ক্রিকেটারদের সম্মাননার সময় চোখের সামনে ভেসে উঠছিল রানা প্লাজা


শনিবার গণভবনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বিশ্বকাপে ভালো পারফরমেন্স করার জন্য রাষ্ট্রিয়ভাবে অর্থ ও সম্মাননা দেয়া হয় ক্রিকেটারদের। এ বিষয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক ‘সাপ্তাহিক’র সম্পাদক এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মোর্তজা তার ফেসবুক পাতায় এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ক্রিকেটারদের সম্মানিত করার দৃশ্য যখন দেখছিলাম, তখন চোখের সামনে ভেসে উঠছিল রানা প্লাজার শ্রমিকদের ছবি। ১০০ কোটি টাকার উপরে জমা থাকার পরও অনেক শ্রমিকের পরিবারকে রাষ্ট্র ক্ষতিপূরণ দিল না। স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করছি না। তবু কেন যেন মনের অজান্তেই প্রসঙ্গটি চলে আসে। রাস্ট্রীয়ভাবে ক্রিকেটারদের অর্থ -সম্পদ -সম্মাননা দেয়ায়, নিশ্চয়ই বাংলাদেশের সব মানুষই আনন্দিত।

পুরো দেশকে ক্রিকেটাররা যে আনন্দ -গৌরব উপহার দিয়েছে, অর্থ -সম্পদ সেখানে খুবই নগন্য। প্রয়োজনে আরও বেশি অর্থ দেয়া যেতে পারে, কোনো আপত্তি নেই। ক্রিকেটারদের সম্মানিত করার দৃশ্য যখন দেখছিলাম, তখন চোখের সামনে ভেসে উঠছিল রানা প্লাজার শ্রমিকদের ছবি। ১০০ কোটি টাকার উপরে জমা থাকার পরও অনেক শ্রমিকের পরিবারকে রাষ্ট্র ক্ষতিপূরণ দিল না। পঙ্গু হয়ে যাওয়া শ্রমিক ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, রাষ্ট্র তাদের কোনো খবর নিল না।

সরকার শুধু মালিকদের স্বার্থই দেখল! প্রধানমন্ত্রী একজন পঙ্গু শ্রমিককে, নিহত প্রতি শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে ইফতার করছেন। একেক জনের হাতে তুলে দিচ্ছেন ৫০/৬০ লাখ টাকার চেক। কল্পনা করুণ তো সেই দৃশ্য!পঙ্গু শ্রমিক বা নিহত শ্রমিকের বাবা -মা -ভাই বা স্ত্রীর মূখ কতটা হাস্যজ্জল হয়ে উঠত!! টাকা তো ছিলই, এমন একটি দৃশ্য কি দেশের মানুষকে উপহার দিতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী!!! দেশের উন্নয়নে, বৈদেশিক মূদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে অন্য যে কারও চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তো না এই শ্রমিকদের।


শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট