বগুড়া শেখেরকোলায় বালু উত্তোলনে বাঁধা দেওয়াই প্রতিপক্ষের মারপিটে নিহত-১, আহত- ৮

 

বগুড়া সদরের শেখেরকোলা ইউনিয়নে নদী থেকে বালু তুলতে নিষেধ করায় এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে গ্রামবাসীকে মারপিট, নিহত ১, আহত ৮।
সরে জমিনে ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় বগুড়া সদরের শেখেরকোলা ইউনিয়নের তেলিহারা উত্তর পাড়ায় সরকারী ভাবে একটি ব্রীজ নির্মাণ কাজ চলছিল। সেখানকার বালু যোগান দেওয়ার জন্য ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য ইমদাদুল হক করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে। উত্তোলনকৃত বালু যখন বাণিজ্যের উদ্যেশে বিক্রি শুরু করে বালুর ট্রাক নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কারণে রাস্তা নষ্ট হতে থাকলে গ্রামবাসীরা তখন বাঁধা দেয়। বাধা দেওয়াই ইউপি সদস্য ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাহিনী নিয়ে গ্রাম বাসীর উপর সকাল ৮ টায় হামলা চালিয়ে প্রথমে তিন জন, পরে আরও ৫ জনকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। আহতরা হলো (১) আ: রহমান,পিতা হাসান আলী, (২) শাবলু, পিতা -জাহিদুল, (৩) পরাণ, পিতা- মোসলেম উদ্দিন, (৪) শাহাদৎ, (৫) নিখিল, পিতা- হাসান, (৬) খোকন, পিতা- মোখলেছার, (৭) জাকের, পিতা- মৃত হাফিজার, (৮) শামীম পিতা মঞ্জু শাহ। সকলের সাং তেলিহারা উত্তর পাড়া, থানা ও জেলা বগুড়া। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের চিকিৎসার খরচ নিয়ে যাওয়ার পথে একই এলাকার মৃত লাল মিয়ার পুত্র রিক্সাচালক মোখলেছার রহমান (৫৫) ইমদাদের বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌছিলে ইমদাদ ও তার বাহিনীর সদস্যগণ লোহার রড দিয়ে মোখলেছারকে বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে।তাকে আগাইতে আসিলে তাদেরকেও মারপিট করে। মোখলেছারকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ সংবাদ গ্রামে পৌছিলে ইমদাদ বাহিনীরা পালিয়ে যায়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন এবং আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য গ্রামবাসীকে অনুরোধ করেন।

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট