টে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ১১ জনই বল করেন। এর মধ্যে মার্ক বাউচারও গ্লাভস খুলে ১.২ ওভার বোলিং করেন। একটা উইকেটও পান! সেটি ছিল উইকেটকিপার হিসেবে খেলতে নেমে টেস্টে উইকেট পাওয়ার মাত্র দশম এবং এখন পর্যন্ত সর্বশেষ ঘটনা। একই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০২ সালে ১১ জন বোলার ব্যবহার করেছিল ভারত। 
১১ জন বোলার ব্যবহারের প্রথম ঘটনার কথা জানলেন, তৃতীয় আর চতুর্থ ঘটনাটিও। কিন্তু দ্বিতীয়? সেটি ঘটেছিল ১৯৮০ সালে ফয়সালাবাদ টেস্টে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১ জন বোলার ব্যবহার করেছিল অস্ট্রেলিয়া, ১১ বোলার ব্যবহারের প্রথম ঘটনার ৯৬ বছর পর!
ফলে বিরল সেই ঘটনার তালিকায় বাংলাদেশের নামটি মুশফিক ঢুকিয়ে দেবেন কি না, সেটিই এখন দেখার। তা ছাড়া মুশফিক উইকেট পেলে ইতিহাসে মাত্র দশম (আগে দশবার ঘটলেও ইংলিশ কিপার বিল স্টোরার দুই ইনিংসে উইকেট নিয়েছেন) উইকেটকিপার হিসেবে টেস্টে উইকেট পাওয়ার কীর্তি গড়বেন। প্রথম কীর্তিটা কার? লাইটেলটনের! হ্যাঁ, ১৮৮৪ সালের সেই ওভাল টেস্টের উইকেটকিপার ছিলেন তিনি। উইকেটকিপারই হয়ে গিয়েছিল দলের সেরা বোলার!

খালেদার বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় চার্জশিট দাখিল

খালেদার বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় চার্জশিট দাখিল

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে যাত্রী হত্যার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি চার্জশিট দাখিল করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 

খালেদা জিয়াকে চার্জশিটে প্রধান আসামি করা হয়েছে। ৮১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। 

বুধবার (৬ মে) ঢাকার সিএমএম আদালতে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা মামলায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে চার্জশিট দু’টি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই বশির আহমেদ। 

চার্জশিটে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শামসুল ইসলাম শিমুল বিশ্বাস, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানভীর ওরফে রবিন, নবীউল্লাহ নবী, কাইয়ূম কমিশনার, লতিফ কমিশনার এবং পেশাজীবী দলের নেতা সেলিম ভূঁইয়া। 

অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় এজাহারভুক্ত অপর ৪২ আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়েছে। 

আসামিদের মধ্যে বর্তমানে ৭ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। খালেদা জিয়াসহ বাকি ৩১ জনকে পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে।

গত ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়া হলে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামক এক বৃদ্ধ যাত্রী। 

এ ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন থানার উপ পরিদর্শক কে এম নুরুজ্জামান। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/২৫(ঘ) ধারায় দায়ের করা মামলায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির ১৮ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে যাত্রাবাড়ী বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীসহ মোট ৮০ জনকে মামলার আসামি করা হয়।
 
মধ্যে সোহাগ ও লিটন নামে দু’জন গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে কারা কারা জড়িত, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা তার বিস্তারিত বর্ণনা দেন বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।


দুই দিনের জামিন পেলেন সালমান

দুই দিনের জামিন পেলেন সালমান

হিট অ্যান্ড রান কেসে পাঁচ বছরের জেল হলো সালমান খানের। সঙ্গে ২৫ হাজার টাকার জরিমানা। তবে আগামী ৮ মে পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন তিনি। রায় ঘোষণার পর জামিনের জন্য বোম্বে উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন তিনি। আদালত দু’দিনের জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, মামলার ১৩ বছর পর দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা পান সালমান খান। ২০০২ সালে গাড়িচাপা দিয়ে পালানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করলেন আদালত। বুধবার বেলা ১১টা ৭ মিনিটে সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন মুম্বাইয়ের দায়রা আদালত।

তাইজুলের শিকারে সাজঘরে সামি আসলাম

তাইজুলের শিকারে সাজঘরে সামি আসলাম

ত টেস্টের ৬ উইকেট পাওয়া বাংলাদেশের সফল বোলার তাইজুলের শিকারে এবারে সাজঘরে ফিরলেন সামি আসলাম। চোটের কারণে বাইরে থাকা শাহদাত মাঠে ফিরলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নিলেন ১৯ রান করা সামি আসলাম।

আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে স্বাগতিক অধিনায়ক মুশফিক বলেছিলেন, মিরপুরের উইকেটে সাকিবের বেশ ভালো রেকর্ড রয়েছে। এ মাঠে ৪৩  উইকেট নেওয়া সাকিবকে এখনও আক্রমণে আনেন নি মুশফিক। ইতোমধ্যেই পাঁচ বোলারকে ব্যবহার করেছেন মুশফিক।

পাকিস্তানের হয়ে ব্যাটিং ক্রিজে রয়েছেন আজহার আলি এবং ইউনিস খান।

২৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দুই উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান।

শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ফিল্ডিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। টস জিতে এ ম্যাচে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহিম।

মোহাম্মদ শহীদ নিজের দ্বিতীয় ওভারেই পাকিস্তান শিবিরের আঘাত হানেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে মুশফিকের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ হাফিজ (৮ রান)। এর আগে আরেক পেস বোলার শাহাদাত চোটের কারণে মাঠের বাইরে চলে যান। তবে, প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর আবারো মাঠে ফেরেন শাহাদাত।

দিনের শুরুতে হাফিজকে হারিয়ে বেশ বড় ধাক্কা খায় সফরকারী পাকিস্তান। দলীয় ৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানো পাকিস্তানকে আরেকবার কাঁপিয়ে দেন মোহাম্মদ শহীদ। নিজের ষষ্ঠ ওভারে থার্ড স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন আজহারকে। তবে, ‘নো বল’ হওয়ায় এ যাত্রায় বেঁচে যান আজহার।

এর আগে বাংলাদেশের হয়ে বোলিং সূচনা করতে আসেন শাহাদাত হোসেন। আর পাকিস্তানের ব্যাটিং উদ্বোধন করতে ক্রিজে আসেন গত টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ হাফিজ এবং সামি আসলাম।

বাংলাদেশের হয়ে ইনজুরির কারণে মাঠে নামতে পারেন নি রুবেল হোসেন। তার জায়গায় দলে এসেছেন শাহাদাত হোসেন। শাহাদাতের সঙ্গে পেস বোলিংয়ে জুটি বাঁধবেন খুলনা টেস্টে অভিষিক্ত মোহাম্মদ শহীদ। অন্যদিকে পাকিস্তান জুলফিকার বাবরের পরিবর্তে ইমরান খানকে দলে নিয়েছে।

আগেই ওয়ানডে সিরিজ ও টি-টোয়েন্টির একমাত্র ম্যাচটি জেতা হয়েছে বাংলাদেশ দলের। খুলনা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানে পিছিয়ে থেকেও প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ ড্র করে টাইগাররা। তাই, এ টেস্ট ম্যাচটিকে ‘ফাইনাল’ মানছেন বাংলাদেশ দলপতি মুশফিকুর রহিম।

প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে টেস্ট ক্রিকেটে হারানো ও সিরিজ জয়ের দারুণ এক সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। ক্রিকেটাররাও মুখিয়ে আছেন শেষ টেস্টে দেশ ও দলকে ভালো কিছু উপহার দিতে।

অন্যদিকে পাকিস্তান দলের আত্মবিশ্বাস তলানীতে। খুলনা টেস্টের প্রথম ইনিংসে প্রায় তিন’শ রানের লিড নিয়েও বাংলাদেশকে হারাতে পারেনি সফরকারীরা।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম, সৌম্য সরকার, শুভাগত হোম, শাহাদাত হোসেন, ও মোহাম্মদ শহীদ।

পাকিস্তান একাদশ: সামি আসলাম, মোহাম্মদ হাফিজ, আজহার আলি, ইউনিস খান, মিসবাহ-উল-হক (অধিনায়ক), আসাদ শফিক, সরফরাজ আহমেদ, ওয়াহাব রিয়াজ, জুনায়েদ খান, ইয়াসির শাহ ও ইমরান খান।