চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্র দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল



জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্র দুর্নীতি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
রোববার হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ঠ শাখায় আপিল আবেদন দাখিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের কোনো একটি বেঞ্চে শিগগিরই আপিলটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
খালেদার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সমকালকে বলেন, ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এই আপিলে সাজা বাতিল ও জামিনের আবেদন করা হয়েছে। আপিলে ২০টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চাওয়া হয়।
গত ২৯ অক্টোবর সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট্র দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।
মামলার অপর তিন আসামি তিন আসামি আবদুল হারিছ চৌধুরী (পলাতক), জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলামকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পাশাপাশি তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্রের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
রায়ের পনের দিন পর ১৪ নভেম্বর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্র দুর্নীতি মামলার ৬৩৮ পৃষ্টার পুর্ণাঙ্গ রায়ের সত্যয়িত কপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
আপিলে খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণের জন্য এবং তার জরিমানা স্থগিত ও দণ্ড বাতিল চাওয়া হয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্রের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগষ্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারি পরিচালক হারন-অর রশীদ।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি একই আদালত বিদেশ থেকে এতিমদের জন্য আসা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর সাজা দেন। ওই সাজার পর থেকে ৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন।

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট