মালায়শিয়ায় গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অবৈধ বাংলাদেশিরা।


মালায়শিয়ায় গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অবৈধ বাংলাদেশিরা। প্রতিদিনই তাদের তাড়া করছে পুলিশ। বাসায়, অফিসে, কারখানায়, গাড়িতে, মার্কেটে এমনকি বন- জঙ্গলেও দিনরাত চলছে পুলিশি অভিযান। অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতা দিতে অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু করে মালায়শিয়ান ইমিগ্রেশন কেনো তাদের গ্রেফতার করছে, এই প্রশ্নের উত্তর মিলছেনা। ১০ দিন ধরে মালায়শিয়ায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকলেও বাংলাদেশি শ্রমিকদের রক্ষায় দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। এমনকি গ্রেফতারকৃতদের কার
বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, তাদের ছাড়িয়ে নেয়া কিংবা দেশে ফেরৎ পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। মালায়শিয়ার বাংলাদেশ কমিউনিটিও এই।ইস্যুতে ‘নীরব’। গত ১৫ দিনেও মুখ খোলেনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের অর্ধ শতাধিক সংগঠনের কেউ। মালায়শিয়াতে বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর শাখা কমিটি থাকলেও তারা ‘অবৈধ’দের পাশে দাঁড়াচ্ছে না।

গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে থাকা অবৈধ’ বাংলাদেশিরা তাদের এই বিপদে দূতাবাসের দিকে তাকিয়ে থাকলেও রাজকীয়’ দূতাবাসের বাবুরা গভীর
নিদ্রায় আছেন বলে অভিযোগ প্রবাসীদের। ‘অবৈধ’ বাংলাদেশিরা কী করবেন? তারা কী উপায়ে বৈধতার
জন্য রেজিষ্ট্রেশন করবেন কিংবা যারা ‘বৈধ’ হবার ‘যোগ্য’ নয় তারা কীভাবে ‘পলাতক’ অবস্থায় ট্রাভেল পাস নিয়ে দেশে ফিরবেন, যারা এখনও মেশিন
রিডেবল পাসপোর্ট হাতে পাননি কিংবা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য আবেদনই করতে পারেননি, তারা এখন কী করবেন? এসব বিষয়ে অন্যসব দেশের দূতাবাসগুলো তাদের নাগরিকদের রক্ষায় মাঠে নামলেওনবাংলাদেশ দূতাবাসের বাবুরা ‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত’ব্যবস্থায় আছেন বলে অভিযোগ প্রবাসীদের।
এদিকে মালায়শিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে একের পর এক ‘অপপ্রচার’ অব্যাহত থাকলেও কার্যত ‘নীরবতা’ পালন করছে বাংলাদেশ দূতাবাস। তারা কোনো সংবাদের বিষয়েই বাংলাদেশ দূতাবাসের বক্তব্য বা প্রতিবাদ পাঠায়নি। তারা প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক থেকেও ‘দূরত্ব’ বজায় রাখছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 কিছু লোক পারমিটের নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। শ্রমিকদের নিয়ে রাজনৈতিক ব্যানারে কয়েকটি সংগঠন থাকলেও তাদের কোনো পদক্ষেপ নেই। তারা উল্টো শ্রমিকদের নিয়ে ব্যবসা করছে। ‘ধরপাকড়’ হলে তখন ওদের সুসময়’ আসে। পুলিশের কাছ।থেকে ছাড়িয়ে আনা কিংবা পারমিট করে দেয়ার নামে তাদের ব্যাপক বাণিজ্য হয়। তিনি বলেন, পারমিটের নামে বাংলাদেশি শ্রমিকরা বিভিন্ন স্থানে
প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কিছু দালাল তাদের পারমিট করে দেবে বলে।দুই তিন হাজার রিংগিত নেয়। তারপর পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেয়। তিনি প্রতারকদের কাছ থেকে সাবধান হতে প্রবাসীদের অনুরোধ জানান।
(লাইক, কমেন্ড এবং শেয়ার করে এক্টিভ থাকুন)

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট