পথ হারাল বাংলাদেশ


সাব্বিরও। নাসিরও এক রান করে ফিরলে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
আসলে এই উইকেটে ব্যাট করা খুবই কঠিন। জেপি ডুমিনিই যেমন তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট। দু্ই ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। বাংলাদেশের স্পিনাররাও দক্ষিণ আফ্রিকার রানের চাকা আটকে রেখেছিল।
আরাফাত সানি শুরুতেই কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। এবি ডি ভিলিয়ার্সকে ফিরিয়ে দিয়ে ব্যাকফুটে ঠেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। নাসিরের বলে কুইন্টন ডি কক সাজঘরে ফিরলে প্রোটিয়ারা আরও বিপদে পড়ে। তবে অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসির অধিনায়কোচিত এক ইনিংসে শেষ পর্যন্ত পাল্টা লড়াইটা ভালোই করল সফরকারীরা। ডু প্লেসির অপরাজিত ৭৯-এর সঙ্গে রাইলি রুশোর হার না মানা ৩১ রানের কার্যকর এক ইনিংস প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ১৪৮ রান। ​টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই স্কোর বড় কিছু নয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকাতে স্পিনের যে মৃত্যুকূপ বানিয়েছে বাংলাদেশ, এখন সেখানেই খাবি খাচ্ছে তারা নিজেরাই।
স্পিন দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের কাবু করার কৌশল নিয়েই আজ মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। থিংকট্যাংকের পরিকল্পনাটা মাঠে ভালোই বাস্তবায়ন করেছেন দলের দুই ঘূর্ণি বোলার আরাফাত সানি ও নাসির হোসেন। শুরুতেই দুই উইকেট তুলে নিয়ে এই দুজন প্রোটিয়াদের ওপর যে চাপ তৈরি করেছিলেন, সেই চাপেই হয়তো সংগ্রহটা খুব বড় করতে পারল না তারা। শুরুর দুজনের তৈরি চাপটা শেষ পর্যন্ত বজায় রাখলেন মুস্তাফিজ-সাকিবরা। সোহাগ গাজি অ্যাকশনের ত্রুটি সারিয়ে আজ মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ঠিক তাঁর ভেতর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের পক্ষে আজ দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন আরাফাত সানি। এবি ডি ভিলিয়ার্স ও জেপি ডুমিনির উইকেট দুটো তাঁর। বাকি দুটো উইকেটের একটি নাসিরের, অপরটি সাকিবের। নাসির ফিরিয়েছেন কুইন্টন ডি কক, সেটা আগেই বলা হয়েছে, সাকিবের শিকার ডেভিড মিলার। 

ফ্যাফ ডু প্লেসির ৭৯ রানের ইনিংসটি এসেছে ৬১ বলে। আটটি চারে সাজানো এই ইনিংস। ছক্কা মারতে পারেননি একটিও। রাইলি রুশোর ৩১ রানে ছিল ২টি চার ও ২টি ছয়ের মার। ২১ বলে রুশোর ইনিংসটি ছিল পরিস্থিতি বুঝে, চাপ সামলে খেলা চমৎকার এক ইনিংস।
এখন পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করতে হবে বাংলাদেশও। আর তাতে নেতৃত্ব দিতে হবে সাকিবকেই

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট