সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সরকারের একজন মন্ত্রীও পাশ করতে পারবে না’



বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর থেকে সরকার বিচলিত। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সরকারের একজন মন্ত্রীও পাশ করতে পারবে না। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে এই সরকারের বাঁধ ভাঙতে হবে। মাঠে নামতে হবে, যাতে সরকার বাধ্য হয় আলোচনায় বসে।
মওদুদ বলেন, সরকার মনে করেছিল, খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করলে বিএনপি খ–বিখ- হয়ে যাবে। বর্তমান বিএনপি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ। তিনি বলেন, সরকার যখন ঐক্যের সমালোচনা করে তার মানে বুঝতে হবে যে, আমাদের কাজ সঠিক হচ্ছে। কিন্তু দুঃখ লাগে তারা অনেক অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখছে। তাতে আরও প্রমাণ হয় যে, তারা এখন নিশ্চিত হয়ে গেছে, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে বর্তমান সরকারের ভরাডুবি হবে। এ কারণে ঐক্যফ্রন্টকে তারা আক্রমণ শুরু করেছে। তাতে কোনো লাভ হবে না।
মওদুদ বলেন, ‘আজ গ্রামগঞ্জে যদি যান, দেশের মানুষের মুখে একটাই কথা, ঐক্য হয়ে গেছে। ঐক্য হয়ে গেছে মানে, একটা আশার সঞ্চার হয়েছে। একটা আশার আলো তারা দেখতে পাচ্ছে। নিজেদের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে এখন। দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে যে, আগামী নির্বাচনে হয়তো তারা নিজের ইচ্ছা মতো ভোট দিতে পারবে এবং যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারবে। সংবাদ উৎস – আমাদের সময়
গ্রামীণফোনে থাকছে না প্রযুক্তি বিভাগ, ৬৫০ কর্মী কোথায় যাবেন?
মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ তাদের প্রযুক্তি বিভাগকে (আইটি) ম্যানেজড সার্ভিসে (তৃতীয় কোনও পক্ষ তথা প্রতিষ্ঠানকে) দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এজন্য তারা সম্প্রতি ঘোষণা করেছে ‘কমন ডেলিভারি সেন্টার’ প্রকল্পের নাম। আর এই প্রকল্প নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছে গ্রামীণফোনের প্রযুক্তি বিভাগের ছয় শতাধিক কর্মীর। তাদের আশঙ্কা— প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কর্মীদের চাকরি থাকবে না। বর্তমানে অপারেটরটির প্রযুক্তি বিভাগে ৬৫৪ জন কর্মী কাজ করছেন।
এ আশঙ্কা থেকে গ্রামীণফোনের প্রযুক্তি বিভাগের পাঁচ শতাধিক কর্মী গত ৫ অক্টোবর রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে দিনভর প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে বিস্তারিত জানিয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে স্মারকলিপি দেবেন তারা। ওই স্মারকলিপিতে ‘কমন ডেলিভারি সেন্টার’ প্রকল্প চালু হলে কর্মীদের ও দেশের ক্ষতি, সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাওয়াসহ অন্যান্য বিষয় তুলে ধরা হবে। বর্তমানে স্মারকলিপি তৈরির কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট জানা গেছে, কোনও অপারেটর ম্যানেজড সার্ভিস চালু করতে গেলে আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে অনুমোদন নিতে হয়।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গ্রামীণফোনের অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা এবং এ সম্পর্কিত প্রক্রিয়া উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উপায় বিবেচনা করা হচ্ছে। আমাদের সর্বোন্নত নেটওয়ার্ক এবং সর্বোন্নত গ্রাহকসেবা নিশ্চিতকরণে এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কৌশলগত উদ্যোগটি সব সময় পরিবর্তনশীল, বৈশ্বিক ব্যবসায় ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এর ফলে কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, এমন কোনও সিদ্ধান্তই গৃহীত হয়নি। গ্রামীণফোন সবসময়ই তার কর্মীদের প্রতি দায়িত্বশীল।’
জানা গেছে, গ্রামীণফোনে দুটি ইউনিয়ন রয়েছে। একটি এম্লয়িজ ইউনিয়ন, অন্যটি জেনারেল এম্লয়িজ ইউনিয়ন। সমাবেশে দুই ইউনিয়নের সদস্যরাই উপস্থিত হয়ে সংস্থাটির নতুন উদ্যোগের বিরোধিতা করেন।প্রযুক্তি বিভাগের একাধিক কর্মী বলছেন, প্রযুক্তি সেকশন বন্ধ করে সেই দায়িত্ব এরিকসন, নকিয়া সিমেন্স বা হুয়াওয়ের মতো কোনও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দিতে চায় গ্রামীণফোন। এখন সেই প্রক্রিয়া চলছে। বিডিং প্রক্রিয়া শেষ হলে এর যেকোনও একটি প্রতিষ্ঠান পাবে গ্রামীণফোনের প্রযুক্তি বিভাগ দেখভালের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব অন্যদের দেওয়া হলে গ্রামীণফোনের প্রযুক্তি শাখায় কোনও কর্মী রাখার প্রয়োজন হবে না। ফলে কর্মীদের চাকরি হারাতেই হবে।
খবরটি শেয়ার করুন


শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট