গোপনে শুটিং সারলেন রণবীর-আলিয়া

গোপনে শুটিং সারলেন রণবীর-আলিয়া
uncute

এ বার ট্যাক্সি ড্রাইভারের ভূমিকায় দেখা যাবে আলিয়া ভট্টকে। আর তাঁর যাত্রীর ভূমিকায় থাকছেন রণবীর সিংহ। এই প্রথম এই দু’জন এক সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করছেন। গল্প অনুযায়ী, মুম্বইয়ের কিছুই চেনেন না রণবীর। আর তাই তাঁকে শহর ঘুরিয়ে দেখানোর দায়িত্ব নেন মুম্বইয়ের ট্যাক্সি ড্রাইভার আলিয়া। এখানে ‘বাঙালি বাবু’র সাজে দেখা যাবে রণবীর সিংহকে। তবে রণবীর-আলিয়া জুটি বেঁধেছেন কোনও ফিল্মের জন্য নয়। একটি ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম সংস্থার বিজ্ঞাপনে খুব শিগগিরই দেখা যাবে এই দু’জনকে। তবে ইতিমধ্যেই এই বিজ্ঞাপনের কয়েকটি ছবি মিডিয়ার সামনে এসেছে। ছবি দেখে অনেকেরই ধারণা, নতুন ভূমিকায়, নতুন জুটিকে অবশ্যই বেশ মনে ধরবে দর্শকদের।

বগুড়ায় নকল স্বর্ণের ১২টি মূর্তিসহ গ্রেফতার-২

বগুড়ায় নকল স্বর্ণের ১২টি মূর্তিসহ গ্রেফতার-২
bangladersh

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়া ডিবি’র ওসি’র দিক নির্দেশনায় ইন্সেপেক্টর খোকনের নেতৃত্বে গত ১৮ মার্চ ভোর রাতে বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার পানাই হতে এক কেজি ওজনের ১২টি নকল গণেশ মূর্তি সহ পানাই এলাকা হতে ছালেহা খাতুন (৪০) আব্দুর রহিম (৩০) নামক ২ প্রতারককে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার কৃত ছালেহা খাতুন কাহালু উপজেলার পানাই গ্রামের মনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ও আব্দুর রহিম জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ঝাঝিড়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে বলে জানাগেছে। ফেণী জেলার ফুলগাজী উপজেলার হাসানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে আমির হোসেনকে স্বর্ণের মূর্তি দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে তার নিকট হতে ৫০ হাজার টাকা বায়না নিয়ে ১ কেজি ওজনের ১২ টি স্বর্ণের গণেশ মূর্তি দেয়। মূর্তি গুলো নিয়ে সে বগুড়া স্বর্ণকারের দোকানে দেখালে তারা মূর্তিগুলো পিতলের বলে জানান। 

এসময় আমির হোসেন পিতলের মূর্তি সহ বগুড়া ডিবি পুলিশের নিকট হাজির হয়ে বিষয়টি অবগত করালে ডিপি’র ওসি আমিনুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় ডিবি পুলিশ অভিয়ান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ১ মহিলা সহ ২ সদস্যকে গ্রেফতার করে। 

এব্যপারে আমির হোসেন বাদী হয়ে প্রতারক চক্রের ৮ সদস্যের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো কয়েক জনকে আসামী করে কাহালু থানায় একটি প্রতারণা মামলা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানাগেছে।

লড়াই করেই জবাব দিতে চায় বাংলাদেশ

লড়াই করেই জবাব দিতে চায় বাংলাদেশ
bangladesh

তাসকিনের অ্যাকশনে সমস্যা নেই।’ ‘তাসকিনের অ্যাকশনে সমস্যা নেই।’ ‘তাসকিনের অ্যাকশনে সমস্যা নেই।’ পুরো সংবাদ সম্মেলনে কথাটা মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন বারবার। মাশরাফি আবেগী মানুষ। কিন্তু তাসকিনের ব্যাপারে জোর দিয়ে যে বলছেন, সেটা শুধু আবেগ থেকে নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন ১৫ বছর ধরে। সেই দেড় দশকের অভিজ্ঞতা থেকেই কথাটা বলেছেন মাশরাফি। শুধু আবেগী হলে আরাফাত সানির ব্যাপারেও একইভাবে জোর দিয়ে বলতেন।

দলের মানসিক অবস্থা এই মুহূর্তে ভালো নয়। সবকিছু এলোমেলো হয়ে আছে। একদম শেষ মুহূর্তে দলে যোগ দিয়েছেন দুজন নতুন খেলোয়াড়। সব মিলিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে মাশরাফি। দলকে মানসিকভাবে চাঙা রাখাই এখন কঠিন।
তবু এই কঠিন পরিস্থিতিটাকেই প্রেরণার মন্ত্র বানাচ্ছেন মাশরাফি। বলছেন, আগামীকাল জয়ের জন্যই লড়াই করবে দল, ‘আমরা অবশ্যই মাঠে নামব জয়ের জন্য। সেটা যে-ই খেলুক না কেন। আমাদের প্রথম কাজই হবে জয়ের জন্য মাঠে নামা।’ সতীর্থদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েও লড়াই করতে বললেন তিনি, ‘আমি সবার দিকেই তাকিয়ে আছি। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে দলের সবার ছোট ছোট অবদানেই ম্যাচে জেতা যায়। আমি প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের দিকে তাকিয়ে আছি।’
এখন পর্যন্ত এই গ্রুপে বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়াই জয় পায়নি। কালকের ম্যাচটি দুই দলের জন্যই বাঁচা মরার। অস্ট্রেলিয়াও প্রাণপণ লড়াই করবে। এটা মাশরাফির চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন করে তুলছে। কিন্তু মাশরাফি জানালেন, তাঁরা প্রস্তুত, ‘আমাদের গ্রুপটা অনেক বেশি কঠিন। অস্ট্রেলিয়া আছে। কাজটা এমনিতেই কঠিন ছিল, আরও কঠিন হয়ে গেছে। আমাদের অবশ্যই প্রথম চাওয়া থাকবে ম্যাচটা যেন আমরা জিততে পারি। ওভাবেই আমরা পরিকল্পনা করব।’
তাসকিন-সানিরা না থাকলেও দলের সঙ্গে থাকবেন। তাঁদের স্কোয়াডে আছে ধরে নিয়েই খেলবে বাংলাদেশ। মাশরাফি সেটাই জানিয়ে দিলেন, ‘এখানে হয়তো কেউই ওইভাবে অনুভব করতে পারবে না, আমরা কীভাবে আছি। তাসকিন বা সানির সঙ্গে আমরা শেষ সময়গুলো কীভাবে কাটিয়েছি। ওই ছেলেদের কষ্টটা আমরা অনুভব আমরা করতে পারছি।’
এই দুজনের জন্যই সতীর্থদের উজাড় করে দিতে বললেন মাশরাফি, ‘আমরা শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করব। দুইটা ছেলে আমাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছে। এই দুটি ছেলেকে দেশে ফিরে যেতে হবে। হয়তোবা সানিরটা মেনে নেওয়া গেছে। আমরা মেনেও নিয়েছি। কিন্তু তাসকিনেরটা বৈধ এই বিশ্বাস আমাদের মধ্যে আছে। কিন্তু আমরা যেটা বিশ্বাস করি সেটা তো বাস্ত​ব হচ্ছে না। এখন তাকে চলে যেতে হচ্ছে। জিনিসটা এখন চাইলেও ভুলে থাকা কঠিন। এখন এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে মাঠে নামতে হবে। এই মুহূর্তে এতটুকু বলতে পারি আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা আমরা করব।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেই তাসকিনকে চায় বিসিবি

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেই তাসকিনকে চায় বিসিবি
Taskin and Sunny suspended from bowling due to actions

বেঙ্গালুরুতে আগামীকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেই তাসকিন আহমেদকে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ নিয়ে জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।

গত দুই দিন ধরেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন আইসিসির শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে। বোর্ড সভাপতি তাসকিনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে কথা বলেছেন আইসিসির সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর, প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন ও সংস্থার প্রধান আইন কর্মকর্তার সঙ্গে।

এদিকে তাসকিনের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে করণীয় ঠিক করতে আজ রোববার সকালে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের গুলশানের বাসায় এক বৈঠকে বসেছিলেন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা। আইনজীবীদের পরামর্শে এই বৈঠকেই তাসকিনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার আবেদন তো করা হবেই, বিসিবির চাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগেই তাসকিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। 

টাইগারদের মুখোমুখি হতে ভয় পায় ভারতীয় রা

টাইগারদের মুখোমুখি হতে ভয়  পায় ভারতীয় রা


এর আগেও বলেছি এখন আবার বলছি- হিংস্র ইন্ডিয়াকে যারা বন্ধু মনে করে তাদের উচিত পাবনায় বুকিং দেওয়া, দুনিয়া উল্টে যাবে কিন্তু ভারত বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারেনা, পারেনা এবং পারেনা...

‘বাংলাদেশকে হারিয়ে ওমানের জয় হবে ক্রিকেট বিশ্বের আনন্দ’ - ভারতীয় অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন

ধর্মশালায় বাংলাদেশ-ওমান ম্যাচ নিয়ে মুখিয়ে আছে গোটা বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জিতলেই যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেন নিশ্চিত বাংলাদেশের। কিন্তু এই ম্যাচটি নিয়ে দারুণ আগ্রহী মনে হচ্ছে ভারতীয় অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। তিনি অবশ্য বাংলাদেশের হারই প্রত্যাশা করেছেন, জয় চাইছেন ওমানের।

অশ্বিন টুইট করেছেন, ‘বাংলাদেশ-ওমান ম্যাচটি দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। যদি এই ম্যাচটা জেতে তাহলে একটি গোটা দেশ আনন্দে ভাসবে। কিন্তু ওমান যদি ম্যাচটা জেতে, তাহলে আনন্দে ভাসবে গোটা ক্রিকেট দুনিয়াই।’
টুইটে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দিতে হচ্ছে অশ্বিনকে। বাংলাদেশ সমর্থকেরা পাল্টা টুইট করে অশ্বিনকে ঝাঁজাল মন্তব্য করছেন। ওমানের জয় কি অশ্বিন চাইছেন শুধুমাত্র নিরপেক্ষ দর্শক হিসেবে? সহযোগী এক দেশের উঠে আসার রোমাঞ্চকর গল্পের জন্য? নাকি অন্য কিছু?
পাল্টা টুইটে আজাদ লিখেছেন, ‘তোমার টুইট দেখে মনে হচ্ছে যে তোমরা টাইগারদের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছ।’ অশ্বিনও অবশ্য বেশ পাল্টা জবাব দিচ্ছেন। বলেছেন, ‘একবার ভাবলাম তোমার মন্তব্যটা মুছে ফেলি। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হলো, আমার অত সময় নেই।’
বিবেক রাউনিয়ার নামের আরও একজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ জিতলেও তো ভাই আপনার গ্রুপ কঠিন হয়ে যাবে।’ সাফ্ফাত বকুল লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ জিতলে প্রতিযোগিতাটা কিন্তু দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। ওমান তো অন্তত ক্রিকেট দুনিয়ার মানচিত্রে একটা জায়গা করে নিয়েছে।’
অশ্বিন অবশ্য সাফ্ফাতের এই টুইটের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই বাংলাদেশ ভালো দল। তাদের হারানো খুব কঠিন। কিন্তু ওমানের জয়টা কিন্তু ক্রিকেট খেলাটার জন্য ভালো।’

পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বাংলাদেশ, মুলপর্বের হাতছানি

পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বাংলাদেশ, মুলপর্বের হাতছানি


তামিম ইকবালের ব্যাটের তাণ্ডব গোগ্রাসে গিলছিল যেন বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা। কিন্তু এই গোগ্রাস থেকে একটু দাতস্ত হতে না হতেই দুঃস্বপ্নের মত আবার নেমে এলো বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত আর মাঠে গড়াতে পারলো না ম্যাচটা। পরিত্যক্তই করতে হলো। আক্ষেপ বাড়িয়ে দিল সমর্থকদের।
কারণ, ৮ ওভারে যেখানে ৯৪ রান হয়ে যায়, সেখানে তো নিশ্চিত জয়ই মিস হয়ে গেলো! কারণ, আইরিশদের এই ৮ ওভারে করতে হতো ১০৮ রান। যা ছিল রীতিমত অসম্ভব।
বৃষ্টিকে তো আর মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সুতরাং, মেনেই নিতে হচ্ছে পরিস্থিতি। সুতরাং, পয়েন্ট ভাগাভাগি এবং ওমানের সঙ্গে যৌথভাবে ৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানের লড়াই করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে ওমান যেহেতু অনেক সহজ প্রতিপক্ষ, তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে মাশরাফিদের।
বাংলাদেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় বাধা ওমান। বিশ্বকাপে নবাগত দলটির মুখোমুখি হওয়ার দিনও হানা দিতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, দুদিন পর ওমানের সঙ্গে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতেও বৃষ্টির হানা দেওয়ার সম্ভাবনা ৮৩ শতাংশ। তাই আরও একটি পরিত্যক্ত ম্যাচ দেখারই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে সমর্থকদের। দু’দলের পয়েন্ট সমান ৩ হয়ে যাওয়ায় ম্যাচটি এখন মহা গুরুত্বপূর্ণ।
এই গ্রুপ থেকে সুযোগ রয়েছে এখন শুধু বাংলাদেশ-ওমানের। রোববার মুখোমুখি হবে এ দু’দল। যে জিতবে সেই পরের রাউন্ডে। যে হারবে তার বিদায়। আর যদি ওই ম্যাচটাও বৃষ্টিতে ভেসে যায়? তাহলে বাংলাদেশই চলে যাবে মূলপর্বে। পরশু ম্যাচটি বাতিল হয়ে গেলে দুদলের পয়েন্ট হয়ে যাবে ৪। কিন্তু রানরেটে ওমানের (ওমানের +.২৮৩) চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ (+.৪০০)। সুতরাং, বাংলাদেশই এগিয়ে।

বিশ্বকাপ T20 ম্যাচ দেখুন লাইভ!!! তাও আবার কম নেট স্পিডে

বিশ্বকাপ T20 ম্যাচ দেখুন লাইভ!!! তাও আবার কম নেট স্পিডে
t20-world-cup-2016-live-streaming

সারা পৃথিবী এখন বিশ্বকাপ জরে আক্রান্ত। আজ থেকে T20 বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরু হয়েছে। তাই আমার আজকের টিউন বিশ্বকাপ নিয়ে। আমাদের অনেকেই আছে যারা কম্পিউটার ছেড়ে উঠতে চায় না আবার খেলাও দেখতে চায়। এখন আপনিও ইচ্ছা করলে নেটে লাইভ T20 বিশ্বকাপ দেখতে পারেন। অনেকে হয়ত বলবেন নেট স্পিড ভাল না। হ্যা তা আমিও জানি। তাই বলে কি T20 বিশ্বকাপ দেখবো না? অবশ্যই দেখবো আর তা কম স্পিডেই। আজকে আমি আপনাদের একটা সাইটের লিঙ্ক দিচ্ছি যেখানে কম স্পিডেও খেলা দেখতে পারবেন। ভাবছেন কোয়ালিটি ভাল না? না কোয়ালিটি ভাল। তাহলে আর দেরি কেন? এখনি খেলা দেখা শুরু করে দিন। আরেকটা কথা আজকে কিন্তু বাংলাদেশের খেলা আছে। দেখতে ভুলবেনন না।




নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে মুখ খুললেন তাসকিন

নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে মুখ খুললেন তাসকিন

তাসকিন আহমদকে নিয়ে চিন্তায় বিভোর দলের সবাই। ভক্তদের অনেকেরই মাথায় হাত তাকে নিয়ে। তবে নিয়ে চিন্তা নেই তাসকিন আহমদের।
অনেকটাই খোশ মেজাজে রয়েছেন তিনি। ভারতের এক আম্পায়ার ও অস্ট্রেলিয়ার আরেকজন আম্পায়ার


তাকে নিয়ে আইসিসির কাছে অভিযোগ করেছে। ভারতের এস রবি এবং অস্ট্রেলিয়ার রড টাকার করেছেন এই অভিযোগ।
কয়েকদিন আগে ভারতের বিপক্ষে এশিয়াকাপের ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। তাসকিন খুবই ভালো করেন সেদিন। অন্যদিকে বাংলাদেশ সফর বর্জন করে অস্ট্রেলিয়া।
এই দুই দেশের দুই আম্পায়ারের বার্তায় মোটেই চিন্তিত তাসকিন। গণমাধ্যমকে তাসকিন জানান, কোনো কিছুতে ভয় না করে চাপমুক্ত থেকে ক্রিকেট খেলতে চান তিনি।

ধর্মশালায় বৃষ্টি, অনিশ্চয়তায় ম্যাচ

ধর্মশালায় বৃষ্টি, অনিশ্চয়তায় ম্যাচ


বৃষ্টি দিয়েই মাশরাফিদের স্বাগত জানিয়েছিল ধর্মশালা। হল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে অবশ্য বাগড়া দেয়নি বৃষ্টি। তবে আজ বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ম্যাচের ভাগ্যের ওপর সেই বৃষ্টিই এঁকে দিচ্ছে প্রশ্নচিহ্ন। ধর্মশালা থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গত রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে হিমালয়ের কোলের এই শহরে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও নেমে এসেছে অনেক নিচে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ সকালে বৃষ্টি থামলেও যে কোনো মুহূর্তেই আবার শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 
আবহাওয়া পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে রাত গড়ালে সেটি আরও নিচে নেমে যেতে পারে। তার ওপর আজ রাতে ধর্মশালায় বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু ম্যাচের ভাগ্য নিয়েই এখন অনিশ্চয়তা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে কোনো রিজার্ভ ডেও নেই। মাঠে বল না গড়ালে তাই দুই দলকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হবে। 
বৃষ্টি প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দিচ্ছে পরশু বাংলাদেশ-ওমান ম্যাচেও । আবহাওয়া পূর্বাভাসে ওই দিনও থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা আছে। মাশরাফিদের এখন বৃষ্টি নিয়েই তাই দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে।

পরীক্ষায় সহজেই পার হবেন তাসকিন!

পরীক্ষায় সহজেই পার হবেন তাসকিন!

দুজনের বোলিং অ্যাকশনই কাঠগড়ায়। তবে হঠাৎ আসা ঝড়ের সামনে দাঁড়িয়ে তাসকিন আহমেদ যতটা সহানুভূতি পাচ্ছেন, ততটা পাচ্ছেন না আরাফাত সানি। বাঁহাতি এই স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটেও প্রশ্ন উঠেছিল। অনেকেরই তাই শঙ্কা, সানির অ্যাকশনে সমস্যা থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু তাসকিনের অ্যাকশনের বৈধতা নিয়ে ওঠা প্রশ্ন মানতে পারছে না বেশির ভাগ মানুষ। তাঁরা এতে খুঁজে পাচ্ছেন ষড়যন্ত্রের গন্ধ। উত্থানের রোমাঞ্চকর সময়ে এসব করে কেউ হয়তো পেছন থেকে টেনে ধরতে চাইছে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে।
কাল দিনভর ক্রিকেটার, ক্রিকেট কোচ থেকে শুরু করে দেশের সাধারণ দর্শক-সমর্থকদের মধ্যেও এই নিয়েই আলোচনা চলেছে। ভারতীয় আম্পায়ার সুন্দরম রবি ও অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার রড টাকারের সন্দেহকেই উল্টো সন্দেহের চোখে দেখছে মানুষ। দুই বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন তাসকিন ও সানি। এত দিন কেউ কিছু বলল না, এখন ভারতে গিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কিনা তাঁদের অ্যাকশনে সমস্যা আবিষ্কার হলো!
এসব আলোচনার মধ্যেই সন্ধ্যায় এল আইসিসির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা—তাসকিন ও সানির বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক। এই সন্দেহ দূর করতে সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা দিয়ে বৈধ বোলিং অ্যাকশনের ছাড়পত্র নিতে হবে তাঁদের। আইসিসি অনুমোদিত চেন্নাইয়ের পরীক্ষাগারে হবে পরীক্ষা। পরীক্ষার আগ পর্যন্ত দুজনই বোলিং করতে পারবেন।
সাধারণ্যে ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব’ জনপ্রিয়তা পেলেও তাসকিনের বোলিংকে শুরু থেকেই দেখে আসা বিসিবির কোচরা কিন্তু সংশয়মুক্ত নন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কোচ জানালেন, ‘এবারের এশিয়া কাপের সময়ও আমাদের মনে হচ্ছিল, হাত ঘোরানোর সময় ওর কনুই অনেকটা বেঁকে যাচ্ছে। ডেলিভারির আগে হাত সোজা হয়ে পেছনে না গিয়ে কোমরের কাছ থেকে পেছনে যাচ্ছে। তখনই এক সিনিয়র কোচ আশঙ্কা করে বলেছিলেন, তাসকিনের অ্যাকশন নিয়ে যেকোনো সময় প্রশ্ন উঠবে।’ সানির অ্যাকশন নিয়ে আরেক কোচ কোনো রাখঢাক না রেখেই বললেন, ‘ওর ফেয়ার ডেলিভারি যেমন আছে, নিজস্ব কিছু আনফেয়ার ডেলিভারিও কিন্তু আছে...।’
বিসিবির ‘রাডারে’ তাসকিন প্রথম আসেন অনূর্ধ্ব-১৭ ক্রিকেট দিয়ে। বোলার হিসেবে তখনো অপরিপক্ব। জাতীয় দলের সাবেক কোচ সরওয়ার ইমরান ওই সময় থেকেই দেখছেন এই পেসারকে। নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কাল মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে জানালেন, ‘একেবারে শুরুর সময় ওর অ্যাকশনে সমস্যা ছিল। ডেলিভারির সময় হাত বেঁকে যেত। পরে বিসিবির পেস একাডেমিতে আমরা সেটা সংশোধন করি।’ অবশ্য সরওয়ার ইমরানের বিশ্বাস, নতুন করে সমস্যা হলেও তাসকিনের কনুই এখন ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকা হচ্ছে না। চেন্নাইয়ের পরীক্ষায় তিনি ভালোভাবেই উতরে যাবেন।
বিসিবির ন্যাশনাল গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার নাজমুল আবেদীনের জহুরি চোখও সামান্য সমস্যা খুঁজে পেয়েছে তাসকিনের অ্যাকশনে, ‘ফুল লেংথ বলগুলোতে সমস্যা না থাকলেও যেসব বলে ও বাড়তি কিছু করতে যায়, সেগুলোর অ্যাকশনে কিছু সমস্যা থাকতে পারে।’ তবে সরওয়ার ইমরানের মতো তাঁরও ধারণা, সমস্যাটা বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হওয়ার মতো নয়।
২০১৪-এর অক্টোবরে চেন্নাইয়ের স্যার রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে বাংলাদেশ দলের আরেক পেসার আল আমিনকেও দিতে হয়েছিল বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা। তবে তাঁর অ্যাকশনে সমস্যা ধরা পড়েনি। বিসিবির হয়ে সেখানে আল আমিনের ‘অভিভাবক’ ছিলেন নাজমুল আবেদীন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে জানালেন, ‘ম্যাচে যেসব ডেলিভারিতে আম্পায়াররা সমস্যা দেখেছেন, সেই বিশেষ ডেলিভারিগুলোই পরীক্ষার সময় করতে বলা হবে।’ সেই পরীক্ষায় তাসকিন ভালোভাবেই পাস করবেন বলে এই কোচের আশা। আল আমিনের মতো চেন্নাই থেকে তিনিও ফিরবেন বৈধতার সনদ নিয়ে।

আইসিসিকে আক্রমণ করল টাইগারপ্রেমীরা, বুমরা-অশ্বিনকে নিয়ে সন্দেহ

আইসিসিকে আক্রমণ করল টাইগারপ্রেমীরা, বুমরা-অশ্বিনকে নিয়ে সন্দেহ


ক্ষোভে উত্তাল মাশরাফিদের ভক্তরা। তারা আক্রমণ করেছে আইসিসিকে। যে যার মত করে নিজের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করছেন।
একই সাথে ভারতের দুই বোলার বুমরাহ ও অশ্বিনকে নিয়ে তাদের সন্দেহ। নেট ভূবনে তোলপাড় সৃষ্টি হচ্ছে এ নিয়ে। আইসিসির কঠোর সমালোচনা করছেন ভক্তরা।
খন্দকার মাহফুজুল করিব লিখেছেন, সময়ের দাবী রেন্ডিয়ার বুমরা ও অশ্বিনের বোলিং এ্যাকশন


পরীক্ষা করা হোক । কারণ তাসকিনের মতো বৈধ এ্যাকশন ধারী বোলারের এ্যাকশন যদি সন্দেহের চোখে ফেলা হয় । তবে অবৈধ এ্যাকশনধারী এই ইন্ডিয়ান গুলো বাদ যাবে কেনো ???
দেবাশীষ ভট্টাচার্জ্য লিখেছেন, তাস‌কিন‌কে নি‌ষিদ্ধ করার জন্য ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্র। এই ষড়য‌ন্ত্রের তীব্র প্র‌তিবা‌দ জ‌ানিয়ে প্র‌য়োজ‌নে টি-২০ ওয়‌ার্ল্ড কাপ বয়কট করা উচিত।
আজিজুল ইসলাম সবুজ লিখেছেন, I think India is scared about Bangladesh cricket team. That we have shown in last one day world cup and now T20 . It's clear that bloody India are completely conspiracies about us.There's no doubt about it. damn sure.It doesn't fear. So everyone rise up.
এ রকম লক্ষ লক্ষ টাইগারপ্রেমী ক্ষোভে ফেঁসে উঠেছেন। তাদের অনেকের অভিযোগ বাংলাদেশের ক্রিকেটার নয় ভারতের দুই বোলারের অ্যাকশনে সমস্যা রয়েছে। এই নিয়ে আইসিসির সন্দেহ করা উচিত ছিল।

বাংলাদেশের পতাকা বুকে জড়িয়ে কাঁদলেন এক ভারতীয়

বাংলাদেশের পতাকা বুকে জড়িয়ে কাঁদলেন এক ভারতীয়


হৃদয়ে তার বাংলাদেশ। টাইগারদের সমর্থনে স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন তিনি। লাল-সবুজের জার্সি গায়ে ও বুকে বাংলাদেশের পতাকা জড়িয়ে ধর্মশালার স্টেডিয়ামে যান তিনি।
মায়ের দোয়া নিয়েই স্টেডিয়ামে গিয়েছেন তিনি। মা বলেছিলেন বাবা দেখিস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের কাউকে পাও কিনা।
বিশেষ করে বরিশালের তোর বাবার এলাকার কাউকে পাও কিনা। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। খুব বেশি একটা দর্শক সমাগম হয়নি বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের ম্যাচে।
এই


যুবকের নাম বিক্রম। জন্মেছিলেন বরিশালের উজিরপুরের গ্রামে। তার তিন বছর বয়সে তার পরিবারটি বাংলাদেশ ছেড়ে গিয়ে কলকাতাবাসী হয়।
স্টেডিয়ামের এক কোনে বসে টাইগারদের খেলা দেখেছিলেন আর কাঁদছিলেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার পরিচয়। বিক্রম বলেন, ভারতে থাকলেও তার মন থাকে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের খেলা দেখতে আমি খুব ভালোবাসি। আমি মন থেকেই টাইগারদের সাপোর্ট করি। বিক্রম জানান, ৪২০ টাকা দিয়ে টিকিট কিনে খেলা দেখতে আসা আমার।
এর আগে মা বারবার বলেছেন দেখিস তোর বাবার এলাকার কারও সাথে সাক্ষাৎ হয় কিনা। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে বিক্রমের পরিবারের মত ভারতে পাড়ি দেয়া বাংলাদেশিরা অনেকটাই অবহেলার শিকার সেখানে।
বিক্রম জানান, ভারতের হিন্দুরা দেশত্যাগ করে সেখানে যাওয়া বাংলাদেশিদের বাঙ্গাল বলে ডাকে। অপেক্ষাকৃত নিচু জাতের বলেই ধরা হয় তাদের।
খুব বেশি যাদের অর্থবৃত্ত নেই তারাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমনটার শিকার বলে জানান বিক্রম।

বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে আইসিসি

বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে আইসিসি


সামনে বিশ্বকাপ এমন সময়ে বাংলাদেশকে নিয়ে একটি আজব খবরের জন্ম দিয়েছে আইসিসি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আইসিসির ভেলকিভাজি নিয়ে চিন্তিত।

বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ দলের কোচ চন্দ্রিকা হাথুরুসিংহেও। মন খারাপ তাসকিন ও আরাফাত সানির। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তারা খেলতে পারবেন কি পারবেন না এই নিয়ে চিন্তা।

তাসকিন ও সানি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একই ভাবে বল করে আসছেন। তাদের বোলিং বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারেনি আইসিসি।

আউট ফিল্ডের দুই আম্পায়ার অভিযোগ করেছেন তাদের নিয়ে। বাংলাদেশের কোচ হাথুরুসিংহে এ নিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেছেন, তারা আমার দুই বোলারকে বিশ্বকাপের আগে সন্দেহ করতেছে। আর আমি এখন আইসিসিকেই সন্দেহ করছি। হাথু বলেন, আমি তাদের বোলিং অ্যাকশনে কোনো ত্রুটি খুঁজে পাইনা।

দেশের কোচের কন্ঠে আমারও কন্ঠ। তবে আমি বলতে চাই কোনো এক গোপন ইন্ধন না থেকে পারে না এ নিয়ে। আমারও সন্দেহ হচ্ছে আইসিসিকে।
কেননা আইসিসি যে কোনো খাঁটি পীরের আখড়া তা কিন্তু নয়। এর আগেও আইসিসি বাংলাদেশকে নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি পত্রিকা অবশ্য নানা প্রসঙ্গ টেনে আনছে এ বিষয়ে। আমি সে পথে যাব না। শুধু বলছি নিশ্চই কোনো গোপন কলকাঠি রয়েছে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে।

এ দুইজন বাংলাদেশের মূল হাতিয়ার। এশিয়াকাপের ফাইনালে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ যে কোনো সময় যে কোনো দলকে উড়িয়ে দিতে পাবে। ষড়যন্ত্রকারীদের মগজ থেকে এই বিষয়টির কারণেই বেরিয়েছে ওই ষড়যন্ত্র। 

তাসকিন-সানির নিষিদ্ধ নিয়ে

তাসকিন-সানির নিষিদ্ধ নিয়ে


জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর পর দিনই বড়সড় এক ধাক্কা খেল এশিয়া কাপ রানার্স বাংলাদেশ। তারকা পেস বোলার তাসকিন আহমেদ ও বাঁ-হাতি স্পিনার আরাফত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়। যা শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ শিবির।
তাসকিন ও সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এমন খবর প্রকাশ করে ভারতের আনন্দবাজার। তাসকিন-সানির নিষিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গে আনন্দবাজার যা লিখল তা নিচে তুলে ধরা হলো।
বুধবার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে চলতি বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে আম্পায়াররা দুই বোলারের অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ম্যাচ রেফারির কাছে রিপোর্ট করেন। বাংলাদেশ টিমের শ্রীলঙ্কান কোচ চান্ডিকা হাথুরেসিংহে অবশ্য মানতে রাজি নন যে তার দলের দুই বোলারের অ্যাকশন নিয়ে কোনও সমস্যা রয়েছে।
বুধবারের ম্যাচে দুই আম্পায়ার ভারতের সুন্দরম রবি ও অস্ট্রেলিয়ার রড টাকার ম্যাচ শেষে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে দুই বোলারের নামে সাসপেক্ট অ্যাকশন রিপোর্ট করেন বলে এ দিন জানায় আইসিসি। তাদের মিডিয়া রিলিজে জানানো হয়, চেন্নাইয়ে শ্রীরামচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিসি অনুমোদিত


পরীক্ষা কেন্দ্রে সাত দিনের মধ্যে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করাতে হবে দুই অভিযুক্ত বোলারকে।
সেই পরীক্ষার ফল ইতিবাচক হলে তবেই তারা বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন। অ্যাকশন পরীক্ষার ফল না পাওয়া পর্যন্ত অবশ্য তাসকিন ও সানি মাঠে নামতে পারবেন বলে জানিয়েছে আইসিসি। তবে তারা কবে চেন্নাইয়ে যাবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্মশালায় বাংলাদেশ শিবিরে খবরটা যেন বজ্রপাতের মতো আছড়ে পড়ে। দলের মিডিয়া ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ দিন তাকে বেশ উত্তেজিতই মনে হচ্ছিল। ফোনে বললেন, ‘‘আমরা ভাবতেই পারিনি এমন একটা খবর আসতে চলেছে। আমাদের সাপোর্ট স্টাফের তো কখনওই মনে হয়নি যে, ওদের বোলিং অ্যাকশনে কোনও সমস্যা আছে।’’
কবে দুই অভিযুক্ত বোলারকে চেন্নাইয়ে পাঠানো হবে, তা নিয়েও ধন্দে রয়েছে বাংলাদেশ শিবির। সুজন বলেন, ‘‘জানি না কবে ওদের পাঠানো যাবে। চেন্নাই তো আর কাছে নয়। ওখানে যাতায়াতে অনেকটা সময় লাগবে। এ দিকে শুক্রবার আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে (আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে)। সেই ম্যাচে ওদের খেলানো হবে সম্ভবত। তার পর হয়তো ঠিক হবে ওদের চেন্নাই যাওয়ার দিনক্ষণ।’’
বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন হাথুরেসিংহেকে স্থানীয় মিডিয়া এই নিয়ে প্রশ্ন করে, তখন তিনি বলেন, ‘‘গত বারো মাস ধরে তো ওরা একই অ্যাকশনে বোলিং করে আসছে। আমার তো কখনও মনে হয়নি ওদের অ্যাকশনে ত্রুটি রয়েছে।’’ ধর্মশালায় ফোন করে জানা গেল, গত বছর জুনে ভারতীয় দলের বাংলাদেশ সফরেও আম্পায়ার ছিলেন টাকার ও ম্যাচ রেফারি ছিলেন পাইক্রফট। তার বক্তব্য, সেই সিরিজেও তাসকিন ও সানির অ্যাকশন একই ছিল।
তখন যদি রিপোর্ট না করা হয়, তা হলে এখন কেন তা করা হল। দুই বোলারের অ্যাকশন যে বদলানোও যাবে না, তাও জানিয়ে দেন মুশফিকুরদের কোচ। বলেন, ‘‘সম্প্রতি ওরা প্রচুর ক্রিকেট খেলেছে। আমার অন্তত মনে হয় না কোনও পরিবর্তনের দরকার আছে। এ বার দেখা যাক পরীক্ষায় কী পাওয়া যায়। তার পর ঠিক করা যাবে। আমার মনে হয় চেন্নাইয়ে পরীক্ষায় ওরা পাশ করে যাবে।’’
এমনিতেই মুস্তাফিজুর রহমানের চোট বাংলাদেশ বোলিংকে দুর্বল করে দিয়েছে। তার উপর তাসকিনও যদি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়, তা হলে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অভিযান ফের ধাক্কা খেতে পারে। এখন সেই দুশ্চিন্তাই ঢুকে পড়েছে সাকিবদের শিবিরে।

এবার আইরিশদের প্রতি টাইগারদের হুঙ্কার

এবার আইরিশদের প্রতি টাইগারদের হুঙ্কার


ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৮ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে আইরিশদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত আটটায় ম্যাচটি শুরু হবে। আইরিশ শক্তিশালী দল। কিন্তু তাদের হুমকিও পাত্তা দিচ্ছেন না টাইগাররা। আইরিশদের মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত। টাইগার দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই হুঙ্কার দিলেন আইরিশদের প্রতি।
হাথুরুসিংহে বলেন, আমি জানি আয়ারল্যান্ড পেশাদার দল। যদিও বুধবার ওমানের কাছে হেরেছে তারা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এমনই। যেকোনও কিছু হতে


পারে, এক ওভারেই হিসেব-নিকেশ পাল্টে যেতে পারে। তাই আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার আশাই করছি। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে ম্যাচ জিততে সমস্যা হবে না। জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
তিনি বলেন, এমন টুর্নামেন্টে অংশ হতে পারা সব সময়ই দারুন ব্যাপার। আমার মনে হয় পরবর্তী ম্যাচের জন্য আমরা খুব ভালো অবস্থায় আছি। আগের ম্যাচের আত্মবিশ্বাস আমদের খুব কাজে দেবে।
আইরিশদের দেওয়া হুঙ্কারের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার মনে হয়, তারা আমাদের জয় সহজে হতে দেবে না। কারণ তারা এই মুহূর্তে যেকোনও দলকে হারানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। এটা ক্রিকেটের জন্য ভালো।
বোলারদের প্রশংসা করতে গিয়ে হাথুরুসিংহে বলেন, আমাদের বোলাররা খুবই ভালো করছেন। ব্যাটিং নিয়ে একটু ভাবতে হচ্ছে। দলগতভাবে ব্যাটসম্যানদের জ্বলে উঠতে হবে।
উইকেট নিয়ে কিছুটা চিন্তা থাকলেও এই মুহূর্তে এটা নিয়ে বেশি কিছু ভাবতে চান না হাথুরুসিংহে। তিনি বলেন, আমরা ঘরের মাঠে দ্রুত গতির উইকেটে খেলেছি। তাই এখানকার অবস্থা ভালোভাবে বুঝতে হবে আমাদের। এটা সহজ নয়। আমি সব সময়ই বলি ভালো শুরু করো এবং প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দাও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ফিলিপাইনের জুয়ার বাজারে!

বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ফিলিপাইনের জুয়ার বাজারে!


নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে দশ কোটি ডলার লোপাট হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ফিলিপাইনের কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিদিনই খবর বের হচ্ছে।
কিভাবে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে এই অর্থ ফিলিপাইনের ব্যাংকিং সিস্টেমে ঢুকলো, সেখান থেকে কিভাবে নানা হাত বদল হয়ে সেটা বিভিন্ন জায়গায় চলে গেলো, তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে এসব রিপোর্টে।
এ নিয়ে সবচেয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানী রিপোর্টটি বেরিয়েছে ফিলিপাইন ডেইলি ইনকোয়ারার পত্রিকায় ।
তাদের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ফিলিপাইনের ব্যাংকিং ইতিহাসে এত বড় মানি লন্ডারিং এর ঘটনা এটাই প্রথম।
দেশটির স্থানীয় একটি ব্যাংক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং সিস্টেম এই অর্থ লেনদেনের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
এদের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, গত মাসের পাঁচ তারিখে প্রথম ৮১ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার করা হয়।
নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে প্রথম অর্থ যায় যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ব্যাংকে। এই ব্যাংকগুলো হচ্ছে - ব্যাংক অব নিউইয়র্ক, সিটি ব্যাংক এবং ওয়েলস ফার্গো ব্যাংকে।
তারা এই অর্থ পাঠায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে।
Image copyrightEPA
Image captionএই অর্থ লোপাটের ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ফিলিপাইনের মাকাটি শহরের যে শাখায় এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আসে, সেই শাখার প্রধান কর্মকর্তা বিষয়টি ব্যাংকের উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন।
এই লেনদেনের প্রত্যেকটি ধাপ সম্পর্কে এই ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আগাগোড়াই জানতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কিন্তু এই ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লোরেনযো ট্যান, এই অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
ব্যাংকের তরফ থেকে দেয়া এক বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে ফিলিপাইনের পত্রপত্রিকায়। তাতে ব্যাংকটি এই অর্থ পাচারের ঘটনার তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছে।
পুরো ঘটনাটি এখন তদন্ত করে দেখছে ফিলিপাইনের সেনেট, ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এবং ফিলিপাইনের ‘এমিউজমেন্ট এন্ড গেমিং কর্পোরেশন’ যারা সেখানকার জুয়ার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।
ফিলিপাইনের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এই অর্থ কোথায় গেছে?
এই চুরি যাওয়া অর্থ কিভাবে হাত বদল হয়েছে, তার একটা মোটামুটি চিত্র দিয়েছে ফিলিপাইনের ডেইলি ইনকোয়ারার পত্রিকা ।
তাদের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে এই অর্থ তাদের ক্লায়েন্টদের মাধ্যমে চলে যায় স্থানীয় এক ফরেন এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীর কাছে।
৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার স্থানীয় মূদ্রায় বিনিময়ের পর এই পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৭০ কোটি পেসোতে।
এরপর এই অর্থ চলে যায় তিনটি বড় ক্যাসিনোতে। এগুলো হচ্ছে সোলারি রিসোর্ট এন্ড ক্যাসিনো, সিটি অব ড্রিমস এবং মাইডাস।
পুরো অর্থ খরচ করে সেখানে জুয়া খেলার জন্য চিপস কেনা হয়েছে। এরপর জুয়া খেলে এই চিপস আবার ফিলিপিনো মূদ্রায় কনভার্ট করা হয়েছে।
Image captionবাংলাদেশ ব্যাংক
এরপর সেই অর্থ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে হংকং এর বিভিন্ন একাউন্টে।
এই ঘটনা এত দেরিতে জানা গেল কেন সেটি এক বিরাট রহস্য।
এত বিরাট একটা কেলেংকারি, এত বিশাল অংকের অর্থ চুরি হলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে, অথচ তা জানা গেছে মাত্র গত কদিন আগে। এবং তাও ফিলিপাইনের বিভিন্ন পত্রিকায় এ নিয়ে খবর বেরুনোর পর।
ফিলিপাইনের পত্রপত্রিকা বলছে, অর্থ চুরি হবার পরপরই বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন।
ফিলিপাইনের পত্রিকার তথ্যে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা ইতোমধ্যে ফিলিপাইনে গিয়ে সেখানকার সেন্ট্রাল ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা পাচার হওয়া অর্থ ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। এসবই কিন্তু ঘটেছে পুরো বিষয়টি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের নজরে আসার আগে।

মালেশিয়ার বিভিন্ন বন্দিশিবির ও কারাগারে মানবেতর দিন কাটছে ৪ হাজারের বেশি বাংলাদেশির।

মালেশিয়ার  বিভিন্ন বন্দিশিবির ও কারাগারে মানবেতর দিন কাটছে ৪ হাজারের বেশি বাংলাদেশির।


 ওই দেশের ১২টি বন্দিশিবিরে ১,৭২৩ জন কারাবন্দি আছেন বলে হাই কমিশন সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন কারাগারে সাজা ভোগ করছেন ১,৯২৭ জন।

এটি সরকারি হিসাব। বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

এদের মধ্যে জেল জরিমানা শেষে নিজ খরচে দেশে ফিরছে। আর অনেকে টাকার অভাবে দেশে ফিরতে পারছেনা। সাজা শেষ হওয়ার পরেও জেল এবং ক্যাম্পে পড়ে রয়েছে।

এরই মধ্যে জহুর প্রদেশ বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উদ্যোগ নিয়েছেন ৭০টি এয়ার টিকেট ফ্রি দেয়ার। এদের বেশির ভাগই অবৈধভাবে প্রবেশ ও অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে গ্রেফতার হন।

সাম্প্রতিক সময়ে সাগরপথে মানব পাচার বেড়ে যাওয়ায় বন্দিশিবির ও কারাগারগুলোতে বাংলাদেশিদের সংখ্যাও বেড়েছে। মালয়েশিয়ায় গ্রেফতারের পর ও জেলে সাজার মেয়াদ শেষে বিদেশিদের বন্দিশিবিরে রাখা হয়। গত ছয় বছরে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশিকে সাজা খাটা শেষে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এ দিকে অবৈধভাবে কাউকে মালয়েশিয়ায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রধান মো:শহিদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র হতে জানা যায়, ১২টি বন্দিশিবিরে ১,৭২৩ জন বাংলাদেশি আটক আছেন। এর মধ্যে সিমুনিয়া ক্যাম্পে ১৩২ জন, লেঙ্গিং ক্যাম্পে ২৩৬, লাঙ্গকাপে ২৫০, জুরুতে ৫৬, তানাহ মেরায় ৪৮, মাচাপ উম্বুতে ১৭৯, পেকা নানাসে ১২০, আজিলে ১২৬, কেএলআইএ সেপাং ডিপোতে ৮১, বান্তিকে ১১৩, বুকিত জলিলে ২৩৪ ও পুত্রজায়ায় ১৮ জন সহ প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি আটক আছেন।

p-2এদের বেশির ভাগকেই অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের কারণে কিংবা ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন, ১৯৫৯-এর ধারা ৬(১) সি/১৫ (১) সি এবং পাসপোর্ট আইন, ১৯৬৬-এর ১২(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-সহকারি পরিচালক জোসামি মাস্তান বলেন, বিভিন্ন কারাগার ও ক্যাম্পে যাঁরা আটক আছেন, তাঁদের বেশির ভাগই অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ কিংবা অবৈধভাবে থাকার কারণে গ্রেফতার হয়েছেন।

এদিকে, বন্দিশিবির ও কারাগারে সাজা খেটে দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের অনেকে অভিযোগ করেন, ক্যাম্পগুলোতে প্রায়ই বাংলাদেশিদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এমনকি কেউ কেউ ক্যাম্পেও মারা যান। অনেক সময় ঠিকমতো খাবার দেয়া হয় না বলে অভিযোগ করেন বন্দিশিবির ও কারাগারে সাজা খেটে দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের অনেকেই। দীর্ঘদিন জেলে বা ক্যাম্পে থাকলেও হাইকমিশন তাঁদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগ নেয় না বলেও জানান তারা।

হাই কমিশনের কাউন্সিলার (শ্রম) সায়েদুল ইসলাম জানান, বন্দিশিবিরে যারা আটক রয়েছেন তাদেরকে দ্রুত দেশে পাঠানোর সবরকম ব্যবস্তা নিয়েছে। এর মধ্যে দূতাবাসের শ্রম শাখার সচিব বৃন্দ প্রত্যেকটি বন্দিশিবির পরিদর্শন করে বাংলাদেশীদের শনাক্তকরে পর্যায় ক্রমে তাদের দেশে পাঠানো হবে।

জহুর প্রদেশ বাংলাদেশী কমিউনিটির সভাপতি তরিকুল ইসলাম রবিন, সহ সভাপতি ফাহিম, সাধারন সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম আমিন সোমবার এ প্রতিবেদককে বলেন, জহুর কমিউনিটি প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। জহুর বারু পেকানানাস বন্দি শিবিরে বাংলাদেশী যারা বন্দি রয়েছেন তাদের মধ্যে যারা টাকার অভাবে টিকেট কেটে দেশে যেতে পারছেননা তাদের মধ্যে ৭০ জনকে হাই কমিশনের মাধ্যেমে দেশে পাঠানোর উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। কিছুদিনের মধ্যেই এদের দেশে পাঠানো হবে।
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া থেকে:

ভারত সফরে থাকা দলের সবাইকে চরম লজ্জা দিলেন তামিম, তুমুল হৈ চৈ

ভারত সফরে থাকা দলের সবাইকে চরম লজ্জা দিলেন তামিম, তুমুল হৈ চৈ


ধর্মশালাই মূল কেন্দ্র। এখানেই কাণ্ড ঘটালেন বাংলাদেশের সেরা ওপেনার ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। নেদারল্যান্ড ও বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে এই ঘটনা। হৈ চৈ এ নিয়েই।
নেদারল্যন্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পাবে এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু এদিন টাইগারদের ভক্তদের চরম লজ্জা দেয় বাংলাদেশের বড় বড় ব্যাটসম্যানরা।
তামিম ছাড়া একযোগে সবাই ব্যর্থ হন এদিন। বাংলাদেশের মান-সন্মান ধূলোয় মিশে


যাচ্ছিল নেদারল্যান্ডের কাছে হারের ঘ্রাণে। তামিম বাংলাদেশের মান রক্ষা করেছেন।
একই সাথে এর মাধ্যমে অন্যসব ব্যাটসম্যাদের চরম লজ্জাও দিয়েছেন তিনি। তামিম ইকবাল ওপেনার হিসাবে মাঠে নেমে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেন।
তার অপর প্রান্তের সবাই ব্যাট হাতে আসা যাওয়ার খেলায় মাতেন। টি-টোয়েন্টি বলে রক্ষা। তামিম দাঁড়িয়ে থাকেন দেশের রক্ষাকর্তা হিসাবে।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার পর্যন্ত খেলতে পারে বাংলাদেশ। ১২০ বলের খেলায় তামিম খেলেন ৫৮ বল। তামিম করেন ৮৩ রান। অন্যদিকে দলের অন্যরা ৬২ বল খেলে করেন মাত্র ৬৩ রান।
ব্যাট হাতে সৌম্য ও সাকিব ধারাবাহিকভাবে রয়েছেন ব্যর্থতার শীর্ষ কাতারে। এদিন মুশফিক আউট হন শূণ্য রানে।  
এশিয়াকাপে দুর্দান্ত ক্রিকেট উপহার দিয়ে নেদারল্যান্ডের মত দলের কাছেই লজ্জা পেতে যাচ্ছিল মাশরাফিরা। এখান থেকে বাংলাদেশকে টেনে তুলেছেন তামিম।

চার বছরের মেয়েকে হাত ব্যাগে ভরে ইস্তানবুল থেকে প্যারিস নিয়ে এসেছিলেন একজন নারী।

চার বছরের মেয়েকে হাত ব্যাগে ভরে ইস্তানবুল থেকে প্যারিস নিয়ে এসেছিলেন একজন নারী।

এয়ার ফ্রান্সের কর্মীরা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে জানালে তাকে আটক করা হয়।
যদিও তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনেনি পুলিশ। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে প্যারিসের শার্ল দ্য গল বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্যারিসের বাসিন্দা ওই নারী শিশুটিকে হাইতি থেকে দত্তক নিয়েছেন। কিন্তু দত্তকের পুরো প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি।
ফলে ইস্তানবুলে শিশুটিকে নিয়ে বিমানে উঠতে বাধা দেয় সেদেশের কর্তৃপক্ষ। এরপর তিনি আরেকটি টিকেট কেনেন, কিন্তু শিশুটিকে তার হাতব্যাগের ভেতর লুকিয়ে বিমানে উঠে পড়েন।
বিমানে ওঠার পর, ব্যাগ থেকে বের করে, শিশুটিকে একটি কম্বলের মধ্যে মুড়িয়ে তার পায়ের কাছে লুকিয়ে রাখেন।
কিন্তু একটু পরে শিশুটির বাথরুমে যাবার দরকার হলে অন্য যাত্রীরা টের পেয়ে যায়।

বগুড়া র‌্যাবের অভিযানে ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০২ জন মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার

বগুড়া র‌্যাবের অভিযানে ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০২ জন মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার


র‌্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল বগুড়া জেলার সদর থানাধীন হাড্ডিপট্টি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক দ্রব্যসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। র‌্যাব সূত্র জানায় ০৯ মার্চ ২০১৬ ইং তারিখ বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত উক্ত অভিযানে নেশা জাতীয় ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ০২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় হল ১। মোঃ আলামিন(২২) ধুনট থানাধীন চরধুনট গ্রামের মৃত ভুলু মন্ডল এর ছেলে এবং ২। মোঃ রুবেল(২৫) শিবগঞ্জ থানাধীন জুড়িমাছ পাড়া গ্রামের  বুলু শেখ এর ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে বগুড়া জেলার সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় দীর্ঘ দিন যাবৎ বগুড়া জেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছিল বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।

আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামছে যেসব টাইগার

আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামছে যেসব টাইগার
Bangladesh-vs-netherlands-live


আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। অর্থাৎ আজ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে প্রথম ম্যাচে টাইগার বাহিনীর প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হবে এই ম্যাচটি। যা সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি ও স্টার স্পোর্টস-১।
এদিকে আজকের ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের সম্ভাব্য


একাদশ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আজকের ম্যাচটিতে ইনজুরির কারণে মাঠে নামতে পারছেন না কাটার মুস্তাফিজ।
এদিকে সম্ভাব্য একাদশে তেমন কোন পরিবর্তন নেই। এশিয়াকাপের ফাইনালে দল যেমন ছিল ধারণা করা হচ্ছে আজ তেমনই নামবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। তাহলে চলুন দেখে নিই বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ কেমন হবে-
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:
১। তামিম ইকবাল
২। সৌম্য সরকার
৩। সাব্বির রহমান
৪। মুশফিকুর রহিম
৫। সাকিব আল হাসান
৬। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
৭। নাসির হোসেন
৮। মাশরাফি মুর্তজা
৯। আল-আমিন হোসেন
১০। আরাফাত সানী
১১। তাসকিন আহমেদ।

হংকংয়ের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের চ্যালেঞ্জিং স্কোর

হংকংয়ের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের চ্যালেঞ্জিং স্কোর
Honking-vs-Zimbabwe

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের উদ্বোধনী ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দূর্বল হংকং এর বিপক্ষে ১৫৮ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল।
ভারতের


নাগপুর বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হয় ম্যাচটি।
টসে হেরে জিম্বাবুয়ের হয়ে ওপেনিং জুটিতে নামেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও বুসি সিবান্দা। কিন্তু ব্যাক্তিগত ২০ রানের মাথায় রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মাসাকাদজা

স্কাই স্পোর্টসের দৃষ্টিতে যে পাঁচটি কারণে টি-টুয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ

স্কাই স্পোর্টসের দৃষ্টিতে যে পাঁচটি কারণে টি-টুয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ
T20-world-cup-2016-live

আজ থেকে শুরু হচ্ছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ট আসর।এবারের আসরে ইংল্যান্ড ভিত্তিক স্পোর্টস ওয়েবসাইট স্কাই স্পোর্টস বাংলাদেশকে ভয় পাওয়ার পাঁচটি কারন ব্যাখ্যা করেন।

এশিয়া কাপে দারুন সাফল্যের পর বাংলাদেশ দল এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপেও কি চমক দেখাতে পারবে?

স্কাই স্পোর্টসের মতে যে পাঁচটি কারনে এবারের টি-টুয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন হতে পারে বাংলাদেশঃ

১।তারুণ্যঃ বাংলাদেশ দলের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করা থেকেই বুঝা যায় যে বাংলাদেশ দলের পাইপ লাইনে অনেক তরুন খেলোয়াড় আসছে। সিনিয়র খেলোয়াড়দের সাথে তরুন মুস্তাফিজ, তাসকিনদের সংমিশ্রণ বাংলাদেশ দলকে এবারের বিশ্বকাপে শিরোপার দাবিদার করে তুলেছে।

২।বাংলাদেশ আর আন্ডারডগ নয়ঃ সম্প্রতি ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলে অসাধারণ পারফর্ম করে আসছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফর্মেন্স ও ঘরের মাঠে ভারত,পাকিস্তান ও দক্ষিন আফ্রিকার মত দলকে পরাজিত করে বাংলাদেশ। সেই ধারায় এশিয়া কাপেও ভালো খেলেছে বাংলাদেশ।

৩।সফল এশিয়া কাপঃ বাংলাদেশ দল এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে পরাজিত হলেও টানা তিন ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয়। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মত দলকে টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে পরাজিত করে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের সাফল্য বাংলাদেশকে বড় মঞ্চে ভালো করার আত্মবিশ্বাস দিবে।

৪।উপমহাদেশের কন্ডিশনঃ বাংলাদেশ দল উপমহাদেশের কন্ডিশনে অন্যান্য দলের জন্য বড় হুমকি। সম্প্রতি শেষ হওয়া এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছে। একই সাথে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে বাংলাদেশের সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে। তাছাড়া বাংলাদেশের ১৮ টি-টুয়েন্টি জয়ের মধ্যে ১১টি এসেছে উপমহাদেশের মাটিতে।

৫। সাকিব আল হাসানঃ সারা বিশ্বে সাকিব বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটি ব্র্যাণ্ডের নাম। যে কোন বড় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলে সাকিবের বিকল্প নেই। টি২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। এবারের বিশ্বকাপে তার অভিজ্ঞতার কারনে বাংলাদেশ দল প্রতিপক্ষের চিন্তার কারন হবে।

ধরমশালাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম প্র্যাকটিস সেসন।

ধরমশালাতে  বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম প্র্যাকটিস সেসন।

ধরমশালাতে সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম প্র্যাকটিস সেসন।  রবিবার রাতে এশিয়া কাপের ফাইনালের পর এই প্রথম তারা নেট প্র্যাকটিসের সুযোগ পেলেন – আর পরদিনই নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজা পরে বলছিলেন, শৈলশহর ধরমশালার উচ্চতা আর আবহাওয়া তাদের অল্প সমস্যায় ফেলেছে, বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের দৌড়নোর সময় ‘ব্রিদিং ট্রাবল’ও হচ্ছে।  তার কথায়, ‘এখানে একটু আগে আসতে পারলে ভাল হত, কিন্তু কিছু তো করার ছিল না!’

আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস

আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস
International-womens-day

প্রতিবছরের মতো এবারো জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালন করছে।
আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য “নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ১৮’র নীচে বিয়ে নয়, আইন করে বাল্যবিয়ের স্বীকৃতি বন্ধ হোক”। আন্তর্জাতিক গ্রামিণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং সম্প্রতি বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে প্রস্তাবিত আইন নিয়ে নারী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বিগ্ন। তারা মনে করে, নারীর বিয়ের বয়স কমানো হলে নারীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি যেমন বাড়বে, তেমনি পুরুষের বিয়ের বয়স কমানো হলে তা দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার জন্য ও ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াবে। এর প্রেক্ষিতে তারা এবছর আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবসে এ প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও উন্নয়ন সংস্থাসমূহ নিজেদের অর্থায়নে দেশের ৬০টি জেলা এবং ১১টি উপজেলায় নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ দিবস পালন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি ২০১৪ এবং এর জেলা শাখা গঠন করা হয়েছে। এসব জেলা কমিটি স্থানীয় পর্যায়ের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।
আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ফেরদাউস আরা রুমি বাসস’র সাথে আলাপকালে বলেন, আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপনের জন্য এবছর জেলা পর্যায়ের অনুষ্ঠানগুলোকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এজন্য জাতীয় পর্যায়ে কোন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়নি। তবে দিবসটি সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আজ রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় ১৫ অক্টোবর আন্তর্জাতিক গ্রামীন নারী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে গ্রামীণ নারীদের ভূমিকার প্রতি স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ তার রেজুলেশন নম্বর ৬২/১৩৬-এর মাধ্যমে দিবসিট পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২০০৮ সাল থেকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন করে আসছে। এর আগে ১৯৯৫ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের চতুর্থ নারী সম্মেলনে ১৫ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১৯৯৭ সাল থেকে জেনেভাভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উইমেন ওয়ার্ল্ড সামিট ফাউন্ডেশন (ডাব্লিউডাব্লিউএসএফ) আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি পালন করে। ১৯৯৮ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালন করা হয়।