সচেতন সুশীল সমাজ ও স্বাধীন গণমাধ্যম রক্ষা করা উচিত


বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি-বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ-বিষয়ক দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হুগো সোয়ার বলেছেন, মুক্তভাবে আলোচনা ও বিতর্ক করতে পারে এমন সুশীল সমাজ ও স্বাধীন গণমাধ্যম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মৌলিক বিষয়। তাই সচেতন সুশীল সমাজ এবং স্বাধীন গণমাধ্যম রক্ষা ও সংরক্ষণ করা উচিত।
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের এমপি এন্ড্রু স্টিভেনসনের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে গত শুক্রবার প্রতিমন্ত্রী এ
কথা বলেন।
এন্ড্রু স্টিভেনসন এক লিখিত প্রশ্নে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক মূল্যায়ন জানতে চান। ভিন্ন এক প্রশ্নে তিনি ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল’ কর্তৃক আগামী মার্চে প্রকাশিতব্য বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা-বিষয়ক প্রতিবেদন তৈরিতে ব্রিটিশ সরকারের অবদানের বিষয়েও জানতে চান।
মানবাধিকার-বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী হুগো সোয়ার বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশ সরকার মানবাধিকার রক্ষায় যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে, সেটিকে যুক্তরাজ্য স্বাগত জানায়। কিন্তু যখনই কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ উঠছে, তা অব্যাহতভাবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে ধরেছে দেশটি।
ব্রিটিশ এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ করে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ যেকোনো ধরনের সহিংসতা ও অধিক বলপ্রয়োগের ঘটনাকে আমরা নিন্দা জানাই।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থানের কথা আমরা পরিষ্কার করেছি। এ ছাড়া সচেতন সুশীল সমাজ ও স্বাধীন গণমাধ্যম যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মৌলিক বিষয় সেই বিষয়েও আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট।’
বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ে ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল’-এর প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী হুগো সোয়ার বলেন, গত সেপ্টেম্বরে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা ওই প্রতিবেদনের প্রাথমিক ফলাফল নিয়ে প্রতিবেদক হিইনার বিলফেলডের সঙ্গে কথা বলেন। প্রকাশিতব্য এই প্রতিবেদনের দিকে যুক্তরাজ্য তাকিয়ে আছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনের সুপারিশগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার জন্য যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করবে।

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট