এবার হাসিনা ও জয়ের মুখে চপেটাঘাত করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী!



এবার হাসিনা ও জয়ের মুখে চপেটাঘাত করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! শেখ হাসিনা পুত্র ইহুদি জামাই সজীব ওয়াজেদ জয় বিভিন্ন বক্তৃতা, সভা সমাবেশ, সেমিনার ও দেশি বিদেশি পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে অসংখ্যবার দাবি করেছেন যে, ‘মাদ্রাসায় পড়া ছাত্রদের সংখ্যা বাড়ছে। মাদ্রাসার ছাত্ররা জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত। জঙ্গিবাদ দমন করতে হলে মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতে হবে।’

জয়ের সাথে সুর মিলিয়ে মাদ্রাসা বন্ধের দাবি তোলে আওয়ামীলীগ ও বামপন্থী দলের বহু নেতা, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

জয় বক্তৃতা বিবৃতি দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার আগে রাশিয়া, ইসরাইল ও ভারতের সমন্বিত এক লবিস্ট ফার্মের সাথে চুক্তি করে যে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ দমনে মাদ্রাসা বন্ধ করা হবে। এবং আগামি ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে একজন হিন্দু প্রধানমন্ত্রী থাকবে। এই চুক্তির একটি অংশ ছিল সেনাবাহিনী থেকে মাদ্রাসা ছাত্রদের অপসারণ করা।

যার ফলশ্রুতিতে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। বর্তমানে সেনাবাহিনীতে মাদ্রাসা ছাত্রদের চাকরীতে নেয়া হয় না। সেনাবাহিনীতে এবারই প্রথম হিন্দুদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনীতে এখন প্রতি ২ জনে একজন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এজেন্ট রয়েছে। যাদের অধিকাংশ হিন্দু। এমনকি, ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে এখন হিন্দুরা কোরআন শরীফ পুড়িয়ে দিচ্ছে। বাড্ডায় এ ঘটনা ঘটে। প্রশাসনের হিন্দুলোকেরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসার উপর হামলা করে একজন হাফেজকে শহীদ করে। সম্প্রতি গরু জবেহ বন্ধে দাবি তুলেছে জয়ের আবাসস্থল আমেরিকার একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গ্রুপ।

জানা গেছে, জয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এ দাবি তুলেছে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নামের একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক ভুইফোঁড় সংগঠন। এছাড়াও, জয়ের নির্দেশে নাস্তিকরা ইসলাম, আল্লাহ, মহানবী (সা:) এবং মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও অবমাননাকর লেখালেখি করছে। সেসব নাস্তিকদের নিজেদের বাহিনী দিয়ে হত্যা করে সেই হত্যার দায় আবার মাদ্রাসার ছাত্রদের উপর বর্তাচ্ছে। এমনকি ইহুদি জামাই নাস্তিক জয়ের আশীর্বাদপুষ্ট কিছু পতিতা আযান ও মসজিদ বন্ধের দাবি তুলেছে।

যাহোক জয়ের এই ইহুদিবাদী মিশন গত ৭ বছরে ভয়ানকভাবে এপ্লাই করেছে বাংলাদেশের মুসলমানদের উপর। বাংলাদেশের ইসলামিস্ট ব্যক্তিত্বদের মিথ্যা রায়ের মাধ্যমে হত্যা, হেফাজতের ধর্মপ্রাণ মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের হত্যা এবং মাদ্রাসার সিলেবাস পরিবর্তনের মাধ্যমে জয়ের মিশন চালানো হচ্ছে। সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসে’র মূলনীতিটি তুলে দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ চালু করা হয়েছে। সংবিধানে এ মূলনীতিটি সন্নিবিষ্ট করেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান। ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশের সংবিধান সংশোধনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল একজন উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দু নেতা সুরঞ্জিত ওরফে কালোবিড়ালকে। আর বর্তমানে প্রধান বিচারপতি একজন হিন্দু। যেদেশে এখনও মুসলিম আইন বলতে একটি আইন রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশে কিভাবে একজন হিন্দু মুসলিম আইন প্রয়োগ বা জটিলতর সমস্যায় আইনী ব্যাখ্যা দিবে?

২০০৯ সালে ক্ষমতায় বসার পর যখনই আওয়ামীলীগ বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে, তখনই নতুন ইস্যু তৈরি করে চলমান বিপর্যস্ত ইস্যুকে ধামাচাপা দিয়েছে। ইস্যুকে ধামাচাপা দেয়ার প্রধান অস্ত্র ছিল জঙ্গিবাদ। ব্লগার হত্যা বা যেকোন হত্যাকান্ড ঘটিয়ে কোনধরনের তদন্ত ছাড়াই দোষ দেয়া হতো বিএনপি- জামায়াতকে। আর নিরিহ মাদ্রাসা ছাত্রদের গ্রেফতার করে মজুতকরা বোমা সরঞ্জামসহ মিডিয়ার সামনে হাজির করা হতো। কিন্তু, গত ৭ বছরে একজন মাদ্রাসার ছাত্রকেও জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত হিসেবে প্রমাণ করতে পারেনি সরকার।

শেখ হাসিনা, তার আহলে হাদিস পরিবার ও বামজোটের মিথ্যা দাবি এবার প্রকাশ করে দিলেন তার দলেরই বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ যেন হাসিনা ও জয়ের মুখে চপেটাঘাত। এতোদিন তারা যে মিথ্যা কথা বলেছে তার বিরুদ্ধে চপেটাঘাত।

দেশের কওমী, আলিয়া ও ইবতেদায়ী মাদরাসায় কোনো জঙ্গিবাদ তৈরি হয় না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, মাদরাসা থেকে জঙ্গিবাদ তৈরি হয় না, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত। দেশের কওমি, আলিয়া ও ইবতেদায়ী মাদরাসা গুলোতে সঠিক ইসলাম শিক্ষা দেয়া হয়। এখান থেকে জঙ্গিবাদ তৈরি হওয়ার প্রশ্নই উঠে না।

রোববার লক্ষ্মীপুর জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সেল ও জেলা ইমাম সমিতির উদ্যোগে জেলা স্টেডিয়াম মাঠে আয়োজিত ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্মের কোথায় মানুষ হত্যা করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হয়নি। ইসলাম শান্তির ধর্ম। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রিয়, তাই বলে এ নয় যে, এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী।

আওয়ামীজোটের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন যে, মাদ্রাসার ছাত্ররা জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এখন হাসিনা, নাস্তিক জয় ও বামলীগের নেতারা এবং সরকারদলীয় প্রশাসন এর কী জবাব দিবেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই বা এর দায় কিভাবে এড়াবেন? এতোদিন যে সব জঙ্গি ঘটনার সাথে মাদ্রাসার ছাত্রদের ট্যাগ করে দিয়েছেন তার জন্য জাতির সামনে ক্ষমা চাবেন না? আর মিথ্যা দোষারপ ও মিথ্য্ মামলায় আটক, নির্যাতন ও জেল, জুলুম করায় জুলুমবাজদের কী আইনের আওতায় আনা হবে না? হাসিনা ও তার পুত্র জয়ের বিচার তাহলে কে করবে?
-নিউজবিডিসেভেন

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট