তাসকিন-সানির নিষিদ্ধ নিয়ে



জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর পর দিনই বড়সড় এক ধাক্কা খেল এশিয়া কাপ রানার্স বাংলাদেশ। তারকা পেস বোলার তাসকিন আহমেদ ও বাঁ-হাতি স্পিনার আরাফত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়। যা শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ শিবির।
তাসকিন ও সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এমন খবর প্রকাশ করে ভারতের আনন্দবাজার। তাসকিন-সানির নিষিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গে আনন্দবাজার যা লিখল তা নিচে তুলে ধরা হলো।
বুধবার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে চলতি বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে আম্পায়াররা দুই বোলারের অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ম্যাচ রেফারির কাছে রিপোর্ট করেন। বাংলাদেশ টিমের শ্রীলঙ্কান কোচ চান্ডিকা হাথুরেসিংহে অবশ্য মানতে রাজি নন যে তার দলের দুই বোলারের অ্যাকশন নিয়ে কোনও সমস্যা রয়েছে।
বুধবারের ম্যাচে দুই আম্পায়ার ভারতের সুন্দরম রবি ও অস্ট্রেলিয়ার রড টাকার ম্যাচ শেষে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে দুই বোলারের নামে সাসপেক্ট অ্যাকশন রিপোর্ট করেন বলে এ দিন জানায় আইসিসি। তাদের মিডিয়া রিলিজে জানানো হয়, চেন্নাইয়ে শ্রীরামচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিসি অনুমোদিত


পরীক্ষা কেন্দ্রে সাত দিনের মধ্যে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করাতে হবে দুই অভিযুক্ত বোলারকে।
সেই পরীক্ষার ফল ইতিবাচক হলে তবেই তারা বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন। অ্যাকশন পরীক্ষার ফল না পাওয়া পর্যন্ত অবশ্য তাসকিন ও সানি মাঠে নামতে পারবেন বলে জানিয়েছে আইসিসি। তবে তারা কবে চেন্নাইয়ে যাবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্মশালায় বাংলাদেশ শিবিরে খবরটা যেন বজ্রপাতের মতো আছড়ে পড়ে। দলের মিডিয়া ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ দিন তাকে বেশ উত্তেজিতই মনে হচ্ছিল। ফোনে বললেন, ‘‘আমরা ভাবতেই পারিনি এমন একটা খবর আসতে চলেছে। আমাদের সাপোর্ট স্টাফের তো কখনওই মনে হয়নি যে, ওদের বোলিং অ্যাকশনে কোনও সমস্যা আছে।’’
কবে দুই অভিযুক্ত বোলারকে চেন্নাইয়ে পাঠানো হবে, তা নিয়েও ধন্দে রয়েছে বাংলাদেশ শিবির। সুজন বলেন, ‘‘জানি না কবে ওদের পাঠানো যাবে। চেন্নাই তো আর কাছে নয়। ওখানে যাতায়াতে অনেকটা সময় লাগবে। এ দিকে শুক্রবার আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে (আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে)। সেই ম্যাচে ওদের খেলানো হবে সম্ভবত। তার পর হয়তো ঠিক হবে ওদের চেন্নাই যাওয়ার দিনক্ষণ।’’
বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন হাথুরেসিংহেকে স্থানীয় মিডিয়া এই নিয়ে প্রশ্ন করে, তখন তিনি বলেন, ‘‘গত বারো মাস ধরে তো ওরা একই অ্যাকশনে বোলিং করে আসছে। আমার তো কখনও মনে হয়নি ওদের অ্যাকশনে ত্রুটি রয়েছে।’’ ধর্মশালায় ফোন করে জানা গেল, গত বছর জুনে ভারতীয় দলের বাংলাদেশ সফরেও আম্পায়ার ছিলেন টাকার ও ম্যাচ রেফারি ছিলেন পাইক্রফট। তার বক্তব্য, সেই সিরিজেও তাসকিন ও সানির অ্যাকশন একই ছিল।
তখন যদি রিপোর্ট না করা হয়, তা হলে এখন কেন তা করা হল। দুই বোলারের অ্যাকশন যে বদলানোও যাবে না, তাও জানিয়ে দেন মুশফিকুরদের কোচ। বলেন, ‘‘সম্প্রতি ওরা প্রচুর ক্রিকেট খেলেছে। আমার অন্তত মনে হয় না কোনও পরিবর্তনের দরকার আছে। এ বার দেখা যাক পরীক্ষায় কী পাওয়া যায়। তার পর ঠিক করা যাবে। আমার মনে হয় চেন্নাইয়ে পরীক্ষায় ওরা পাশ করে যাবে।’’
এমনিতেই মুস্তাফিজুর রহমানের চোট বাংলাদেশ বোলিংকে দুর্বল করে দিয়েছে। তার উপর তাসকিনও যদি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়, তা হলে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অভিযান ফের ধাক্কা খেতে পারে। এখন সেই দুশ্চিন্তাই ঢুকে পড়েছে সাকিবদের শিবিরে।

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট